জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী স্বর্ণের ক্ষেত্রে যাকাত,কুরবানীর নিসাব হল বিশ মিসকাল।
আধুনিক হিসাবে সাড়ে সাত ভরি।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى قَالَا حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُوسَى أَنْبَأَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ إِسْمَعِيلَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ وَاقِدٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ وَعَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْخُذُ مِنْ كُلِّ عِشْرِينَ دِينَارًا فَصَاعِدًا نِصْفَ دِينَارٍ وَمِنْ الْأَرْبَعِينَ دِينَارًا دِينَارًا
ইবনু ‘উমার ও ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি বিশ দিনার বা তার চেয়ে কিছু বেশি হলে অর্ধ দিনার এবং চল্লিশ দিনারে এক দিনার (যাকাত) গ্রহণ করতেন।
(ইবনে মাজাহ ১৭৯১ ইরওয়াহ ৮১৩।
দারাকুতনী ১৮৭৯, ১৮৯২)
আরো জানুনঃ
★শরীয়তের বিধান হলো,প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র কুরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।
আর নিসাব হল স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি, রূপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি, টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্ত্তর ক্ষেত্রে নিসাব হল এর মূল্য সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া। আর সোনা বা রূপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজন অতিরিক্ত একাধিক বস্ত্ত মিলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায় তাহলেও তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব।-আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৫৫; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪০৫
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার কাছে যেহেতু নেসাব পরিমান সম্পদ রয়েছে,সুতরাং আপনার উপর কুরবানী ওয়াজিব।
আপনার স্বামী যদি আপনাকে কুরবানী দেয়ার জন্য টাকা হাদিয়া দেন,সেটি দিয়েও আপনি কুরবানী দিতে পারবেন।
অথবা আপনার স্বামী আপনাকে জানিয়ে আপনার থেকে অনুমতি নিয়ে আপনার নামে কুরবানী দিতে পারেন,বা গরুতে আপনার নামে ভাগ দিতে পারেন।
অথবা কাহারো থেকে ঋন নিয়ে কুরবানী আদায় করতে পারবেন।
কোনোভাবেই যদি কুরবানী দেয়ার মতো টাকা জোগাড় না করতে পারেন,তাহলে প্রয়োজনে কিছু বিক্রয় করে হলেও কুরবানী দিতে হবে।
(০২)
★আপনার স্বামী আপনাকে জানিয়ে আপনার অনুমতিতে নিয়ে আপনার পক্ষ থেকে যাকাত দিতে পারবেন।
★অথবা আপনাকে হাদিয়া দিলে আপনিই সেই যাকাত নিজের পক্ষ আদায় করতে পারবেন।
উভয়টিই করা যাবে।
(০৩)
মাকরুহে তাহরিমি হারামের নিকটতম।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আমলগত দিক থেকে হারাম হবে,তবে ই'তিকাদ এর দিক থেকে হারাম নয়।
(০৪)
সুন্নাত পড়ে ফরজ পড়তে পড়তে ওয়াক্ত চলে যায় ২-৩ মিনিট নিষিদ্ধ ওয়াক্ত চলে আসলে,উক্ত ফরজ আবার কাযা পড়তে হবে।
এক্ষেত্রে আপনার জন্য শুধু ফরজ পড়াটাই উচিত ছিলো।
ইশরাকের ওয়াক্তে বা এর পরবর্তীতে সেদিনের জোহরের ওয়াক্ত আসার আগে যেকোনো সময়ে উক্ত সুন্নাতের কাজা আদায় করতে পারেন।
নিষিদ্ধ ওয়াক্তে ফরজ যেমন পড়া যাবেনা সুন্নত বা নফল নামাজও পড়া যাবেনা।
কোনো নামাজই পড়া যাবেনা।
নিষিদ্ধ তো নিষিদ্ধই।
সব নামাজই নিষিদ্ধ।