আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (62 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
১। একজন ব্যক্তি যদি আরেকজন ব্যক্তির নামে বলে যে অমুকের এই রোগ আছে। তাহলে কি সেটা গীবত হবে?

২। শিক্ষক ছাত্রের অনুপস্থিতিতে বললেন যে আমার ধারণা ওর কোন নেশা আছে। শিক্ষক আগে থেকেই জানতেন ছাত্র পাবজি গেমে আসক্ত, বুঝিয়েছেনও না খেলার জন্য। যাকে শিক্ষক কথাটি বললেন তিনি ছাত্রের পরিচিত। এখন কথাটা কি গীবত হয়ে গেল? হয়ে গেলে ছাত্রের কাছে যদি ক্ষমা চাইতে লজ্জা করে অথবা নিজের পাপ প্রকাশ করতে চান না সেক্ষেত্রে ছাত্রকে কিছু সদকা করে দিলে কি গুনাহ মাফ হবে?

৩। একটি ডিপার্টমেন্ট ট্যুর যেখানে শিক্ষক শিক্ষিকারা থাকবেন না। শুধু ছাত্র ছাত্রীরা যাবে, মেয়েরা মেয়েদের সাথেই থাকবে। কারো বাবা-মা অথবা গার্ডিয়ান যাবে না। এমন ট্যুরে যাওয়া কি একটি মেয়ের জন্য জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/33327 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
কোনো মুসলমানের অগোচরে তার এমন বিষয় নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করা, যা শুনলে সে তা অপছন্দ করবে।তবে যদি কারো সম্বন্ধে এমন কোনো আলোচনা হয়,যা তার মান-মর্যাদাকে কমাবে না এবং যা কারো মন্দ আলোচনাও হবে না।এমন আলোচনা গীবতের আওতাধীন হবে না।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1715

হযরত মু'আবিয়া ইবনে হাইদাহ রাযি থেকে বর্ণিত,
معاوية بن حيدة رضي الله عنه ، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ( أَتَرعُونَ عَنْ ذِكْرِ الْفَاجِرِ ! اذْكُرُوهُ بِمَا فِيهِ كَي يَعْرِفَهُ النَّاسُ وَيَحْذَرَهُ النَّاسُ ).
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,তোমরা কি ফাসিকের সমালোচনা থেকে বিরত থাকবে?বরং তোমরা ফাসিকের কৃত অপরাধ নিয়ে সমালোচনা করো,যাতেকরে লোকজন সেই অপরাধ থেকে বিরত থাকে।আস-(সুনানুল কুবরা-বায়হাক্বী-১০/২১০) এই হাদীসের সনদে কালাম থাকার ধরুণ মুহাদ্দিসিনে কেরাম এটা যঈফ হাদীস বলে বিবেচনা করেছেন।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করার নিমিত্তে তার রোগ নিয়ে আলোচনা করা, কারো কাছে বলা অবশ্যই গীবতের অন্তর্ভুক্ত। তবে কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করা উদ্দেশ্য না হলে, বরং সহানুভূতির নিয়তে অবশ্যই তার রোগ অন্যর কাছে বলা যাবে।

(২)
যদি বাদবাকী ছাত্রদেরকে সতর্ক করার নিয়ত থাকে, তাহলে অনুপস্থিত ছাত্র সম্পর্কে এমনটা বলা অবশ্যই গীবত হবে না।

(৩)
না, এমন ট্যুরে যাওয়া জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...