আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারা কাতুহু শাইখ,
১।বাসায় কেউ ইসলামের বিধান অনুযায়ী কাপড় পবিত্র করে না। তাই কাপড় ধোয়ার পর যে পানি বাথরুমে লাগে সেই পানি তারা পায়ে দিয়ে আসে।আবার কাজের বুয়া একবার ঘর মোছে।তাই যতবার আমাদের মেঝেতে ভেজা অবস্থায় পা দেয়া হয় তা নাপাকই থাকে।এখন,আমি ঘরের একটা ছোট অংশ তিনবার মুছি।কিন্তু সেখানে আমার মা পা দেওয়ায় তো আমার মার পা ভিজে গেছে।তাই সেই জায়গা নাপাক হয়েছে।আবার পরের ওয়াক্ত নামাজের সময় সেখানে কিছু পানি পরে যা প্রবাহিত করে বেলকুনিতে ফেলে দেই।আমি জানি প্রবাহিত পানির মাধ্যমে পাক হবে। যদিও সামান্য পানি প্রবাহিত হয়েছে আমি সেটা পাক ধরেছি। সেই ভেজা জায়গায় নিশ্চয়ই বাসার কেউ পা দিয়েছে।পরের ওয়াক্ত নামাজে আমি পা ভেজা অবস্থায় সেই একই জায়গায় পা দেই। এবার সামান্য একটু পানি নিয়ে পায়ে প্রবাহিত করি কিন্তু পায়ের পাতার কিছু অংশে সেই পানি লাগেনি।তাই দুই পায়ের পাতা একসাতে ঘষি।সেই অবস্থায় যে নামাজ পড়া হয়েছে তা কি হয়েছে?
জায়নামাজ কি নাপাক হয়েছে?
২।যাদের মাথার চুল বড় গোসল করা র পর যদি সেই চুলের কোনো জায়গায় তরল নাপাকি লাগে(আমার জামাগুলো তো মা বা মাঝে মাঝে বিয়া দুয়ে দেয়। তারা তো ইসলামের বিধান অনুযায়ী কাপড় পবিত্র করে না। তো গোসল করার পর সেি কাপড় পড়লে ভেজা চুল কাপড়ে লাগে।যেহেতু কাপড় পাক হয়নি তাই পানি লাগার সাথে সাথে তো চুলি নাপাক হয়ে যাবে।এখানে সেই তরল নাপাকি কথা বলেছি) অবস্থায় অজু করলে কি তা হবে?
৩।ওযুতে হাতের কনুইয়ের এর উপর যদি নাপাকি লাগে বা শরীরের এমন জায়গায় যা অজুর অঙ্গ নয় তাহলে তা ধুয়েই কি ওযু করলে ওযু হবে?
৪।হাতে যদি তরল নাপাকি লাগে(কাপড় ধোয়ার পরের পানি) তাহলে যদি আমি এক হাত ধুয়ে সেই হাত দ্বারা নাপাকি যুক্ত হাত মাসেহ করি তাহলে কি আমার দুই হাত পাক হবে?