আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
155 views
in পবিত্রতা (Purity) by (40 points)
edited by
১.লোক দেখানো ওযু করলে কি শিরক হবে?

২.এতে কি সম্পূর্ণ ওযু বাতিল হয়ে যাবে?

নাকি যে টুকু লোক দেখানো হয়েছে সেটুকু বাতিল হবে?

৩.কারো টিটকারীর ভয়ে ইবাদত করলে কি শিরক হবে?

যেমন মাথা একাধিকবার মাথা মাসেহ করলে  যদি কেউ টিককারী করে তবে  তার ভয়ে আর মাথা মাসেহ না কর
৪.নামাজে কেরাত ভুল নামাজের মধো ঠিক করতে হয়।এখন কেউ যদি ১ রাকাতে সূরা ফাতিহা ভুল করে। আর মনে না থাকে। দ্বিতীয় রকাতে মনে পরে। তাহলে কি দ্বিতীয় রাকাতে দুই বার সূরা ফাতিহা পরতে হবে?আর কেউ যদি এরকম করে তবে কি নামাজ হবে

৫.সূরা ফাতিহা পর সূরা মিলিয়ে পরার আবার সূরা ফাতিহা পররে কি সাহু সিজদা দেওয়া লাগবে।
৬.নামাজের বড় শিরক বা বড়ৃ কুফুরি করলে কি ঐ ওয়াক্তের নামাজ আবার পরতে হবে?

৭.ওযুর পর বর কুফুরি বা বড় শিরক করলে কি ওযু ভাঙ্গে?

৮.হারাম কাজকে ভালো বললে কি শিরক বা কুফুরি হয হয়?

৯.হারাম করা ব্যক্তিকে পছন্দ করলে কি শিরক বা কুফুরি কাজ হয়?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১.লোক দেখানো ওযু করলে শিরক হবে না।

২.এতে ওযু বাতিল হবে না।

৩.কারো টিটকারীর ভয়ে ইবাদত করলে সেটাও শিরক হবে না।

৪.নামাজে কেরাত ভুল নামাজের মধো ঠিক করতে হয়।এখন কেউ যদি ১ রাকাতে সূরা ফাতিহা ভুল করে। আর মনে না থাকে। দ্বিতীয় রকাতে মনে পরে। তাহলে দ্বিতীয় রাকাতে দুই বার সূরা ফাতিহা পরতে হবে না। বরং সাহু সিজদা দিতে হবে।

৫.সূরা ফাতিহা পর সূরা মিলিয়ে পরার আবার সূরা ফাতিহা পররে সাহু সিজদা দেওয়া লাগবে।

৬.নামাজের বড় শিরক বা বড়ৃ কুফুরি করলে ঐ ওয়াক্তের নামাজ আবার পরতে হবে না

৭.ওযুর পর বর কুফুরি বা বড় শিরক করলে  ওযু ভাঙ্গে না।

৮.হারাম কাজকে ভালো বললে  শিরক বা কুফুরি হয হয় না।তবে অনুচিৎ।

৯.হারাম করা ব্যক্তিকে পছন্দ করলে  শিরক বা কুফুরি কাজ হয় না। তবে অনুচিৎ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...