যে গুনাহর জন্য পার্থিব জীবনে হদ বা শাস্তি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, যেমন,নিরপরাধ মানুষ হত্যা, ব্যভিচার, চুরি ইত্যাদি। কিংবা যে পাপের জন্য পরকালে জাহান্নাম বা আল্লাহর ক্রোধ কিংবা অভিসম্পাতের কারণ বলে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে, যেমন,সুদ খাওয়া, মাতা-পিতার অবাধ্য হওয়া ইত্যাদি। এগুলো কবিরা গুনাহ।
আর যেসব পাপের ব্যাপারে শরীয়তে কোনো শাস্তি, আল্লাহর ক্রোধ বা অভিশাপের কথা বলা হয়নি; বরং শুধুই শরীয়তে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, সেসব হলো সগিরা গুনাহ।
তবে সেসব গুনাহও কবিরা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত হবে, যার অনিষ্ট ও পরিণতি কোনো কবিরা গুনাহর অনুরূপ কিংবা তার চেয়েও অধিক।
আবার যেসব ছোট গুনাহ নির্ভয়ে করা হয় কিংবা নিয়মিতভাবে করা হয়, সেগুলোও কবিরা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত হবে।
(০২)
দাঁড়িয়ে খাবার খাওয়া সম্পর্কে হাদীস শরীফে নিষেধাজ্ঞা এসেছে।
এভাবে খেলে গুনাহ হবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَن أَنَسٍ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم: أَنَّهُ نَهَى أَن يَشْرَبَ الرَّجُلُ قَائِماً . قَالَ قَتَادَةُ: فَقُلْنَا لأَنَسٍ: فَالأَكْلُ ؟ قَالَ: ذَلِكَ أَشَرُّ ـ أَوْ أخْبَثُ ـ رواه مسلم . وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم زَجَرَ عَن الشُّرْبِ قائِماً
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোককে দাঁড়িয়ে পান করতে নিষেধ করেছেন। কাতাদাহ বলেন, আমরা আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-কে প্রশ্ন করলাম, ‘আর (দাঁড়িয়ে) খাওয়া?’ তিনি বললেন, ‘তা তো আরো মন্দ বা আরো জঘন্য কাজ।’
(মুসলিম ২০২৪, তিরমিযী ১৮৭৯, আবূ দাউদ ৩৭১৭, ইবনু মাজাহ ৩৪২৩, ৩৪২৪, আহমাদ ১১৭৭৫, ১১৯২৯, ১২০৮১, ১২৪৬০, ১২৬৪৯, ১২৮১৯ , ১৩২০৬, ১৩৫৩১, ১৩৬৯১, দারেমী ২১২৭)
তাঁর অন্য এক বর্ণনায় আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে পান করার ব্যাপারে ধমক দিয়েছেন।
★বিনা ওযরে শুয়ে খাবার খাওয়া মাকরুহ।
গুনাহ হবে।
মহানবী (ﷺ) বলেন, ‘‘আমি হেলান দিয়ে খাই না।’’
মুসনাদে আহমাদ আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা. হা/ ১৮২৭৯, বুখারী তাওহীদ পাবঃ হা/ ৫৩৯৯
তিনি হেলান দিয়ে খেতে নিষেধও করেছেন। তিনি (ﷺ) বলেন- لَا تَأْكُلْ مُتَّكِئًا ‘‘হেলান দিয়ে খেয়ো না’’।
সিলসিলাহ সহীহাহ আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা. হা/৩১২২
রসূল (ﷺ) বলেন
وَأَنْ يَأْكُلَ الرَّجُلُ وَهُوَ مُنْبَطِحٌ عَلَى بَطْنِهِ
‘‘ কোন ব্যক্তি যেন উবুর হয়ে পেটের উপর ভর করে না খায়’’।
আবূ দাঊদ হা/৩৭৭৪, ইবনে মাজাহ আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা. হা/৩৩৭০, সিলসিলাহ সহীহাহ আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা. হা/২৩৯৪, সহীহ।