ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/180 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ﺛﻢ ﺇﻥ ﻣﺤﻤﺪا ﺃﺑﺎﺡ اﻟﻤﺲ ﻟﻠﺮﺟﻞ ﺇﺫا ﻛﺎﻧﺖ اﻟﻤﺮﺃﺓ ﻋﺠﻮﺯا ﻭﻟﻢ ﻳﺸﺘﺮﻁ ﻛﻮﻥ اﻟﺮﺟﻞ ﺑﺤﺎﻝ ﻻ ﻳﺠﺎﻣﻊ ﻣﺜﻠﻪ، ﻭﻓﻴﻤﺎ ﺇﺫا ﻛﺎﻥ اﻟﻤﺎﺱ ﻫﻲ اﻟﻤﺮﺃﺓ ﻓﺈﻥ ﻛﺎﻧﺎ ﻛﺒﻴﺮﻳﻦ ﻻ ﻳﺠﺎﻣﻊ ﻣﺜﻠﻪ، ﻭﻻ ﻳﺠﺎﻣﻊ ﻣﺜﻠﻬﺎ ﻓﻼ ﺑﺄﺱ ﺑﺎﻟﻤﺼﺎﻓﺤﺔ ﻓﻠﻴﺘﺄﻣﻞ ﻋﻨﺪ اﻟﻔﺘﻮﻯ اﻩـ
অতঃপর ইমাম মুহাম্মদ রাহ মনে করেন যে,পুরুষের জন্য (উপরোক্ত)বৃদ্ধা মহিলাকে স্পর্শ করা বৈধ, এ ব্যাপারে তিনি পুরুষের জন্য (বার্ধক্যর ধরুন)সহবাসে অক্ষম হওয়ার শর্তারোপ করেননি।
তদ্রূপ যদি স্পর্শকারী নারী হয়,এবং উভয়ই এমন পর্যায়ের বৃদ্ধ হন,যে কেউ সহবাসে উপযোগী বা সক্ষম নন, তাহলে তাদের জন্য পরস্পর মুসাফাহা করা বৈধ রয়েছে।এতে কোনো সমস্যা নাই।
(৬/৩৬৮-শামেলা নুসখা)
বৃদ্ধা মহিলার সাথে বৃদ্ধ পুরুষের দেখা সাক্ষাত শীতিলযোগ্য বিধান। (ইমদাদুল ফাতাওয়া-৪/২০১)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
বৃদ্ধা মহিলাগণ যদি এমন হন যে, যাদেরকে দেখলে যৌনচাহিদা জাগ্রত হয় তাহলে তাদেরকে অবশ্যই যুবতী মহিলাদের মত পর্দা করে চলতে হবে।
আর যদি এমন হন যে, যাদের নিজেদেরও যৌনচাহিদা নেই এবং অন্য পুরুষদের যৌনচাহিদা জাগ্রতকারী ও নয় (তথা কেউ দেখলেও তার যৌনচাহিদা জাগ্রত হয় না) তাহলে সেই সমস্ত বৃদ্ধা মহিলাদের জন্য যদিও যুবতীদের মত পর্দা ফরয নয় তবে অবশ্যই তাদের কে শালিন পোষাক পড়তে হবে।(শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
বৃদ্ধ পুরুষ যদি এমন হয় যে, যার ব্যাপারে ফিতনার কোনো আশংকা নাই, তাহলে এমন গায়রে মাহরাম পুরুষ যদি মাথায় হাত দিয়ে দেয়, তাহলে কোনো সমস্যা নেই।কিন্তু ফিতনার অাশংকা থাকলে অবশ্যই সমস্যা হবে।