শরীয়তের বিধান হলোঃ সাম্যতা বজায় রাখতে না পারলে, কিংবা হক আদায় করতে না পারলে দ্বিতীয় বিবাহ করা জায়েজ নয়।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
فَانكِحُوا مَا طَابَ لَكُم مِّنَ النِّسَاءِ مَثْنَىٰ وَثُلَاثَ وَرُبَاعَ ۖ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تَعْدِلُوا فَوَاحِدَةً [٤:٣]
সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই [সূরা নিসা-৩]
স্ত্রীকে খুশি রাখাও স্বামী একটি দায়িত্ব। নবীজী এ বিষয়ে খুবই গুরুত্ব প্রদান করেছেন।
وَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا، فَإِنَّهُنَّ خُلِقْنَ مِنْ ضِلَعٍ، وَإِنَّ أَعْوَجَ شَيْءٍ فِي الضِّلَعِ أَعْلاَهُ، فَإِنْ ذَهَبْتَ تُقِيمُهُ كَسَرْتَهُ، وَإِنْ تَرَكْتَهُ لَمْ يَزَلْ أَعْوَجَ، فَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, আমার নিকট হতে নারীদের সাথে সদাচরণের উপদেশ গ্রহণ কর। তাদেরকে পাঁজরের হাড় দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে এবং হাড়ের মধ্যে সর্বাধিক বাঁকা হাড় হল উপরেরটি। [সেই হাড় হতেই নারীদের সৃষ্টি করা হয়েছে]। অতএব তুমি যদি তা সোজা করতে চাও তবে ভেঙ্গে ফেলবে। আর ঐভাবে ফেলে রাখলে সর্বদা উহা বাঁকাই থাকবে; সুতরাং তোমরা নারীদের সাথে সদ্ব্যবহার করবে। {বুখারী, হাদীস নং-৫১৮৬}
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: “أَكْمَلُ الْمُؤْمِنِينَ إِيمَانًا أَحْسَنُهُمْ خلقا، وخياركم خياركم لنسائهم”
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মুমিনদের মধ্যে পূর্ণতর মুমিন সেই ব্যক্তি, যার আচার আচারণ উত্তম। আর তোমাদের মাঝে উত্তম সেই ব্যক্তি যে তার স্ত্রীদের কাছে উত্তম। {সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪১৭৬}
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
স্বামীর প্রতি স্ত্রী যদি অতিরিক্ত আসক্ত থাকে, অন্য নারী থেকে স্বামীকে সরিয়ে রাখতে চায়, এটা স্ত্রীর জন্য অন্যায় হবেনা।
স্বামীকে একদম নিজের করে রাখতে চাওয়া, কখনো যেন মাসনা না করে সেই ভাবে স্বামীকে আগলে রাখা, স্বামীর ভাগ কাউকে না দিতে চাওয়া এসব অন্যায় নয়।
জায়েজ আছে।
,
এতে ঈমান হারা হওয়া সংক্রান্ত কোনো সমস্যা নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
রাসূল (ছাঃ) বলেন, বনু হিশাম ইবনু মুগীরা আলীর কাছে তাদের মেয়েকে বিবাহ দেবার জন্য আমার কাছে অনুমতি চেয়েছে। কিন্তু আমি অনুমতি দিব না, আমি অনুমতি দিব না, আমি অনুমতি দিব না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আলী আমার কন্যাকে তালাক দেয় এবং এর পরেই সে তাদের মেয়েকে বিবাহ করতে পারে। কেননা ফাতেমা হচ্ছে আমার কলিজার টুকরা এবং সে যা ঘৃণা করে, আমিও তা ঘৃণা করি এবং তাকে যা কষ্ট দেয়, তা আমাকেও কষ্ট দেয়’ (বুখারী হা/৫২৩০; মুসলিম হা/২৪৪৯)।