আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
73 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ

১-হাদিসে পেয়েছি যেখানে সূরা বাকারা তিলাওয়াত করা হয় সেখান থেকে শয়তান পালিয়ে যায়।/এমন ছিলো সূরা বাকারা তিলাওয়াত করা হলে শয়তান তিনদিন ওখানে আসেনা।

এখন আমার প্রশ্ন একদিনেই সূরা বাকারা পুরোটা তিলাওয়াত করতে হবে?/অর্ধেক/অর্ধেকের কম পড়লেও হবে?নাকি এ ফযিলত শুধু পুরোটা তিলাওয়াত এর জন্য দৈনিক।ডেইলি পুরো সূরা তিলাওয়াত করা কষ্টসাধ্য তবে অসম্ভব কিছুনা।তাই জানতে চাচ্ছি।পুরোটা পড়লেই এ ফযিলত?/একটু পড়লেও হবে?/অর্ধেক?
আর যদি আজকে এক পারা এরপর দিন ২য় পারা এরপর দিন সূরা বাকারার বাকি টুকু তিলাওয়াত করি তাহলেও এ ফযিলত পাওয়া যাবে?আর এমনটা যদি প্রতিদিন রিপিট করি তাহলে?

২-রাতে সূরা মুলক তিলাওয়াত করার ফযিলত জানি আলহামদুলিল্লাহ। এখন যদি এশার সালাতে একটু একটু করে পুরো সূরা তিলাওয়াত করি তাহলে এ ফযিলত লাভ হবে?নাকি আলাদা তিলাওয়াত করতে হবে?

৩-প্রতি রাতে ১০০ আয়াত তিলাওয়াত করলে পুরো রাত কিয়াম করার সওয়াব পাওয়া যায় হাদিসে আছে।এখন এটা কি এশার সালাতে যা তিলাওয়াত করবো সেটা সহ?/আলাদা তিলাওয়াত করতে হবে ১০০ আয়াত?

জানাবেন ইংশাআল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
একটু পড়লেও হবে,অর্ধেক করে পড়লেও হবে।
যদি আজকে এক পারা এরপর দিন ২য় পারা এরপর দিন সূরা বাকারার বাকি টুকু তিলাওয়াত করেন তাহলেও এ ফযিলত পাওয়া যাবে।আর এমনটা যদি প্রতিদিন রিপিট করি তাহলেও ফজিলত পাওয়া যাবে,ইনশাআল্লাহ।  

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبَّاسٍ الْجُشَمِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ سُورَةً مِنَ الْقُرْآنِ ثَلاَثُونَ آيَةً شَفَعَتْ لِرَجُلٍ حَتَّى غُفِرَ لَهُ وَهِيَ سُورَةُ تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ " . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .

মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট কুরআনের একটি সূরা (পাঠ করে) কোন ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করলে তাকে মাফ করে দেওয়া হয়। সেই সূরাটি হল তাবারাকল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক। 
হাসান, তা'লীকুর রাগীব ২/২২৩, মিশকাত ২১৫৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৮৯১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা রহঃ বলেন) হাদীসটি হাসান।

حَدَّثَنَا هُرَيْمُ بْنُ مِسْعَرٍ، - تِرْمِذِيٌّ - حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ لاَ يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ : (الم * تَنْزِيلُ ) وَ ( تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ ) . 

হুরায়ম ইবন মিসআর (রহঃ) ...... জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলিফ-লাম-মীম তানযীল এবং তাবারাকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক সূরা দু’টি না পড়ে ঘুমাতেন না। 

সহীহ, সহীহাহ ৫৮৫, আর রওয ২২৭, মিশকাত তাহকিক ছানী ২১৫৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৮৯২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
রাসুলুল্লাহ সাঃ সুরা মুলক ঘুমানোর আগ দিয়ে পড়তেন,তার মানে নামাজে নয়,আলাদা ভাবে পড়াই এর স্বতন্ত্র নিয়ম।

তবে কেহ যদি রাতে এই সুরা পড়ার ফজিলত পাওয়ার নিয়তে প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে অর্থাৎ এশার সালাতে একটু একটু করে পুরো সূরা তিলাওয়াত করে, তাহলেও ফযিলত লাভ হবে।

তবে আলাদা তিলাওয়াত করাই উত্তম।

(০৩)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ইশার সালাতে যাহা তিলাওয়াত করবেন,সেক্ষেত্রে তিলাওয়াত এর  সময়  উক্ত ফজিলতের হাসিলের নিয়ত করলে আপনি ফজিলত পাবেন,ইনশাআল্লাহ। 

তবে আলাদা তিলাওয়াত করাই উত্তম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...