আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
215 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।

১)যদি কোন স্কুল/কলেজের শিক্ষক ছাত্রদের পড়ায় মনোযোগী করার জন্য জরিমানার ব্যবস্থা করে এবং সেই টাকার সাথে নিজে কিছু দিয়ে ক্লাসে সবাইকে খাওয়ায় এটা জায়েজ হবে ??? (এই নিয়ম শিক্ষকের ব্যক্তিগত ইচ্ছেতে করেছে, স্কুল অথোরিটি নয়)

২) বিয়ের ক্ষেত্রে বা অন্য কোন কাজে খোঁজ খবর নিবার জন্য আমরা অনেকসময় অন্য লোকের সাহায্য নেই।খোঁজ খবরের তথ্য দিবার জন্য আমরা কি তাকে কিছু টাকা পারিশ্রমিক হিসেবে দিতে পারি? যেমন - ঘটক আমাদের পাত্র/পাত্রীর ব্যাপারে তথ্য দেয় তখন তাকে পারিশ্রমিক দিতে পারবো?এই টাকা নেয়া তার জন্য কি জায়েজ হবে?

৩) মুহতারাম, আমি মাযহাব সম্পর্কে একটু ক্লিয়ার হতে চাই।আমি এতোদিন ভাবতাম কোন মাসয়ালা ৪ মাযহাবের মধ্যে থাকলে সেটার মধ্যে আল্যিমগন যেটা বেশি উত্তম বলে আমিও  সেটা বেছে নেই। পরে জানতে পারি, এভাবে নাকি করা যাবেনা। যেকোন এক মাযহাব ফলো করতে হবে।কিন্তু আমার প্রশ্ন,সবগুলোই তো রাসূল (স) করেছেন বা সাহাবীরা করেছেন তবে ৪ মাযহাবের মধ্যে আমি যদি থাকি তাইলে বিভ্রান্ত হবো কেন??একটু বুঝিয়ে বলবেন কেন এক মাযহাবে থাকতে বলেছে? আমি ৪ মাযহাব মানলে সমস্যা হবে? কিভাবে এটা নাফসের অনুসরণ হবে?
জাঝাকাল্লাহ খইরন।

1 Answer

0 votes
by (565,440 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী মালি জরিমানা অর্থাৎ    টাকা বা কোনো কিছু জরিমানা হিসেবে নেওয়া বৈধ নয়। 
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১০/২০৩.ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ ১৪/১৩৫.কিফায়াতুল মুফতী ২/১৬৬)

মূল বিধান হচ্ছে– কোন মুসলিমের সম্পদ গ্রহণ হারাম। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “নিশ্চয় তোমাদের রক্ত, তোমাদের ধন-সম্পদ, তোমাদের ইজ্জত-আব্রু তোমাদের পরস্পরের জন্য হারাম (পবিত্র) যেমনিভাবে তোমাদের এই দিনটি তোমাদের এই মাসে ও এই দেশে হারাম (পবিত্র)। এখানে উপস্থিত ব্যক্তি যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির নিকট এসব কথা পৌঁছে দেয়।”[সহিহ বুখারী (৬৭) ও সহিহ মুসলিম (১৬৭৯)]

عن أبي حرۃ الرقاشي عن عمہ رضي اللّٰہ عنہ قال: قال رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم: لا یحل مال إمرء مسلم إلا بطیب نفس منہ۔ (مسند أحمد ۵؍۷۲، شعب الإیمان للبیہقي ۲؍۷۶۹، مشکاۃ المصابیح ۲۵۵، مرقاۃ المفاتیح ۳؍۳۵۰)
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন কাহারো সন্তুষ্টি চিত্ত ব্যাতিরেকে তার সম্পদ ব্যবহার হালাল হতে পারেনা।
নাজায়েজ।        

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত জরিমানা জায়েজ নেই।

(০২)
সন্তুষ্টি চিত্তে এটি দেয়া যাবে।
তবে পূর্ব থেকে টাকার চুক্তি না থাকলে  ঘটক চাপ দিয়ে নিতে পারবেনা।

(০৩)
এটি নফসের অনুকরণ হবেই।
কেননা এক্ষেত্রে যেখানেই কোনো কঠিন বিষয় আসে,তখন সহজতার জন্য অন্য মাযহাব ফলো করা হয়।  

তাই এই পদ্ধতি জায়েজ নেই।
নফসের পূজা। 

বিস্তারিত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...