জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
নাপাকির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা কাম্য।
কেননা হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَبْرَيْنِ، فَقَالَ: ” إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ، أَمَّا أَحَدُهُمَا: فَكَانَ لَا يَسْتَنْزِهُ مِنَ البَوْلِ – قَالَ وَكِيعٌ: مِنْ بَوْلِهِ – وَأَمَّا الْآخَرُ: فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ “.
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূল সাঃ দু’টি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম হচ্ছিলেন। বললেন, এ দু’টি কবরে আযাব হচ্ছে। কোন বড় কারণে আজাব হচ্ছে না। একজনের কবরে আজাব হচ্ছে সে পেশাব থেকে ভাল করে ইস্তিঞ্জা করতো না। আরেকজন চোগোলখুরী করতো। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৯৮০, বুখারী, হাদীস নং-১৩৬১}
,
সুতরাং নাপাকির ক্ষেত্রে সর্বদায় সতর্ক থাকতে হবে।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত বেসিন ও শরীর নাপাক হয়ে যাবে।
বেসিনের ভিতরের সাইটের চারদিকে একবার ভালোভাবে পানি প্রবাহিতব করে দিলেই বেসিন পাক হয়ে যাবে।
আপনার শরীরে যে ছিটা আসলো,এটি যদি এক দিরহাম (৫ টাকার কয়েন) থেকে কম হয়,তাহলে এটি মাফ।
তাই এক্ষেত্রে তাহা ধোয়া আবশ্যক নয়।
এই শরীরে/কাপড়ে নামাজ পড়া যাবে।
আর যদি উক্ত ছিটে আসা পানির পরিমান এক দিরহাম সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি হয়, তাহলে শরীরে/কাপড়ে যেখানে সেই নাপাক ধোয়ার ছিটে আসা পানি লাগবে,সেই স্থান পাক করতে হবে।
(০২)
উক্ত ছিটকানি নাপাক হয়ে গিয়েছে।
সেটি পানি দিয়ে ধুয়ে পাক করতে হবে।
যদি পাক করা হয়,তাহলে তো সেট স্পর্শ করতে কোনো সমস্যা নেই।
আর যদি পাক করা না হয়,তাহলে সেক্ষেত্রে সেটি শুকিয়ে গেলে আর হাতও শুকনো থাকলে সেই ছিটনাকি ধরলে তো কোনো সমস্যা নেই।
কিছুই নাপা হবেনা।
আর যদি উক্ত ছিটকানি ভেজা থাকে,বা ভেজা হাত দিয়ে তাহা ধরা হয়,তাহলে হাত নাপাক হবে।
এই হাত শুকিয়ে যাওয়ার আগে সেই ভাজে হাতে যাহা যাহা স্পর্শ করা হয়েছিলো,সবই নাপাক হয়ে যাবে।
,
তবে হাত শুকিয়ে গেলে তারপর যে সমস্ত বস্তু স্পর্শ করা হবে,তাহা নাপাক হবেনা।
(০৩)
ভেজা কাদা হলে,আর সেই স্যান্ডেলের নাপাকি যদি স্যান্ডেলের নিচ দিকেও থাকে (যেখানে কাদা লেগেছে) তাহলে এতে পাক স্যান্ডেলও নাপাক হয়ে যাবে।