আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
97 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (81 points)
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

১।এটা এমনিতে জানার জন্য।ধরেন কাউকে লিখে প্রশ্ন করেছে মানে কোন মুফতি সাহেবকে বা আলেমকে।তহ ওনারা পুরা লিখা  না পড়ে উত্তর দিলে কি যে প্রশ্ন করেছে তার গুণাহ হবে?এতে যে প্রশ্ন করেছে সে তহ জানেই না।তার মনে ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে পুরো পড়েছে কিনা।হয়ত শয়তানের ওয়াসওয়াসা। এতে যে প্রশ্ন করেছে ওর কি গুণাহ হবে এমন চিন্তা আসলে?এর জন্য ওল্টা প্রশ্ন করলে নিশ্চয় বেয়াদবি হবে।কারন হয়ত পুরো পড়ে উত্তর দিছে কিন্তুু যে প্রশ্ন করেছে ওর মনে ওয়াসওয়াসা আসতেছে পড়েছে নাকি পড়ে নি।এতে কি গুণাহ হবে? আর করণীয় কি?

২।ধরেন তবু আরেকবার করেছে।তখন ও যদি একই উত্তর দেয়।তবু যে প্রশ্ন করেছে তার  মনে ওয়াসওয়াসা আসলে পড়েছে কি পড়ে নাই  পুরো লিখা এতে কি গুণাহ হবে? আর করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।


ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচার আমলঃ 
ইবনে হাজার আল-হাইছামি তাঁর ‘আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা’ গ্রন্থে (১/১৪৯) এসেছে, তাঁকে এর প্রতিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,
له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان – فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون , وأما من أصغى إليها وعمل بقضيتها فإنها لا تزال تزداد به حتى تُخرجه إلى حيز المجانين بل وأقبح منهم

অর্থাৎ, এর ঔষধ একটাই সেটা হচ্ছে– ওয়াসওয়াসাকে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও। কেননা কেউ যদি সেটাকে ভ্রুক্ষেপ না করে তাহলে সেটা স্থির হবে না। কিছু সময় পর চলে যাবে; যেমনটি তাওফিকপ্রাপ্ত লোকেরা যাচাই করে পেয়েছেন। আর যে ব্যক্তি ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করবে সে ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা বাড়তেই থাকবে; এক পর্যায়ে তাকে পাগলের কাতারে নিয়ে পৌঁছাবে কিংবা পাগলের চেয়েও নিকৃষ্ট পর্যায়ে পৌঁছাবে।
 
এর সর্বোত্তম প্রতিকার হচ্ছে– বেশি বেশি আল্লাহর যিকির করা, لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ  পড়া, আউযুবিল্লাহ্ পড়া তথা বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।
 
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِىْ رَدَّ اَمْرَهُ عَلَى الْوَسْوَسَة
 
‘সমস্ত প্রশংসা ওই আল্লাহর যিনি শয়তানের বিষয়টি কুমন্ত্রণা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রেখেছেন।’ (নাসাঈ )
 
★ ওয়াসওয়াসাকে কোনো ভাবেই পাত্তা না দেওয়াই মহা ঔষধ।  

ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্তির আমল সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এতে প্রশ্নকারীর কোনো গুনাহ হবেনা।

জবাব পুরো প্রশ্ন পড়েই দেয়া হয়,আলহামদুলিল্লাহ। 
যদি না বুঝার কারনে প্রশ্নের কোনো স্থানের জবাব না দেয়া হয়,বা ওয়াসওয়াসা রুগীকে যতটুকু জানানো বেশি প্রয়োজন ততটুকুই বলা হয়,সেক্ষেত্রে কোনো কিছু অস্পষ্ট থাকলে বা উল্লেখ না থাকলে  কমেন্টে বা পরবর্তী প্রশ্নে শুধু সেই বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য প্রশ্ন করা যেতে পারে।     

(০২)
এতে প্রশ্নকারীর কোনো গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 122 views
...