আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
118 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (21 points)
edited by
১/ফরয গোসলে কি কুলি, নাকে পানি দিয়ে গোসল করলে হবে নাকি ওযু বাধ্যতামূলক?  ওযু না করলে কি ফরয গোসল আদায় হবেনা?

২/টাইলসে বা কাপড়ে প্রস্রাব পড়ে শুকিয়ে গেলে কি পবিত্র হবে নাকি পানি দিয়ে ধোতে হবে?

৩/ওয়াসওয়াসা থেকে পরিত্রানের উপায় কি?সন্দেহপ্রবনতা প্রবল হলে করনীয় কি??

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

(১)
إذا كان في المسألة وجوه توجب الكفر، ووجه واحد يمنع، فعلى المفتي أن يميل إلى ذلك الوجه كذا في الخلاصة في البزازية إلا إذا صرح بإرادة توجب الكفر، فلا ينفعه التأويل حينئذ كذا في البحر الرائق، ثم إن كانت نية القائل الوجه الذي يمنع التكفير، فهو مسلم، وإن كانت نيته الوجه الذي يوجب التكفير لا تنفعه فتوى المفتي، ويؤمر بالتوبة والرجوع عن ذلك وبتجديد النكاح بينه وبين امرأته كذا في المحيط.
যখন কোনো কথাবার্তায় কুফরি হওয়া না হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে, তখন মুফতি সাহেবের দায়িত্ব হল, তিনি কুফরি না হওয়ার ফাতাওয়া প্রদাণ করবেন।তবে বক্তা কুফরির ইরাদা সম্পর্কে স্পষ্ট করে নিলে, তখন কিন্তু কুফরির ফাতাওয়াই প্রদান করা হবে।তখন কিন্তু অন্য কোনো ব্যখ্যাকে স্থান দেয়া যাবে না। যদি বক্তার নিয়তে কুফরি না থাকে,তাহলে সে মুসলিম।আর বক্তার নিয়তে কুফরি থাকলে, তখন তাকে তাওবাহ করার এবং বিবাহ দোহড়ানোর পরামর্শ প্রদাণ করা হবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/২৮৩)

স্বামী-স্ত্রী যে কারো মুখ থেকে এমন কোনো কথা বের হয়ে গেলে যা সর্বসম্মতক্রমে কুফরি, এমন কথা দ্বারা ঐ ব্যক্তি কাফির হয়ে যাবে।এবং তার বিবাহ সাথে সাথেই ভঙ্গ হয়ে যাবে।এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দিন তারিখের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নাই।যে তিনদিনের ভিতর ঈমান নিয়ে আসলে বিয়েকে দোহড়াতে হবে না।বরং একদিন পরে ঈমান আনা হোক বা একমাস পরে ঈমান আনা হউক ঈমান দোহড়ানোর সাথে সাথে বিবাহকেও দোহড়াতে হবে। সুতরাং কারো মুখ থেকে কোনো কথা বের হয়ে গেলে, উনার উচিৎ সাথে সাথেই ঈমানকে নবায়ন করা এবং বিয়েকে দোহড়িয়ে নেয়া।
(আবকে মাসাঈল আউর উনকা হল,-১২/২০৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বেন
(১)
কোন মহিলার যদি ইমান ভংগ হয়,তাহলে বিবাহ ভঙ্গ হয়না।তবে তার সাথে স্বামী মেলামেশা করতে পারবে না।মেলামেশা হারাম। তার ঈমান নবায়নের পর তার স্বামী যদি তাকে রাখতে চায়, তাহলে সতর্কতামূলক বিয়ে নবায়ন করে তার সাথে মেলামেশা করতে পারবে।কিন্তু যদি স্বামী তাকে রাখতে না চায়, তাহলে ঐ স্ত্রী অন্যত্র বিয়ে বসতে পারবে। নতুনকরে তালাক গ্রহণের কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-২/৫৬৭)

(২)
নারীর ঈমান ভঙ্গ হলে স্বামীর সাথে মেলামেশা হারাম।বিয়ে বাকী থাকে, তাই তালাক দিলে তালাক পতিত হবে।

(৩)
মহিলা অন্যত্র বিয়ে বসতে পারবে না।বরং ঐ স্বামী চাইলে তার সাথেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে।কেননা বিয়ে বাকী থাকে।


(৪)
মুসলমান হওয়ার জন্য গোসল করা ওয়াজিব। তবে কালিম পড়ে নিলে মুসলমান হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...