জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
বেশি বেশি আল্লাহর কাছে সন্তান ও মায়ের সুস্বাস্থের জন্য দোয়া করতে হবে।
★এই সময়ে স্ত্রীর অনেক খাবার খেতে ইচ্ছা হয়। প্রায়শই স্বামীর কাছে অনেক কিছু দাবি করতে পারেন তিনি।
সাধ্য মতো সেটি পূরনের চেষ্টা করা।
★এই সময় হরমোনাল পরিবর্তনের কারনে স্বামীকে বিরক্ত করতে পারে,এক্ষেত্রে স্বামী হিসেবে অধৈর্য না হয়ে ধৈর্য ধরতে হবে।
গর্ভাবস্থায় অনেকেই নিরাপত্তার অভাবে ভুগতে থাকেন। স্ত্রীর পাশে থাকতে হবে।
গর্ভবস্থায় স্ত্রীকে উৎসাহ দেওয়া প্রয়োজন। তিনি কত ভাল মা হতে পারেন, সন্তান আসছে তাই স্বামী কতটা খুশি এগুলো তাকে বলতে হবে।
গর্ভাবস্থার সময়ে স্ত্রী যাতে আনন্দে থাকতে পারে সেজন্য হাসিঠাট্টা করা, তার প্রতি মনোযোগ ও খেয়াল রাখা স্বামীর অন্যতম দায়িত্ব। স্ত্রীর সঙ্গে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ঝগড়া-বিবাদের সময়ে স্ত্রীর পাশে থেকে তাকে সাহায্য করা।
(কিছু তথ্য সংগৃহীত)
আরো করনীয় জানুনঃ
(০২)
আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করুন।
رَبِّ هَبْ لِىْ مِنْ لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةًۚ اِنَّكَ سَمِيْعُ الدُّعَآءِ
হে আমার পালনকর্তা! আপনার পক্ষ থেকে আমাকে পুত-পবিত্র সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী। (আল ‘ইমরান: ৩৮)
এই দোয়াও পড়তে পারেন—
رَبِّ هَبْ لِىْ مِنَ الصّٰلِحِيْنَ
হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে সৎকর্মশীল পুত্র সন্তান দান করুন। (আস-সাফফাত: ১০০)
গোনাহ থেকে বিরত থাকুন।
ধৈর্য্য ধারণ করুন।
সময় মত নামাজ আদায় করুন।
যিকির আযকারে লিপ্ত থাকুন।
ওযু অবস্থায় থাকার চেষ্টা করুন।
আপনার সন্তানের জন্য কোরআন তেলাওয়াত করুন: প্রায় ২০ তম সপ্তাহে গর্ভের বাচ্চা শোনার সক্ষমতা অর্জন করে। মা প্রতিদিন কিছু কোরআন তেলাওয়াত করে বাচ্চার মাঝেও কোরআনের মাঝে সম্পর্ক জুড়ে দেয়ার এটাই উপযুক্ত সময়। আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাযি. বলেন,
عَلَيْكُم بِالْقُرْآَن ، فَتَعَلَّمُوه وَعَلَّمُوه أَبْنَائِكُم ، فَإِنَّكُم عَنْه تُسْأَلُوْن ، وَبِه تُجْزَوْن
কোরআনের বিষয়ে তোমাদের উপর অবশ্য পালনীয় এই যে, কোরআন শিক্ষা করা এবং তোমাদের সন্তানদের কোরআন শিক্ষা দেয়া। কেননা এ বিষয়ে তোমাদের জিজ্ঞাসা করা হবে এবং তার প্রতিদানও দেয়া হবে। (শরহে সহীহ বুখারী, ইবন বাত্তাল : ৪৬)
খাবারের মধ্যে খেজুর খাওয়ার চেষ্টা করুন।