ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1936 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তাকলীদের দু'টি শাখা রয়েছে যথাঃ-
(১)তাকলীদে শাখসী বা ব্যক্তি তাকলীদ।অর্থাৎ শরীয়তের প্রত্যেকটি মাস'আলায় নির্দিষ্ট কোনো একজনকে তাকলীদ করা।
(২)তাকলীদে গায়রে শাখসী বা স্বাধীন তাকলীদ, অর্থাৎ যেকোনো মাস'আলায় যেকোনো একজনকে তাকলীদ করা।সহজ কথা নিজের ইচ্ছানুযায়ী একেক মাস'আলায় একেকজনের তাকলীদ করা।
মুতাওয়াতির পর্যায়ের বর্ণনার মাধ্যমে প্রমাণিত রয়েছে যে, কারো কোনো মাস'আলা জানা না থাকলে না,তিনি বিজ্ঞজনের তাকলীদ করবেন।তাকলীদ করা ফরয।এটা হলো মতলকে তাকলীদ তথা সাধারণ তাকলীদের বিধান।সমস্ত উলামায়ে কেরাম এমনকি আহলে হাদীসের মুহাক্বিক ইমামগনও মতলকে তাকলীদ তথা সাধারণ তাকলীদকে স্বীকার করে থাকেন।অধিকাংশ আহলে হাদীস সাধারণ তাকলীদের ফরযিয়্যাতেরও প্রবক্তা।
সুতরাং অজ্ঞদের জন্য বিজ্ঞজনের তাকলীদ করা যে ফরয,এতে কারো দ্বিমত নেই,মতবিরোধ নেই।
তাকলীদের পদ্ধতি নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।
তাকলীদে শাখসী করা হবে না গায়রে শাখসী করা হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1936
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
মাযহাব হল,কয়েকটি নির্দিষ্ট মূলনীতি(যা কুরআন সুন্নাহ থেকে চয়নকৃত) এর অালোকে একদল আলেমের গবেষণালদ্ধ মাস'আলা সমূহ।
(২)
মাযহাবের উৎপত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপরের লিংকে ক্লিক করুন। মাযহাবের প্রয়োজনিয়তা অপরিসীম। মাযহাব মানা ফরয।
(৩)
এই চারজন মুজতাহিদ আলেম ব্যতিত আরো অনেক মুজতাহিদ তখনকার সময়ে ছিলেন, তবে এই চারজন ব্যতিত অন্যদের সকল বিষয়ে গবেষণা ছিলনা।এই চারজনের সকল বিষয়ে গবেষণা ছিলো,বিধায় সবাই এই চারজনকেই অনুসরণীয় হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছেন।
(৪)
যারা নির্দিষ্ট কোনো আলোমকে মানেননা, তারাই সালাফি বা আহলে হাদীস।