আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
158 views
in পবিত্রতা (Purity) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারা কাতুহু শাইখ,
১।বাসায় কেউ ইসলামের বিধান অনুযায়ী কাপড় পবিত্র করে না। তাই কাপড় ধোয়ার পর যে পানি বাথরুমে লাগে সেই পানি তারা পায়ে দিয়ে আসে।আবার কাজের বুয়া একবার ঘর মোছে।তাই যতবার আমাদের মেঝেতে ভেজা অবস্থায় পা দেয়া হয় তা নাপাকই থাকে।এখন,আমি ঘরের একটা ছোট অংশ তিনবার মুছি।কিন্তু সেখানে আমার মা পা দেওয়ায় তো আমার মার পা ভিজে গেছে।তাই সেই জায়গা নাপাক হয়েছে।আবার পরের ওয়াক্ত নামাজের সময় সেখানে কিছু পানি পরে যা প্রবাহিত করে বেলকুনিতে ফেলে দেই।আমি জানি প্রবাহিত পানির মাধ্যমে পাক হবে। যদিও সামান্য পানি প্রবাহিত হয়েছে আমি সেটা পাক ধরেছি। সেই ভেজা জায়গায় নিশ্চয়ই বাসার কেউ পা দিয়েছে।পরের ওয়াক্ত নামাজে আমি পা ভেজা অবস্থায় সেই একই জায়গায় পা দেই। এবার সামান্য একটু পানি নিয়ে পায়ে  প্রবাহিত  করি কিন্তু পায়ের পাতার কিছু অংশে সেই পানি লাগেনি।তাই দুই পায়ের পাতা একসাতে ঘষি।সেই অবস্থায় যে নামাজ পড়া হয়েছে তা কি হয়েছে?

জায়নামাজ কি নাপাক হয়েছে?

২।যাদের মাথার চুল বড় গোসল করা র পর যদি সেই চুলের কোনো জায়গায়  তরল নাপাকি লাগে(আমার জামাগুলো তো মা বা মাঝে মাঝে বিয়া দুয়ে দেয়। তারা তো ইসলামের বিধান অনুযায়ী কাপড় পবিত্র করে না। তো গোসল করার পর সেি কাপড় পড়লে ভেজা চুল কাপড়ে লাগে।যেহেতু কাপড় পাক হয়নি তাই পানি লাগার সাথে সাথে তো চুলি নাপাক হয়ে যাবে।এখানে সেই তরল নাপাকি কথা বলেছি) অবস্থায় অজু করলে কি তা হবে?

৩।ওযুতে হাতের কনুইয়ের এর উপর যদি নাপাকি লাগে বা শরীরের এমন জায়গায় যা অজুর অঙ্গ নয় তাহলে তা ধুয়েই কি ওযু করলে ওযু হবে?

৪।হাতে যদি তরল নাপাকি লাগে(কাপড় ধোয়ার পরের পানি) তাহলে যদি আমি এক হাত ধুয়ে সেই হাত দ্বারা নাপাকি যুক্ত হাত মাসেহ করি তাহলে কি আমার দুই হাত পাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
উক্ত নামাজ হয়ে গিয়েছে।
জায়নামাজ নাপাক হয়নি। 

(০২)
কাপড়ে নাপাক লাগার পর যদি উক্ত নাপাক শুকিয়ে যায়, তাহলে উক্ত স্থানে হাত বা কাপড় লাগলে তা নাপাক হবে না। শুকানোর দ্বারা উদ্দেশ্য হল, নাপাক লেগে শুকিয়ে যাওয়া কাপড় নিংড়ালে কোন কিছু বের হয় না। অর্থাৎ কোন কিছুতে তা লাগলে নাপাকের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয় না। তাহলে যে কাপড় শুকিয়ে যাওয়া নাপাকে লেগেছে সে কাপড় ও স্থান নাপাক হয় না। সুতরাং পেশাব শুকিয়ে গেলে উক্ত স্থানে হাত লাগার দ্বারা হাতে নাপাকীর চিহ্ন না দেখা যায়, তাহলে হাত বা কাপড় নাপাক হবে না।

★কাপড়ে পেশাব লাগার পর যদি তা শুকিয়ে যায়, তাহলে উক্ত কাপড় অন্য শুকনা কিছুতে লাগলে তা নাপাক হবে না। শুকিয়ে যাওয়া দ্বারা উদ্দেশ্য হল, কোন কিছুতে তা লাগলে নাপাকের চিহ্ন পরিলক্ষিত না হওয়া। (খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৪২)

পক্ষান্তরে উক্ত কাপড় যদি এতটা ভেজা থাকে যে, অন্য শুকনা কিছুতে লাগলে তার চিহ্ন দেখা যায়, তাহলে ওই চিহ্ন এক দেরহাম পরিমাণ হলে অসুবিধা নেই। কিন্তু যদি এক দিরহাম থেকে অধিক হয় তাহলে যতটুকুতে লেগেছে ততটুকু নাপাক হয়ে যাবে।

عن علي وبن مسعود أنهما قدرا النجاسة بالدرهم وكفى بهما حجة في الاقتداء
হযরত আলী রাযি.  এবং ইবনে মাসউদ রাযি. নাপাক হওয়ার পরিমাণ নির্দিষ্ট করেছেন এক দিরহাম। আর মানার জন্য দলিল হিসাবে এই দু’জনই যথেষ্ট। (উমদাতুল কারী ৩/১৪০)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার চুলে নাপাকির গন্ধ/চিন্হ পাওয়া না গেলে সেটিকে নাপাক বলা হবেনা।
তাই আপনার চুলও পাক।
আপনার অযুও হয়ে গিয়েছে।

(০৩)
অযু হয়ে যাবে।
তবে শরীরে নাপাকি লেগে থাকার কারনে সেই নাপাকি পাক না করে নামাজ আদায় করা যাবেনা।

(০৪)
এতে দুই হাত পাক হবেনা। 
উভয় হাত পানি দিয়ে ধৌত করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...