বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রাপ্তবয়স্ক তথা দশ বৎসরে উপনীত হওয়ার পর থেকে প্রত্যেকের জন্য অত্যাবশ্যকীয় বিধান হলো যে,
প্রত্যেক নর-নারী এমন স্থানে শয়ন করবে যেখানে পর্দা পুশিদার রক্ষা হবে।সে হিসেবে প্রত্যেকেই পৃথক পৃথক রুমে থাকবে।(হ্যা স্বামী-স্ত্রীর বিষয়টি ভিন্ন।তারা তো একত্রে শুইতে পারবে)
সুতরাং সাধারন বিধান হচ্ছে প্রত্যেকেই ছেলে হোক বা মেয়ে হোক পৃথক পৃথক রুমে শয়ন করবে।এটাই সতর রক্ষা এবং ইজ্জত আব্রুর হেফাজতের সর্বোত্তম পদ্ধতি।
হ্যা যদি কখনো এক রুমে দু'জনের থাকার প্রয়োজন পড়ে, তাহলে এক্ষেত্রে একই রুমে দুই বা ততধিক সমলিঙ্গ তথা শুধু পুরুষ বা শুধু মহিলা একত্রে ঐ শর্তে থাকতে পারবেন যে,প্রত্যেকেরই পৃথক পৃথক তোষক/লেপ থাকবে।
তবে একই তোষকের নিচে একাধিক পুরুষ বা একাধিক মহিলা রাত্রিযাপন করতে পারবে না।কেননা সেটা মাকরুহে তানযিহি।
সাবধান!
বিপরীত লিঙ্গ কয়েকজনের রাত্রিযাপন একই বিচানায় কখনো জায়েয হবে না।এমনকি তারা পরস্পর মাহরাম হলেও জায়েয হবে না।এবং পৃথক পৃথক তোষক থাকলেও জায়েয হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-
757
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার ছেলের বয়স যেহেতু ১৬ বৎসর।তাই সে বালিগ।সে তার মায়ের সাথে কখনো একই বিছানায় ঘুমোতে পারবে না।শরীয়তের দৃষ্টিতে এটা কখনো জায়েয হবে না।