আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
134 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
edited by

মনে মনে কসম করলে কি কসম হয়

নিয়ত না থাকলেও কি কসম হয়

শর্ত বা জাযা উল্লেখ রয়েছে কিন্তু কসমের নিয়ত নেই তবে কি কসম হবে

ভুলে কসম এর মত কথা উচ্চারণ হয়ে গেলে কি কসম হবে যদি নিয়ত না থাকে

অামরা দোয়াতে অনেক সময় বলি
 অাল্লাহ অামি এটা করব না
 কিন্তু কসম করে বলি না মানে কসম এর কোন নিয়ত থাকে না তখন কি কসম হয়।
৬ কসম হয়েছে কিনা ঠিক মনে নেই তবেও কি কাফফারা দিতে হবে।
৭ অনেকই অালোচনা করি মায়ের সেবা না করলে বউ রাখব না কিন্তু কসম এর বা তালাকের কোন নিয়ত থাকে না এক্ষেএে কি কসম বা তালাক হবে।

জাযা ও শর্তযুক্ত কসম এবং ওয়াদার মধো পাথ্যক কি

প্রসাব করে পানি নেওয়ার সময় সেই পানির ছিটা যদি লাগে তা কি নাপাক
 ১০
নাপাক কাপড় ধোয়ার পানি কি নাপাক
১১
ভূতের সিনেমায় নানা অসত্য জিনিশ থাকে যেমন অাত্তা,কবর থেকে উঠে অাসা ইত্যাদি বিষয়।এখন এগুলো বিশ্বাস না করে নিছক মজার জন্য দেখা যাবে কি।
এগুলো দেখলে কি কেউ কাফের হয়ে যায়
১২
অনেক সময় বলি এই রকম কাজ করতে থাকলে তর সাথে অার সম্পক রাখব না কিন্তু কসম এর কোন নিয়ত থাকে না এতে কি কসম হয়
১৩
ধমকানো অথবা ভয় দেখানোর নিয়ত থাকলে কি কসম বা তালাক হয়
১৪
কসম এর নিয়ত না থাকলে যদি কসম ভুলে উচ্চারিত হয় তবে কসম হয় কি

১৫
কসম ও নিয়তের মাঝে পাথ্যক

১৬
ভুলে মুখ নাড়িয়ে শব্দ না করে বলে ফেলি ভুল করে তালাক বলে ফেললে বউ ছেড়ে দিব কিন্তু মনে ছিল তা যদি অাল্লাহর নিয়ম হয় অাবার অামি যে কসম বা তালাক দিব তার কোন ইচ্ছাও ছিল না ওয়াসায়াস এর ফলে হয়েছে
ক ভুলে হয়েছে তাই কি কসম হবে

খ এই কথা বলার কোন নিয়ত ছিল না তাই এখন কি ভুলে বললেও বউ তালাক হয়ে যাবে
১৭

অবিবাহিত অবস্থায় বউ কে না চিনে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে কোন শত  বললে তবে কি বিবাহের পর বউ তালাক হয়ে যাবে

১৮ হুরমতে মুসাহারাত সম্পর্কে কিছু হাদিস ও দলিল বাংলায়  দেখেছি। কুরঅানে ১৪ জন মাহরাম এর কথা বলা হয়েছে তাদের ছাড়া ত সবাই হালাল হওয়ার কথা। অাবার হানাফি ফিহক ও হাম্বলি ফিকহ তেও অনেক হাদিস অাছে তাও অাবার গ্রহণ করার মত ।
ক এখন অনেকে বলে থাকেন ছেলের বাবার  সাথে ছেলের শাশুড়ির বিয়ে হালাল তা কিভাবে। তাহলে কি স্বামী স্এী সৎ ভাই বোন হয়ে গেল না

খ দলিলগুলো নিয়ে চিন্তা করার পর অামার মনে কেন যেন মনে হচ্ছে শাফেয়ী মাযহাবের মত  ঠিক। এখন কি অামার হানাফি ফিকহ এর এই নিয়ম মানা উচিত নাকি শাফেয়ী মাযহাবের দলিল মানা উচিত।
গ এখন যদি অামি  তাও অাপনাদের মতের উপর ভরসা করে হানাফি ফিকহ এর নিয়ম মানি তবে কি ঈমান নিয়ে কোন সমস্যা হবে বা শিরক হওয়ার কোন সম্ভাবনা অাছে

