আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
157 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (115 points)
১/সহশিক্ষা নাজায়েজ তাই আমি জেনারেল লাইনে আর পড়িনা।কিন্তু একটা ইউনিভার্সিটির খোঁজ পেয়েছি যেখানে দুনিয়াবি পড়ালেখার পাশাপাশি ইসলামিক পড়ালেখাও করানো হয়।যেমন দাওয়াহ,কুরানিক সায়েন্স, হাদিস।সেখানে ছেলে মেয়েদের আলাদা ক্লাস।মেয়েদেরকে মহিলা টিচার পড়ায়।শুধু ইংরেজি টা একটা স্যার পড়ান।কিন্তু সেখানে মহিলা পুরুষ টিচার একসাথে উঠাবসা করেন।পুরুষদের সামনে মহিলা টিচাররা বক্তৃতা দেন।এছাড়া গান বাজনাও হয় সেখানে কোনো অনুষ্ঠানে। মনে হচ্ছে মডারেট টাইপ।আল্লাহু আলাম।ইলম অনুযায়ী আমল নেই।এখন দ্বীনি ইলম নেওয়ার ক্ষেত্রে তো দেখতে হয় উস্তায কেমন!আমার তো দ্বীনি ইলম নেই তেমন।তো এই প্রতিষ্ঠান এর ওরা ভুল পড়াচ্ছে নাকি সঠিক তা তো ধর‍তে পারবো না।আকিদা কেমন তাও জানিনা।আমি কোনোভাবেই খারাপ শিক্ষা বা বিশ্বাস নিজের মধ্যে ঢুকাতে চাচ্ছিনা।ওখানে দাওয়াহ নিয়ে পড়ানো হবে।এখন দাওয়াহ নিয়ে ভুল শিখালে।আবার কুরআনের তাফসীর পড়াবে।তাফসীরের ভুল ব্যাখ্যা দিলে?আমার যেহেতু তেমন দ্বীনি ইলম নেই তাই আমি ধরতেও পারবোনা ঠিকমতো যে আসলেই সঠিক করে পড়াচ্ছে কিনা!এইক্ষেত্রে আমার কি সেখানে পড়া উচিত হবে?

২/মেয়েদের মেকাপে অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় হারাম উপাদান মিশ্রিত আছে।যদি নিশ্চিত জানি যে মেকাপের এই প্রডাক্টে হারাম মিশ্রিত আছে তাহলে কি ব্যবহার করা যাবে?যেহেতু মেকাপ তো মুখেই লাগাচ্ছি, আবার নামাযের আগে ধুয়ে ফেলবো।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
জেনারেল শিক্ষা অর্জন সম্পর্কে আমরা
https://www.ifatwa.info/434 নং ফাতাওয়ায় ইতি পূর্বে বলেছিলাম যে,
বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।

১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)(শেষ)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু প্রচলিত সহশিক্ষায় কিছু শর্তসাপেক্ষ ফুকাহায়ে কেরাম সহশিক্ষা গ্রহণের অনুমোদন দিয়ে থাকেন, তাই আপনি যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্টানে উক্ত শর্তাদি পালনের স্বার্থে আপনি শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন।

আপনি যেই প্রতিষ্টানের কথা উল্লেখ করলেন, সেই প্রতিষ্টানে দ্বীন কিভাবে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে? তাদের আকিদা বিশ্বাসই কি? তারা কোন মাযহাব ও মানহাযকে অনুসরণ করে থাকেন? এসব বিষয় যেহেতু অস্পষ্ট, তাই স্পষ্ট হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আপনি প্রচলিত শিক্ষা প্রতিষ্টানে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন। তাদের সবকিছু স্পষ্ট হয়ে গেলে,আপনি তাদের প্রতিষ্টানেই ভর্তি হবেন।গানবাজনা থাকলেও তাদের ওখানে ইসলামি পরিবেশ পাবেন।

(২)
যদি নিশ্চিত জানেন যে,উক্ত মেকাপে হারাম উপাদান রয়েছে, তাহলে উক্ত মেকাপকে ব্যবহার করা জায়েয হবে না। নামাযের পূর্বে ধৌত করে নিবেন, সেই নিয়তেও উক্ত মেকাপ ব্যবহার করতে পারবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...