ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
শরীয়তের বিধান হল,গুনাহের কাজ যেমন নিজে করা জায়েজ নেই,অন্যকে গুনাহের কাজে সহযোগিতা করাও জায়েজ নেই।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢]
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এখানে অনেক গুলো বিষয় আছে।
এক,
আপনাদের ভার্সিটিতে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হবে।
যেকোনো টুর্নামেন্টে যেহেতু জয় পরাজয়ের বিষয় আছে,আর তাতে পুরুস্কারের বিষয়ও আছে।
সেই হিসবে যদি যারা খেলবে,তাদের থে পুরুস্কার এর টাকা না নিয়ে ৩য় কোনো পক্ষ থেকে পুরুস্কার দেয়া হয়,তাহলে বুঝা যাবে যে এতে জুয়া নেই।
সুতরাং এখানে চাঁদা দেয়ার আগে এই বিষয়টি পূর্ণভাবে জানতে হবে।
যে পুরস্কার কোন অর্থ থেকে দেয়া হবে।
টুর্ণামেন্টে অংশগ্রহণ করার ফি থাকলে আপনাদের টাকা দেয়া জায়েজ হবেনা।
কেননা উক্ত ফি থেকেই মূলত তারা পুরুস্কার দিবে।
সাধারণত এমনই হয়।
দুই,
এখানে গান বাজনা হওয়া না হওয়া সম্পর্কে আপনি অনিশ্চিত হলেও এখানে মেয়েদের যাওয়াতে বেপর্দার পরিবেশ হবে,এটি নিশ্চিত।
তাই সেই হিসবে এটি গুনাহের একটি পরিবেশ হবে।
তাই এ ধরনের গুনাহের পরিবেশ তৈরীর কাজে সহযোগিতা স্বরুপ টাকা দেয়া জায়েজ হবেনা।
(০২)
শরীয়ত কর্তৃক গৃহীত জাবরদস্তির স্বামী যদি তালাক দেয়,তাহলে লিখিত তালাক হলে তাহা পতিত হবেনা।
তবে মৌখিক তালাক হলে তাহা পতিত হয়।
طلاق المکرہ واقع (ہدایہ: ۱/۳۵۸، کتاب الطلاق)
সারমর্মঃ
যার উপর জবরদস্তি করা হয়েছে,তার তালাক পতিত হয়।
فتاوی شامی :
"وفي البحر: أن المراد الإكراه على التلفظ بالطلاق فلو أكره على أن يكتب طلاق امرأته فكتب لاتطلق لأن الكتابة أقيمت مقام العبارة باعتبار الحاجة ولا حاجة هنا، كذا في الخانية". (236/3ط: سعید)
সারমর্মঃ
জোড় মূলক তালাক পতিত হয়,এটা মৌখিকের ক্ষেত্রে।
যদি লিখিত ভাবে কাউকে তালাক দেয়ার উপর জোর করা হয়,সেক্ষেত্রে লিখিত তালাক দিলে তাহা পতিত হবেনা।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এখানে নিঃসন্দেহে তালাক হয়ে গিয়েছে।
আগে যেহেতু ২ তালাক দেয়া হয়েছিলো,তাই এখন সবমিলে ৩ তালাক হয়েছে।
,
শরয়ী হালালাহ ব্যাতিত সেই স্ত্রী ফিরিয়ে নেওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই।