ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
নামাজে উভয় বৈঠকে তাশাহুদ পাঠ করা ওয়াজিব।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا نَقُولُ فِي الصَّلاَةِ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم السَّلاَمُ عَلَى اللَّهِ السَّلاَمُ عَلَى فُلاَنٍ . فَقَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ " إِنَّ اللَّهَ هُوَ السَّلاَمُ فَإِذَا قَعَدَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلاَةِ فَلْيَقُلِ التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ فَإِذَا قَالَهَا أَصَابَتْ كُلَّ عَبْدٍ لِلَّهِ صَالِحٍ فِي السَّمَاءِ وَالأَرْضِ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ثُمَّ يَتَخَيَّرُ مِنَ الْمَسْأَلَةِ مَا شَاءَ " .
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পিছনে সালাত (নামায/নামাজ) পড়ার সময় (বৈঠকে) বলতাম, السَّلاَمُ عَلَى اللَّهِ السَّلاَمُ عَلَى فُلاَنٍ (আল্লাহর উপর সালাম, অমুকের উপর সালাম) একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের বললেন, আল্লাহর নামই সালাম। তোমাদের কেউ যখন সালাত (নামায/নামাজ)-এ বসে সে যেন বলেঃ
التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ
যাবতীয় মান-মর্যাদা, প্রশংসা এবং পবিত্রতা আল্লাহর জন্য। হে নাবী, আপনার উপর শান্তি, আল্লাহর রহমত ও বরকত অবতীর্ণ হোক। আমাদের এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর শান্তি নেমে আসুক। যখন সে একথাগুলো বলে তখন তা আল্লাহর প্রতিটি নেক বান্দার কাছে পৌঁছে যায়, সে আসমানেই থাক অথবা জমীনে।
পরে বলবে
أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
“আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল।”
এরপর তা যা মন চায় দু'আ করবে।
(মুসলিম ৭৮২)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনার কি এটা প্রথম হয়েছে না মাঝেমধ্যে এমন হয়।যদি প্রথমবার বা কদাচিৎ হয়ে তাহলে আপনি আবার প্রথম থেকে শুরু করে নতুনভাবে উক্ত নামাজ পড়ে নিবেন।কিন্তু যদি আপনার প্রায় এরকম সন্দেহ হয়,তাহলে তাহাররি(সঠিক বিষয়ে পৌছার জন্য চিন্তাভাবনা করা) করে গালিবে যান্ন(প্রবল ধারণা) এর উপর আ'মল করবেন।
আর যদি কোনো দিকে প্রবল ধারনা না হয়,তাহলে তাশাহুদ পড়েননি ধরে নিবেন।
এখন আপনার করনীয় ছিলো নামাজ শেষে সেজদায়ে সাহু দেয়া।
সেটা যেহেতু আদায় করেননি,তাই ওয়াক্ত বাকি থাকলে নামাজটি পুনরায় আদায় করে নেয়া ওয়াজিব হবে।
আর ওয়াক্ত চলে গিয়ে থাকলে নামাজটি পুনরায় আদায় করতে হবেনা।
ফরজ আদায় হয়ে গিয়েছে।
তবে বিষয় সম্পর্কে আলেমদের মতবিরোধ থাকায় পুনরায় আদায় করাই সতর্কতা।
(০২)
আবার অযু করে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে হবে।
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 468):
"(ولفظ السلام) مرتين فالثاني واجب على الأصح برهان، دون عليكم.
(قوله: دون عليكم) فليس بواجب عندنا."
সারমর্মঃ
সালাম শব্দটি দুইবার বলা ওয়াজিব। আলাইকুম বলা ওয়াজিব নয়।
مراقي الفلاح شرح نور الإيضاح (ص: 95):
"و" يجب "لفظ السلام" مرتين في اليمين واليسار للمواظبة ولم يكن فرضا لحديث ابن مسعود "دون عليكم" لحصول المقصود بلفظ السلام دون متعلقه ويتجه الوجوب بالمواظبة عليه أيضًا."
সারমর্মঃঃ
ডানে বামে সালাম শব্দটি দুইবার বলা ওয়াজিব। ফরজ নয়। আলাইকুম বলা ওয়াজিব নয়।
(০৩)
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে ""প্রায় সময় ই দেখা যায় লিকুইড জাতীয় বের হচ্ছে খুব সামান্য পরিমানে""
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এই লিকুইড জাতীয় কিছু যেহেতু প্রায় সময়েই দেখা যায়।
তাই যদি অবস্থা এমন হয় ছোট সুরা দিয়ে নামাজ পড়লেও এই লিকুইড বের হওয়া থেকে বাঁচা সম্ভব না হয়,পুরো ওয়াক্ত জুড়েই যদি এমন হয়,তাহলে তো আপনি মা'যুর।
আপনি প্রতি ওয়াক্তের জন্য একবার অযু করে সেই ওয়াক্তে যত ইচ্ছা নামাজ আদায় করতে পারবেন।
(০৪)
হ্যাঁ জায়েজ আছে।
(০৫)
তাদের সাথেও ভালো সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।
কষ্ট দেয়া যাবেনা।
তাদেরকে খাবার দেয়া যাবে।
তবে তাদেরকে কোনো ভাবেই বন্ধু বানানো যাবেনা।
দাওয়াতের উদ্দেশ্যে তাদের সাথে উত্তম আখলাক দেখাতে পারবেন।