বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
সন্তান লালন পালন করতে যেয়ে সন্তানের সকল প্রকার প্রয়োজন পূর্ণ করা অভিবাবকের দায়িত্ব ও কর্তব্য। সন্তান যখন ছোট থাকে,তাকে তার সমবয়সীদের সাথে খেলতে দিতে হবে। সমবয়সীদের সাথে উঠাবসা এবং তার থেকে একটু বড় বয়সের দিক দিয়ে,তার সাথেও তাকে উঠাবসা করতে হবে। বয়সে যে বড় থাকে,তার কাছ থেকে কমবয়সী অভিজ্ঞতা নেয়,যা তাদের জন্য পরাবর্তিতে অনেক কাজে আসে।যারা জন্মের পর থেকে একা একা থাকে,তাদের এবং ঐ সব সন্তান যারা সমবয়সীদের সাথে খেলাধুলো সহ কিছু সময় কাটায়,তাদের মধ্যকার অবশ্যই কিছু পার্থক্য থাকবে।
অতীত সময়ের কোনো কোনো রাজা বাদশাহদের ছেলে সন্তান সম্পর্কে জানা যায় যে,তারা ঘরে একাকী জীবনযাপন করার দরুণ অনেকেই বোকা নির্বুধ হয়েছে।
যাইহোক,জন্মের পর থেকেই গায়রে মাহরাম পুরুষ থেকে নিজ মেয়েকে হেফাজতে রাখা আগলিয়ে রাখা, সেটা তো প্রশংসনীয় হবে।তবে এর জন্য অন্যকাউকে কষ্ট দেয়া যাবে না।বা কাউকে কঠুকথা বলা যাবে না।নিজ সন্তানের ইজ্জত আব্রুর হেফাজতের স্বার্থে আপনি মেয়েকে অাগলিয়ে রাখতে পারেন।তবে সমলিঙ্গের সমবয়সীদের থেকে কখনো একা করবেন না।
পরবর্তীতে, তাকে বাসায়ই হিফজ এবং ইলম অর্জনের জন্য ব্যবস্থা করে দিলে অর্থাৎ মাদ্রাসায় না পাঠিয়ে ঘরেই ব্যবস্থা করলে, সেটা অবশ্যই উত্তম সিদ্ধান্ত হবে।তবে সাথে সাথে হালযমানার জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তাকে কিছুটা শিক্ষা দিতে হবে।