আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
186 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
edited by
১. আসসালামুয়ালাইকুম,,,আজকাল পড়াশোনা কিংবা চাকরির ক্ষেত্রে, আবেদন করার সময় বিবাহিত বললে চাকরি বা পড়াশোনা আর করতে পারেনা,,( কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান এ) তাকে বাদ দেওয়া হয়। এখন বিবাহিত কোনো মেয়ে যদি নার্সিং  পেশায় পড়তে চায় এবং সেখানে পরীক্ষা দিয়ে পড়ার সুযোগ পায়,,, তারপর যদি সে জানে যে ভর্তির সময় বিবাহিত এই কথা গোপন রাখতে হবে,,, কেউ জিজ্ঞেস করলে মিথ্যে বলতে হবে এবং ভর্তি হবার সময় ভর্তি ফরম এ অবিবাহিত দিতে হবে লিখিত,,,, ভর্তির পরীক্ষা দেওয়ার সময় নোটিশ এ কোথাও লিখা ছিল না যে অবিবাহিতদের নেওয়া হবে না বা পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না,,,, চান্স পাওয়ার পর জানা গেছে,,,, অর্থাৎ বোঝা যায় যে তারা বিবাহিতদের কেও চায়,,,,তবে যেনো বিষয়টি গোপন রাখে,,,, এইটা তাদের নিয়ম,,,,, এত কষ্ট করে ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাওয়া পর এমনটা অবস্থায় এখন করনীয় কি,,,, সে যদি কারো প্রশ্নের জবাবে মিথ্যে বলে যে আমি অবিবাহিত,,, বা সে ভর্তি হবার সময় অবিবাহিত লিখিত দেয়,,,, তাহলেও কি তার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটবে বা তালাক বা  বিবাহিত জীবনে কোনো প্রভাব পড়বে?

২. কি কি কারণে স্ত্রী তালাক দেয়ার অধিকার পেয়ে থাকে,?

 ৩,সামির কোন কোন কেনেয়া শব্দ বলার দ্বারা স্ত্রী সামির কাছে থেকে তালাক দেওয়ার অধিকার পায়?

৪. তালাক এর নিয়ত ব্যাতিত, বা তালাক এর মজলিস ব্যাতিত যদি শুধু সামি তার স্ত্রীকে বলে যে আমাকে পছন্দ না হলে তুমি অন্য কাউকে খুঁজো বা পছন্দ করো বা বিয়ে কর ,,,, তাহলে কি তালাক পতিত হয়? যদি না হয়,,তবে এই কথার দ্বারা কি স্ত্রী , সামি কাছে থেকে তালাক এর অধিকার পায়??

৫. সামি যদি বলে ,,আমার কিছু হয়ে গেলে তুমি অন্য কাউকে বিয়ে করে নিও,,,,এই কথা স্ত্রীকে বলার পর স্ত্রী কি শর্ত যুক্ত তালাক এর মধ্যে পরে যাবে?? বা তার স্বামীর কিছু হয়ে গেলে ওই রুপ কথার ফলে কি  তালাক হয়ে যাবে? বিবাহ বিচ্ছেদ যেনো না হয় সে ক্ষেত্রে সামি স্ত্রীর করণীয় কিছু কি আছে??

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়। কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন। যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...