আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
124 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (56 points)
edited by
১.কোনো মহিলা মনে মনে বলেছে তবে মুখে বলেনি তালাকের বিধান টা খুব কঠিন একটু বললেই হয়ে যায়।অন্য হিন্দুদের এরকম নাই ভালো সিস্টেম।সাথে সাথে আবার মনে মনে হয়তো ভাবছে এসব কি ভাবছি অবশ্যই আল্লাহর বিধানে কল্যান রয়েছে বা এটা সঠিক(কি ভেবেছি মনে নেই তবে এরকম টাইপের কথাই সাথে সাথে হয়তো ভেবেছে আবার সন্দেহ লাগছে সাথে সাথে এরকম ভাবছে কিনা)।তার এমনটা মনে মনে ভাবা বা মনে মনে বলার করনে কি তার ইমান চলে যাবে দ্বীন থেকে বের হয়ে যাবে?? ১ম ভাবনা টা করার সাথে সাথে ২য় ভাবনা টা করছে কিনা এটা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও কি ইমান চলে যাবে??
২.সেই মহিলা কখনো ভেবেছে যে তালাক শব্দটা বললেই তো তালাক হয়ে যায়।এটাই মেনে চলা কঠিন।তারপর আবার কেনায়া তালাক এটা না থাকলেও তো হতো বা এটার কি দরকার ছিল তাহলে আর তো এর সমস্যা হতো না।হুবহু এই লেখা গুলোই যে ভাবছে তা না(সন্দেহ হচ্ছে যে হুবহু একথাগুলো ভাবছে কিনা)তবে এরকম টাইপের কথা ভাবছে।আসলে তালাক নিয়ে অনেক টেনশনে থাকার কারনেই এরকম ভাবছে।এখন এট ভাবার কারনে কি তালাকের বিধান অবজ্ঞা করার শামিল হবে?? এবং এরকম কথা মনে মনে বলার কারণে কি তার ইমান চলে যাবে সে কি দ্বীন থেকে বের হয়ে যাবে??

৩.একদিন সেই মহিলা কিছু হিন্দু মহিলাদের দেখে মনে মনে বলে এদের জীবন টা কি ভালো বা সুন্দর পাপ পূন্যের কোনো চিন্তা নেই আমি যদি এরকম স্বাধীন ভাবে চলতে পারতাম পাপ পূন্যের কোনো চিন্তা থাকবে না।হুবহু এই লেখা গুলোই যে ভাবছে তা না(সন্দেহ হচ্ছে একথাগুলো নিয়ে) তবে এরকম টাইপের কথা ভাবছে।সে যে হিন্দু ধর্ম পছন্দ করে বলছে তা না বা তাদের ধর্ম কে সমর্থন ও করেনি।এ রকম কথা মনে মনে ভাবার কারণে কি তার ইমান চলে যাবে দ্বীন থেকে বের হয়ে যাবে??

৪.কোনো একটা বিষয় করা হালাল হচ্ছে নাকি হারাম হচ্ছে এটা যদি কেউ নিশ্চিত না হয়ে ঐ কাজ টা সে করেই চলে।এবং সেই কাজটা হারাম বা হালাল হওয়ার কারণগুলো না জানতে চায় এই ভয়ে যে যদি সে কাজটা হারাম হয় এতে কি তার ইমান চলে যাবে ঐ কাজটা করার করার কারণে বা হালাল ভেবেই করার করার কারণে??

শায়খ একটু বুঝিয়ে বলবেন সবটা।

উল্লেখ্য এখানকার কোন কথাই সে মুখে বলেনি

1 Answer

0 votes
by (559,380 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)
 
অপর এক হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ

আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মাতের ভুল , বিস্মৃতি ও বলপূর্বক যা করিয়ে নেয়া হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন। [সুনানে ইবনে মাজাহ, ২০৪৩]
 
হাদীস শরীফে এসেছে-
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَّامٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا نَجِدُ فِي أَنْفُسِنَا شَيْئًا مَا نُحِبُّ أَنْ نَتَكَلَّمَ بِهِ وَإِنَّ لَنَا مَا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ، قَالَ: «أَوَ قَدْ وَجَدْتُمْ ذَلِكَ؟» قَالُوا: نَعَمْ، قَالَ: «ذَاكَ صَرِيحُ الْإِيمَانِ»

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ সাহাবীগণ বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের মনের মধ্যে এমন কিছু চিন্তার উদ্রেক হয় যা সূর্য উদিত হওয়ার পরিধির মধ্যকার (মূল্যবান) সবকিছুর বিনিময়েও কথায় প্রকাশ করা আমরা মোটেও সমীচীন মনে করি না। তিনি জিজ্ঞেস করেনঃ তোমরা কি তা অনুভব করো? তারা বলেন, হাঁ। তিনি বলেনঃ এটিই ঈমানের সুস্পষ্ট পরিচয়। (মুসলিম, আবু দাউদ, ইবনে হিব্বান) আদাবুল মুফরাদ, হাদীস নং- ১২৯৬ হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঈমান চলে যাবেনা।
সে দ্বীন থেকে বের হয়ে যাবেনা।

(০২)
এতে তার ইমান চলে যাবেনা, সে দ্বীন থেকে বের হয়ে যাবেনা।

(০৩)
এতে তার ইমান চলে যাবেনা, সে দ্বীন থেকে বের হয়ে যাবেনা।

তবে এহেন চিন্তাভাবনা ঈমানকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়,তাই যেভাবেই হোক,এহেন চিন্তা থেকে হেফাজতে থাকতে হবে।
 
(০৪)
এতে তার ঈমান চলে যাবেনা।
তবে মুসলিম মাত্রই যেকোনো কাজ করার ক্ষেত্রে হালাল হারাম জেনে কাজ করতে হবে।
নিজের মন মতো চলা যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...