বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রথমে আমরা মাহরাম নারী পুরুষের মধ্যকার মুসাফাহার বিধান জেনেই।
فَأَمَّا مُصَافَحَةُ الْمَحَارِمِ فَقَدْ ذَهَبَ الْحَنَفِيَّةُ وَالْمَالِكِيَّةُ وَالشَّافِعِيَّةُ فِي الْمُعْتَمَدِ عِنْدَهُمْ إِلَى جِوَازِهَا، وَهُوَ مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ الْحَنَابِلَةُ فِي الْوَالِدَيْنِ مَعَ الأَْبْنَاءِ رِوَايَةً وَاحِدَةً وَفِي غَيْرِهِمْ فِي رِوَايَةٍ بِنَاءً عَلَى قَوْلِهِمْ بِجَوَازِ لَمْسِ الْمَحَارِمِ فِي غَيْرِ مَحَل الْعَوْرَةِ بِشَرْطِ الأَْمْنِ مِنَ الْفِتْنَةِ وَعَدَمِ خَوْفِ الشَّهْوَةِ ، لِمَا رُوِيَ أَنَّ الرَّسُول صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُقَبِّل فَاطِمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا إِذَا دَخَلَتْ عَلَيْهِ، وَتُقَبِّلُهُ إِذَا دَخَل عَلَيْهَا ، وَكَذَلِكَ صَحَّ عَنْ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّهُ قَبَّل ابْنَتَهُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا ، وَلأَِنَّ مَسَّ الْمَحَارِمِ فِي غَيْرِ عَوْرَةٍ يَغْلِبُ فِيهِ الصِّلَةُ وَالرَّحْمَةُ وَالشَّفَقَةُ، وَيَنْدُرُ اقْتِرَانُهُ بِالشَّهْوَةِ
হানাফি, শা'ফেয়ী,মালিকী মাযহাবমতে মাহরাম নারীপুরুষদের মধ্যকার মুসাফাহা জায়েয।হাম্বলী ফিকহ মতে মাতাপিতার সাথে সন্তানগণ মুসাফাহা করতে পারবে।অর্থাৎ মাহরাম নারীপুরুষ পরস্পর পরস্পরকে গোপন স্থান ব্যতীত স্পর্শ করতে পারবে,যদি ফিতনার আশংকা না থাকে,এবং উত্তেজিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা না থাকে।কেননা বর্ণিত রয়েছে,রাসূলুল্লাহ সাঃ ফাতেমা রাযি কে চুমো দিয়েছেন।এবং ফাতেমা রাযিও চুমো দিয়েছেন।এবং আবু-বকর রাযি আয়েশা রাযি কে চুমো দিয়েছেন।গোপন স্থান ব্যতীত মাহরাম নারীপুরুষ পরস্পর পরস্পরবে স্পর্শ করার মধ্যে মহব্বত বাড়ে।এবং মাহরামের মধ্যে উত্তেজনার বিষয়টা গৌণ থাকে।(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাহ-৩৭/৩৫৮)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রাপ্ত ছেলের জন্য মার হাতে স্পর্শ করা,মায়ের কপালে চুমো দেওয়া,ইত্যাদির অনুমোদন রয়েছে।তবে মাকে বিশেষ জরুরত ব্যতীত জড়িয়ে ধরা কখনো উচিৎ হবে না।কেননা এতে নিজের গোপন অঙ্গ মায়ের শরীরের সাথে লেগে যেতে পারে।বা মায়ের গোপন স্পর্শকাতর অঙ্গ সমূহ কে স্পর্শ করা হয়ে যেতে পারে।সুতরাং সতর্কতামূলক মা, মেয়ে বা যেকোনো মাহরাম মহিলাকে জড়িয়ে ধরা কোনো প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের জন্য কখনো উচিৎ হবে না।বরং এমন কাজ করতে শরীয়ত সর্বদাই নিষেধ করবে।