আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
124 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (81 points)
বাইবেল কে গালি দেয়া কি কুফুরী।কেননা সেখানে রাসূল(সা) এর সম্পর্কে ভবিষ্যৎ বানী করা আছে।এছাড়া সেখানে অনেক অশ্লীল কথাবার্তা আছে অন্য নবীদের নিয়ে।আমার বাইবেল সম্পর্কে একটি খারাপ কথা মাথায় আসে।এবং আমি একমত হই তাতে।এটি কি কুফুরী?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কোনো সাধারণ মুসলমানের জন্য অন্য ধর্মের গ্রন্থ পড়া জায়েয হবে না।
হযরত জাবের (রা.) বলেন যে, ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রা) তাওরাতের একটি কপি নিয়ে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের কাছে এলেন। অতঃপর বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! এটি তাওরাতের একটি কপি। একথা শুনে তিনি চুপ রইলেন। অতঃপর ওমর (রা.) পড়তে শুরু করলেন। এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সা)-এর চেহারা পরিবর্তিত হ’তে থাকল। তখন আবুবকর (রা.) ওমরকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলেন, তোমার সর্বনাশ হৌক! তুমি কি রাসূলুল্লাহ (সা)-এর চেহারার অবস্থা দেখছ না? তখন ওমর রাসূল (সা)-এর চেহারার দিকে তাকালেন। অতঃপর (ক্ষমা চেয়ে) বললেন, আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ক্রোধ হ’তে আল্লাহ্র আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমরা আল্লাহকে প্রতিপালক হিসাবে, ইসলামকে দ্বীন হিসাবে এবং মুহাম্মাদকে নবী হিসাবে পেয়ে সন্তুষ্ট রয়েছি’। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন নিহিত, তার কসম করে বলছি, যদি আজ মূসা তোমাদের নিকটে আবির্ভূত হ’তেন। আর তোমরা তার অনুসরণ করতে এবং আমাকে পরিত্যাগ করতে, তাহ’লে অবশ্যই তোমরা সরল পথ হ’তে বিচ্যুত হ’তে। যদি মূসা বেঁচে থাকতেন ও আমার নবুঅতকাল পেতেন, তাহ’লে অবশ্যই তিনি আমার অনুসরণ করতেন’।
-দারেমী। মিশকাত হা/১৯৪, আলবানী সনদ হাসান।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
বাইবেল পূর্ববর্তী সকল কিতাবের একটি সংস্করণ। বাইবেলের মধ্য তাওরাত,জবুর, ইঞ্জিল সকল কিতাব বিদ্যমান।এসব কিতাব আল্লাহর তরফ থেকে এসেছে,এ সম্পর্কে কাররো্ দ্বিমত নাই। বাইবেলে মানুষ কর্তৃক সংযোজন ও বিয়োজন হয়েছে।এটাও সঠিক। তবে কোন কোন জায়গায় সংযোজন বিয়োজন হয়েছে, এবং কতটুকু হয়েছে, সে সম্পর্কে কোনো নিশ্চয়তা নাই।
তাই বাইবেলকে অপবিত্র অবস্থায় স্পর্শ করা যাবে।বাইবেলকে গালিগালাজ করা যাবে না।কেউ করলে তাকে তাওবাহ করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও বিয়োজন করা হঢেছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...