আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
217 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (40 points)
শুধু একজন মুফতি সাহেব না বরং একজন মনোচিকিৎসক হিসেবেও উত্তর আশা করি। আমি একধরণের পেরেশানিতে ভুগছি সেটা হল: চাকুরির আবেদন বা চাকুরির পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় বা চাকুরি প্রাপ্তির সাথে খুব সামান্যভাবেও সংশ্লিষ্ট যে কোন কাজে কোন পাপ করে ফেললে,বিশেষ করে অন্যের হক নষ্ট বা অন্যের জিনিস বিনা অনুমতিতে ব্যবহার যেমন, চাকুরির পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় যাতায়াত ভাড়া কম দিয়ে ফেলা, অন্যের জিনিস না বলে ব্যবহার, বা এটা মনে করা যে আমার অর্জিত সকল জ্ঞান হয়তো বৈধ পন্থায় নাও হতে পারে তবে সেই জ্ঞান প্রয়োগ করে পাওয়া চাকুরী ও বেতন হালাল হবে কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি। এবং দুঃখজনকভাবে কোন চাকুরির পরীক্ষার প্রিলিতে এরকম কিছু করে ফেললে রিটেন বা ভাইবার জন্য প্রস্তুতি বা অংশগ্রহণ করতে মন থেকে বড় বিপত্তি আসে।

১/চাকুরী এবং বেতন হালাল হওয়ার মূলনীতি জানতে চাই। উপরে বর্নিত ঘটনাগুলোর মত কোন বিষয় চাকুরী এবং বেতনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে?
২/ দুটো পরিক্ষার প্রিলিতে আল্লাহর রহমতে টিকেছি যে পরীক্ষা দুটো দিতে যাওয়ার সময় উপরে বর্নিত ঘটনাগুলো ঘটেছে। তখন ভাবছিলাম যে চাকুরিটায় এই বুঝি ভেজাল ঢুকে গেল তাই প্রিলি টা-ই দিব না, আবার ভাবলাম কষ্ট করে আসলাম তাই পরীক্ষাটা দিয়েই যাই। সেভবে পরীক্ষা দিছি এবং টিকছি।এখন, সামনে রিটেন এবং ভাইবার প্রস্তুতি নিবো কি নিবো না, বা রিটেন এবং ভাইবায় অংশগ্রহন করবো কি করবো না সে বিষয়ে রায় দিন।

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,অন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা। (আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মানসিক চিকিৎসার অনেক ধাপ রয়েছে,
প্রথমত আপনাকে বলবো যে, আপনি কোনো নেককার মানুষের সংস্পর্শ গ্রহণ করবেন অথবা তাবলীগে তিনচিল্লা সময় লাগাবেন। দ্বিতীয়ত, আপনি সর্বদা উত্তমতাকে গ্রহণ করবেন।

আনুষাঙ্গিক কোনো কারণে (যেমন আপনি বর্ণনা করেছেন) চাকুরী নাজায়েয বা হারাম হবে না। সাদী কাজে সহায়তা বা অন্যায়ে সহায়তা মূলক কাজের চাকুরী করা কিংবা ধোকা ও প্রতারণাপূর্ণ কাজে সহায়তা করাই মূলত হারাম ও নাজায়েয।

আপনি যে সব বিষযের ভয় অন্তরে ঢুকিয়েছেন, এসব কারণে চাকুরী নাজায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 186 views
...