বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/5266 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তাক্বদীর শব্দটির অর্থ নির্ধারণ করা বা অনুমান করা।
শারঈ পরিভাষায় তাক্বদীর হ’ল, আল্লাহ কর্তৃক বান্দার ভবিষ্যত নির্ধারণ করা।
তাকদীর বিষয়ক দুয়েকটা আয়াত ও হাদীস লক্ষণীয়........
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি-থেকে বর্ণিত তিনি বলেন-
ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ اﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ -( «ﻛَﺘَﺐَ اﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻘَﺎﺩِﻳﺮَ اﻟْﺨَﻼَﺋِﻖِ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﻳَﺨْﻠُﻖَ اﻟﺴَّﻤَﺎﻭَاﺕِ ﻭَاﻷَْﺭْﺽَ ﺑِﺨَﻤْﺴِﻴﻦَ ﺃَﻟْﻒَ ﺳَﻨَﺔٍ)ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ.
আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করেছেন আসমান-যমীন সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে এবং তিনি যার ভাগ্যে যা লিপিবদ্ধ করেছেন তাই ঘটবে।(ছহীহ মুসলিম, মিশকাত হাদীস নং/৭৯)।
একদিন ছাহাবায়ে কেরাম তাকে কেবল তাক্বদীরের উপর ভরসা করে সকল আমল ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানালে রাসূল (ছাঃ) বললেন, তোমরা সৎকর্ম করে যাও। কেননা যাকে যেজন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, তার পক্ষে সে কাজ সহজসাধ্য হবে। যারা সৌভাগ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত, তাদের জন্য সেরূপ আমল এবং যারা দুর্ভাগাদের অন্তর্ভুক্ত তাদের জন্য সেরূপ আমল সহজ করে দেওয়া হয়েছে।
(বুখারী হা/৪৯৪৯)।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/58
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জন্ম মৃত্যুর মত বিয়ে শাদী ইত্যাদি সবকিছুই নির্ধারিত রয়েছে।তাকদীরে লিপিবদ্ধ রয়েছে।তাকদীরে যার সাথে বিয়ের কথা লিখিত রয়েছে,তার সাথেই বিয়ে হবে।হ্যা তাকদীরে যা লিখা রয়েছে,তা দু'আর মাধ্যমে পরিবর্তনও হয়ে যেতে পারে।শত চেষ্টা করলেও কাউকে বিয়ে করা যাবে না, যদি না তাকদীরে লিখা থাকে বা আল্লাহর হুকুম হয়।তাকদীর আল্লাহ লিখে রেখেছেন।এবং পরবর্তীতে আল্লাহ তাকদীরকে পরিবর্তনও করে দিতে পারেন। (শেষ)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মানুষ দুআ করলে আল্লাহ তাকে ৫০ বছর হায়াত দিবেন। আবার ঐ মানুষ দুআ না করলে ৪৫ বছর হায়াত দিবেন।
এইভাবে আকিদা রাখা যেতে পারে।এতেকরে ঈমান ইসলামে কোনো সমস্যা হবে না।