বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।
ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মনে মনে কসম করলে কসম হয়না।
(০২)
আল্লাহর নামে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার কসম নিয়ত ছাড়া মুখে উচ্চারণ করে করলেও কসম হবে।
(০৩)
এতে কসম হবেনা।
মান্নত হবে।
যদি তাহা কোনো ইবাদতে মাকসুদাহ হয়,তাহলে কাজ পূরম হলে মান্নত আদায় করতে হবে।
(০৪)
আল্লাহর নামে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার কসম নিয়ত ছাড়া মুখে উচ্চারণ করে করলেও কসম হবে।
(০৫)
কসম হয়না।
এটি ওয়াদা হয়।
(০৬)
প্রবল ধারনা মোতাবেক আমল করবেন।
যদি প্রবল ধারনা না হয়,তাহলে কাফফারার প্রয়োজনীয়তা নেই।
(০৭)
এতে কোনো কসম হবেনা।
তালাকও হবেনা।
(০৮)
জাযা মান্নত।
আরো জানুনঃ
কসম হলো আল্লাহর নামে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার কসম করা।
ওয়াদা করা আর কসম খাওয়া এক জিনিস নয়। কেউ হয়ত মনে মনে বা কারো কাছে ওয়াদা করল যে, সে এ কাজটা করবে কিন্তু পরে কোন কারণে তা করতে পারল না। তাহলে তা ‘কসম ভঙ্গ’ হিসেবে গণ্য হবে না। কারণ সে আল্লাহর নামে কসম করে নি।
পক্ষান্তরে কেউ যদি বলে, “আল্লাহর নামে কসম করে বলছি, উমুক কাজটা করব।” তাহলে এটা হল কসম। এখন সে যদি উক্ত কাজটা না করে তাহলে তা ‘কসম ভঙ্গ’ হিসেবে গণ্য হবে। এ ক্ষেত্রে তাকে কসম ভঙ্গের কাফফারা দিতে হবে। কিন্তু সাধারণ ওয়াদা/অঙ্গীকার ভঙ্গ করলে তার কোন কাফফারা নেই। কিন্তু ওয়াদা রক্ষা না করতে পারার কারণে আল্লাহর নিকট তওবা করবে এবং যার সাথে ওয়াদা করেছিল তার কাছে ক্ষমা চাইবে।
(০৯)
ছিটা যদি পেশাব এ ব্যবহৃত পানি থেকে আসে,তাহলে সেটি নাপাক।
এক দিরহাম থেকে কম হলে মাফ।
(১০)
হ্যাঁ, নাপাক।
(১১)
জায়েজ নেই।
এতে কাফের হয়ে যাবেনা।
(১২)
এতে কসম হবেনা।
(১৩)
এতে যদি কসমের মতো বাক্য ব্যবহার করে বা তালাকের বাক্য ব্যবহার করে,তাহলে তালাক,কসম হবে।
নতুবা নয়।
(১৪)
চার নং জবাব দ্রষ্টব্য।
(১৫)
আল্লাহর নামে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার কসম মুখে উচ্চারণ করে করলে কসম হবে।
আর এভাবে না বলে এমনিতেই যদি বলে বা অন্তরে ইচ্ছা করে,তাহলে সেটি নিয়ত।
(১৬)
জিহবা নাড়িয়ে উচ্চারণ করে না বলার কারনে কসম,তালাক কোনোটাই হবেনা।
তবে যদি জিহবা নাড়িয়ে উচ্চারণ করে বলে,তাহলে তালাক হবে।
(১৭)
এ সংক্রান্ত জানুনঃ
(১৮)
এই ছুরতেও হানাফি মাযহাব মোতাবেক চলতে হবে।
এতে ঈমান নিয়ে কোন সমস্যা হবেনা বা শিরক হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
(১৯)
ছিটা যদি পেশাব এ ব্যবহৃত পানি থেকে আসে,তাহলে সেটি নাপাক।
কাপড়ে লাগলে এক দিরহাম থেকে কম হলে মাফ।
এক দিরহাম সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি হলে কাপড় পাক করতে হবে।
(২০)
কসমের ক্ষেত্রে তো আল্লাহর নাম নেয়া জরুরি।
(২১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে কসম হবেনা।