আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
115 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (66 points)
আসসালামু আ'লাইকুম
১।কুরআনে হাত রেখে আল্লাহ কে ওয়াদা করা কি শিরক?
২। ফজরের সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে ঘুম থেকে উঠতে না পারলে   ঘুম থেকে জেগে উঠার পর তখনি আমার ওয়াক্ত, আমাকে তাড়াতাড়ি সালাত আদায় করে নিতে হবে। কিন্তু যদি ঘুম থেকে উঠে দেখি হারাম ওয়াক্ত শুরু হয়ে গেছে তাহলে কি হারাম ওয়াক্ত শেষে সালাত পড়বো নাকি কাজা পড়বো??
৩।স্কুলে এসেম্ব্লিতে শপথ পাঠ করানো হতো,কিন্তু যথাযথ ভাবে হয়তো সেভাবে স্কুলজীবনে কখনো পালন করা হয়নি,আর শপথের শুরু হতো-"আমি শপথ করিতেছি যে",  এখানে আল্লাহর নামে শপথ করছি এটা বলা হতো না।কার নামে শপথ করা হচ্ছে সেটা উল্লেখ থাকতো না।
এই শপথ না রাখতে পারলে কি গুনাহ হবে? আর এটা কি শিরক?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/579 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আল্লাহর নাম ব্যতীত অন্য কিছু দ্বারা শপথ করলে সেটা শরয়ী শপথ হিসেবে গণ্য হবে না।
তবে শুধুমাত্র কুরআনে কারীম সম্পর্কে ফুকাহায়ে কিরাম নিম্নোক্ত ব্যাখ্যা সাপেক্ষ্যে শপথ হওয়ার আলোচনা করে থাকেন। যেমনঃ
কেউ যদি কুরআনে কারীম কে হাতে নিয়ে বা তাতে হাত রেখে কোনো কথা বলে,কিন্তু সে শপথ/কসম ইত্যাদি শব্দ উল্লেখ না করে, অথবা কুরআনের দিকে ইশারা করে বলে, এই কুরআনের শপথ,
তাহলে সেটা শপথ হবে না।

হ্যা তবে যদি কুরআনে কারীমের দিকে ইশারা করা ব্যতীত কেউ বলে,কুরআনের শপথ অথবা কালামুল্লাহর শপথ অথবা কুরআনের দিকে ইশারা করে এভাবে বলে যে,তাতে যে আল্লাহর কালাম রয়েছে,তার শপথ, তাহলে তখন শরয়ী শপথ (কসম) হয়ে যাবে।যা ভঙ্গ করলে অবশ্যই কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে।(আহসানুল ফাতাওয়া-৫/৪৮৮)শপথ করার পর তা ভঙ্গ করলে অবশ্যই গোনাহ হবে।কাফ্ফারা আদায় পূর্বক আল্লাহর কাছে খালিছ নিয়তে তাওবাহ করতে হবে। আল্লাহ-ই ভালো জানেন।(শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কুরআন স্পর্শ করে শপথ করলে, সেটা কুফুর হবে না।

(২)
সূর্যোদয়ের পর কাযার নিয়তে পড়তে হবে।কেননা সূর্যোদয়ের দ্বারা ফজরের ওয়াক্ত সমাপ্ত হয়ে যায়।

(৩)
যেহেতু অাল্লাহর নাম উল্লেখ করে শপথ করা হয়নি, তাই সেই শপথকে রক্ষা করা জরুরী নয়। এবং রক্ষা না করলেও কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...