১৯ প্রসাব করে পানি নেওয়ার সময় যদি সেই পানি শরীরে লাগে তা কি নাপাক

২০ জাযা কসম কি অাল্লাহর নাম না নিলেও হয়
২১ অামরা শর্তযুক্ত অনেক কথাই বলি কিন্তু কসম এর কোন নিয়ত থাকে না সেগুলোও কি কসম হয়ে যায় ।যেমন অামার সামনে এই রকম কাজ করবা না তাইলে তোমাকে অামি সম্মান করব না
by (3 points)
হুজুর দয়া করে উওর দিন। খুব পেরেশানিতে অাছি  

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।
ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
মনে মনে কসম করলে কসম হয়না।

(০২)
আল্লাহর নামে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার কসম নিয়ত ছাড়া মুখে উচ্চারণ করে করলেও কসম হবে।

(০৩)
এতে কসম হবেনা।
মান্নত হবে।
যদি তাহা কোনো ইবাদতে মাকসুদাহ হয়,তাহলে কাজ পূরম হলে মান্নত আদায় করতে হবে।

(০৪)
আল্লাহর নামে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার কসম নিয়ত ছাড়া মুখে উচ্চারণ করে করলেও কসম হবে।

(০৫)
কসম হয়না।
এটি ওয়াদা হয়।

(০৬)
প্রবল ধারনা মোতাবেক আমল করবেন।
যদি প্রবল ধারনা না হয়,তাহলে কাফফারার প্রয়োজনীয়তা নেই।

(০৭)
এতে কোনো কসম হবেনা।
তালাকও হবেনা।

(০৮)
জাযা মান্নত।

আরো জানুনঃ

কসম হলো  আল্লাহর নামে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার কসম করা।

ওয়াদা করা আর কসম খাওয়া এক জিনিস নয়। কেউ হয়ত মনে মনে বা কারো কাছে ওয়াদা করল যে, সে এ কাজটা করবে কিন্তু পরে কোন কারণে তা করতে পারল না। তাহলে তা ‘কসম ভঙ্গ’ হিসেবে গণ্য হবে না। কারণ সে আল্লাহর নামে কসম করে নি।

পক্ষান্তরে কেউ যদি বলে, “আল্লাহর নামে কসম করে বলছি, উমুক কাজটা করব।” তাহলে এটা হল কসম। এখন সে যদি উক্ত কাজটা না করে তাহলে তা ‘কসম ভঙ্গ’ হিসেবে গণ্য হবে। এ ক্ষেত্রে তাকে কসম ভঙ্গের কাফফারা দিতে হবে। কিন্তু সাধারণ ওয়াদা/অঙ্গীকার ভঙ্গ করলে তার কোন কাফফারা নেই। কিন্তু ওয়াদা রক্ষা না করতে পারার কারণে আল্লাহর নিকট তওবা করবে এবং যার সাথে ওয়াদা করেছিল তার কাছে ক্ষমা চাইবে। 

(০৯)
ছিটা যদি পেশাব এ ব্যবহৃত পানি থেকে আসে,তাহলে সেটি নাপাক।
এক দিরহাম থেকে কম হলে মাফ। 

(১০)
হ্যাঁ, নাপাক।

(১১)
জায়েজ নেই।
এতে কাফের হয়ে যাবেনা।

(১২)
এতে কসম হবেনা।

(১৩)
এতে যদি কসমের মতো বাক্য ব্যবহার করে বা তালাকের বাক্য ব্যবহার করে,তাহলে তালাক,কসম হবে।

নতুবা নয়।

(১৪)
চার নং জবাব দ্রষ্টব্য।

(১৫)
আল্লাহর নামে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার কসম মুখে উচ্চারণ করে করলে কসম হবে।

আর এভাবে না বলে এমনিতেই যদি বলে বা অন্তরে ইচ্ছা করে,তাহলে সেটি নিয়ত। 

(১৬)
জিহবা নাড়িয়ে উচ্চারণ করে না বলার কারনে কসম,তালাক কোনোটাই হবেনা।

তবে যদি  জিহবা নাড়িয়ে উচ্চারণ করে বলে,তাহলে তালাক হবে।

(১৭)
এ সংক্রান্ত জানুনঃ  

(১৮)
এই ছুরতেও হানাফি মাযহাব মোতাবেক চলতে হবে।
এতে ঈমান নিয়ে কোন সমস্যা হবেনা বা শিরক হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।

(১৯)
ছিটা যদি পেশাব এ ব্যবহৃত পানি থেকে আসে,তাহলে সেটি নাপাক।
কাপড়ে লাগলে এক দিরহাম থেকে কম হলে মাফ।
এক দিরহাম সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি হলে কাপড় পাক করতে হবে।

(২০)
কসমের ক্ষেত্রে তো আল্লাহর নাম নেয়া জরুরি। 

(২১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে কসম হবেনা।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...