ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
ইসলাম ধন সম্পদ, বাহ্যিক রূপ সৌন্দয্য, বংশীয় কৌলিণ্য, সামাজিক প্রতিপত্তি কিংবা দৈহিক শক্তি সামর্থকে মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি বানায় নি। গরিবের ওপর ধনীর, দুর্বলের ওপর সবলের, নিচু বংশের ওপর উচ্চ বংশের, কালোর ওপর সাদার কোন শ্রেষ্ঠত্ব ও আভিজাত্য ইসলাম রাখেনি।
ইসলাম দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেছে, ‘শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদার ভিত্তি হল তাকওয়া বা খোদাভীতি।’ এই তাকওয়া নিজের ভেতর যে যতটুকু ধারণ করবে সে তত শ্রেষ্ঠ হবে। তত মর্যাদাবান হবে।
নানা গোত্র বর্ণ ভাষার বৈচিত্র সবই পরিচয় ও চেনার সুবিধার জন্যে মাত্র।
আল্লাহতায়ালা বলেন, হে মানুষ, আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা একে অপরকে চিনতে পার। নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা বেশি মর্যাদাবান সেই যে তোমাদের মধ্যে বেশি তাকওয়া অবলম্বনকারী। (হুজুরাত ৪৯ : ১৩)
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহতায়ালা তোমাদের থেকে জাহেলি যুগের অহংকার, বাপদাদাদের নিয়ে অহমিকা দূর করে দিয়েছেন। হয়তো মুমিন মুত্তাকি, নয়তো দুর্ভাগা পাপী। তোমরা সবাই আদম সন্তান। তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে মাটি থেকে। লোকেরা যেন তাদের সম্প্রদায়কে নিয়ে অহমিকা ত্যাগ করে! (সুনানে আবু দাউদ ৫১১৬)
জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, আমরা এক জিহাদে ছিলাম। এক মুহাজির সাহাবি আনসারি সাহাবিকে আঘাত করলে আনসারি বলে ওঠেন, ওহে আনসারিগণ! তদ্রুপ মুহাজিরও বলেন, কোথায় মুহাজির সাহাবিরা!
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এটা শুনে বললেন, এ তো দেখছি জাহেলিয়্যাতের ডাকাডাকি! এটা কী! তাকে বিস্তারিত ঘটনা বলা হল। তিনি বললেন, এসব ছেড়ে দাও। এগুলো নিকৃষ্ট কাজ। (সহিহ বুখারি ৪৯০৫)
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, অনারবিদের ওপর আরব দেশের লোকের, আরব দেশের লোকের ওপর অনারবিদের কোনো মর্যাদা নেই। কৃষ্ণাঙ্গের ওপর লাল বর্ণের লোকের, লাল বর্ণের লোকের ওপর কৃষ্ণাঙ্গের কোন শ্রেষ্ঠত্ব নেই। সম্মান মর্যাদা কেবল তাকওয়ার ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে। (মুসনাদে আহমদ ২৩৪৮৯)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
কারো মেয়েকে নিচু বংশে বিয়ে দিলে তার বংশ বাতিল হয়ে যায়না।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মেয়ের বাবার পরবর্তী বংশধররা নিচু বংশের হয়ে যাবেনা।
(০২)
হাদীসের ব্যাখ্যা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।
তাই অনেকে অনেক মত পোষন করেছেন।
তবে হানাফি মাযহাবে চারটি বিষয়কেই গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।
তবে দ্বীনিদারিত্বকে বেশি অগ্রাধিকার দিতে হবে।
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত তথা নিচু বংশে মেয়ে বিয়ে দিলে মেয়ের বাবার বংশটা চলে যায় না।
(০৩)
ইসলামে এসবের কোনো ভেদাভেদ নেই।
এখানে বাড়াবাড়ি গুলো সবই অনুচিত।
(০৪)
না,এভাবে বংশ নিচু হয়ে যায়না।
আর ইসলামে এসবের কোনো ভেদাভেদ নেই।
(০৫)
এসবই বাড়াবাড়ি, আত্ম অহমিকা।
আত্মগৌরব।
যাহা পরিত্যাজ্য।
(০৬)
হ্যাঁ আপনি শেখ টাইটেল লাগাতে পারবেন।