জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
কোনো এক মাসয়ালার ক্ষেত্রে ফুকাহায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ হতে পারে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حديث ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَنَا، لَمَّا رَجَعَ مِنَ الأَحْزَابِ: لاَ يُصَلِّيَنَّ أَحَدٌ الْعَصْرَ إِلاَّ فِي بَنِي قُرَيْظَةَ فَأَدْرَكَ بَعْضُهُمُ الْعَصْرَ فِي الطَّرِيقِ فَقَالَ بَعْضُهُمْ: لاَ نُصَلِّي حَتَّى نَأْتِيَهَا وقَالَ بَعْضُهُمْ: بَلْ نُصَلِّي، لَمْ يُرَدْ مِنَّا ذلِكَ فَذُكِرَ لِلنَبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمْ يُعَنِّفْ وَاحِدًا مِنْهُمْ
ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আহযাব যুদ্ধ হতে ফিরার পথে আমাদেরকে বললেন, বনু কুরাইযা এলাকায় পৌছার পূর্বে কেউ যেন ‘আসর সলাত আদায় না করে। কিন্তু অনেকের রাস্তাতেই আসরের সময় হয়ে গেল, তখন তাদের কেউ কেউ বললেন, আমরা সেখানে না পৌছে সলাত আদায় করব না। আবার কেউ কেউ বললেন, আমরা সলাত আদায় করে নেব, আমাদের নিষেধ করার এ উদ্দেশ্য ছিল না (বরং উদ্দেশ্য ছিল তাড়াতাড়ি যাওয়া) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এ কথা উল্লেখ করা হলে, তিনি তাদের কারোর সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেননি।
(অর্থাৎ উভয়ই ছহীহ ছিলো)
(সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ১২ খাওফ, অধ্যায় ৫, হাঃ ৯৪৬; মুসলিম, পর্ব ৩২: জিহাদ, অধ্যায় ২৩, হাঃ ১৭৭০)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যদি একই ফতুয়াতে দুইজন মুফতি সাহেবের উত্তর দুই রকম হয় তখন আপনি যেই মাযহাব অনুসারী, সেই মাযহাবের পক্ষের মুফতী সাহেবের মত অনুসরণ করবেন।
আর যদি উভয়েই আপনার মাযহাবের মুফতী সাহেব হয়ে থাকেন,তাহলে যার ফতোয়ার দলিল শক্তিশালী, সেটির উপর আমল করবেন।
এক্ষেত্রে কার দলিল বেশি শক্তিশালী,বা কোন মতের উপর ফতোয়া, সেটি জানার জন্য নিকটস্থ কোনো বিজ্ঞ আলেমের স্বরনাপন্ন হতে হবে।