আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
177 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু,
আমি অনেকদিন ধরেই একটা বিষয় নিয়ে খুব পেরেশানিতে আছি।আমার বারবার মনে হয় আমার ঈমান চলে গেছে।আমি এরজন্য খুব ভয়ে থাকি সবসময়।
আজকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের  হলে খাবার খাচ্ছিলাম, খাবার খাওয়ার শেষের দিকে আমি প্লেটের খাবারগুলো ভালোভাবে শেষ করতেছিলাম। তখন পেছনে থেকে খালা এসে বলতেছিলো হইছে আর অত চেটেপুটে খেতে হবেনা এমন কিছু। ওইটা শুনে আমি হাসি আটকে রাখার চেষ্টা করছিলাম। কারন আনার মনে হইছে এইটা তো সুন্নাহ।সুন্নাহ নিয়ে হাসলে তো ঈমান চলে যাবে,তারপরেও আমি হেসে ফেলেছিলাম একটু পর।কিন্তু তখন থেকেই আমার মনে হচ্ছে আমি মনে হয় সুন্নাহকে বিদ্রুপ করে হাসছি,আবার মনে হচ্ছে আমি তো ভয়ে ছিলাম যে ঈমান ভেঙ্গে যায় কিনা।

১.  এই অবস্থায় কি আমার ঈমান ভেঙ্গে গিয়েছে?  নাকি এটা বারবার শয়তানের ওয়াসওয়াসার কারণে হচ্ছে?

২. শয়তানের ওয়াসওয়াসার কারণে হলে এর থেকে কীভাবে বাঁচতে পারি? আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি এই বিষয়টার জন্য।
দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন হযরত।জাযাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যেহেতু আপনি ঈমান নিয়ে ভয়ে ছিলেন, তাই এই হাসি ইসলাম বা সুন্নাহকে কটাক্ষ করে নয়।বরং এটা স্বাভাবিক হাসি তথা মনের অজান্তের হাসি।সুতরাং এই হাসির জন্য আপনার ঈমান নষ্ট হবে না।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনাকে শয়তান ওয়াসওয়াসা দিচ্ছে। শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বাচতে সর্বদা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন। এবং মনে প্রাণে আল্লাহর কাছে সমস্যা উত্তোরণের জন্য দু'আ করতে থাকুন।আল্লাহ আপনার সহায় হোক।

দ্বিতীয় কথা হল, আপনি তাসাউফ চর্চা করবেন।তথা নেককার লোকের সাথে সম্পর্ক রাখবেন ও তাদের সংস্পর্শকে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করবেন। নেককার লোকের সাথে সম্পর্ক যদি রাখেন, তাহলে আ'মলে বরকত হবে, এবং ধীরে ধীরে এই ওয়াসওয়াসা রোগ দূর হয়ে যাবে।

https://www.ifatwa.info/1037 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে আল্লাহ তা'আলা ৪ টি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন।এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।(সূরা-জুমুআহ-২)

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ৪ টি দায়িত্বের একটি দায়িত্ব হল,আত্মসুদ্ধি।এই আত্মসুদ্ধির অপর নাম তাসাউফ।তাসাউফ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1037

আপনি যদি মহিলা হন, এবং নেককার লোকের সন্ধান না পান, তাহলে নবীর জীবনি পড়বেন,নবীর স্ত্রীদের জীবনি পড়বেন। এবং নেককার জীবন সাথী গ্রহণ করার চেষ্টা করবেন। কুরআন সুন্নাহ সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করার চেষ্টা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...