আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
169 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (13 points)
edited by
শায়েখ আরেকবার একটু পড়ে উত্তর দিবেন
স্বামী যদি ঝগড়ার সময় বলে তোর মতো বেয়াদবের সাথে সংসার করা অসম্ভব/তোর মতো মেয়ের সাথে সংসার করা অসম্ভব।এরপর হয়তো আর কিছু বলছে যা মনে নেই।এরপর যদি বলে তুই শুধু একবার বল যে আপনার সাথে থাকবোনা তাহলেই ব্যবস্থা নেবো(এখানে ব্যবস্থা বলতে তালাক বুঝায়ছে কিনা জানিনা নকি অন্য কিছু) ।তোর পড়াশুনা বাদ ভার্সিটির কালই খুলনা(এখানে আমার বাবার বাড়ি) যাবি।তারপর কি যেনো বলার পর বলছে তোর বাপ ভাইয়ের সাথে কথা বলে কথা বলে কি সীদ্ধান্ত নিবি জানাবি/একটা সিদ্ধান্ত নিবি।আমার মা আসলে আমার বাড়ি যাবি।কাল না আজই খুলনা যাবি।স্ত্রী তার কোন কথায় সায় দিনি বা তালাকও চাইনি চুপ ছিলো।শায়েখ পুরো ঘটনা টা স্ত্রীর মনে নেই।বাক্যগুলোর মাঝে মাঝে হয়তো কিছু কিছু কথা বাদ গেছে।

১.এখানে কোন কথাটা বলার কারণে তালাকের মজলিস হবে তোর মতো বেয়াদবের সাথে/মেয়ের সাথে সংসার করা অসম্ভব এ কথাটা নাকি তুই শুধু একবার বল আপনার সাথে থাকবো না তাহলে ব্যবস্থা নিব এটা বলার কারনে??

২.তোর মতো বেয়াদবের/মেয়ের সাথে সংসার করা অসম্ভব এটা কি কেনায়া শব্দ??ঐ মজলিসে এটা বলায় নিয়ত ব্যতীত কি তালাক হবে??

৩.তোর মতো বেয়াদবের /মেয়ের সাথে সংসার করা অসম্ভব এটার পর হয়তো আরো কিছু বলার পর তুই শুধু একবার বল আপনার সাথে থাকবো না তাহলে ব্যবস্থা নিবো এটা বলেছিলো নাকি পরে বলেছিলো তোর মতো বেয়াদবের/মেয়ের সাথে সংসার করা অসম্ভব  স্ত্রী একদম ভুলে গেছে।তবে আগে হতে পারে তাও কনফিউজড।যদি মজলিস শুরুর দিকে তুই শুধু একবার বল আপনার সাথে থাকবো না তাহলে ব্যবস্থা নিব এ কথাটা বলার আগে তোর মতো বেয়াদবের/মেয়ের সাথে করা অসম্ভব বলে তাহলে কি নিয়ত ছাড়াই তালাক পতিত হবে?? নাকি হবে না??

৪.যদি তুই শুধু একবার বল আপনার সাথে থাকবো না তাহলে ব্যবস্থা নিবো একথাটার পর আরো কিছু বলার পর বলে তোর সাথে সংসার করা অসম্ভব এটা বলে তাহলে কি নিয়ত ছাড়াই তালাক পতিত হবে?? স্ত্রী অনেকটাই ভুলে গেছে শিওর হতে পারছে না আগে নাকি পরে বলছে এখন কি হবে??
একটু বুঝিয়ে বলবেন

৫.এখানে স্ত্রী পুরোপুরি শিওর হতে পারছে না যে তোর মতো বেয়াদবের/তোর মত মেয়ের সাথে সংসার করা অসম্ভব এ কথাটা ঐ কথাটার আগে বলছে নাকি পরে বলছে।তাহলে কি সমাধান হবে?? তার তো মনে নেই।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় ইঙ্গিত সূচক শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ  


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
এখানে উভয় বাক্যই তালাকের ধমকি বুঝায়।
তাই উভয় বাক্য দ্বারাই তালাকের মজলিস বুঝাবে।

(০২)
এটি কেনায়া বাক্য নয়।
,
না তালাক হবেনা। 

(০৩)
তালাক হবেনা।

(০৪)
না,এতে তালাক পতিত হবেনা।

(০৫)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।  
শিওর হতে না পেরে সন্দেহে থাকলেও কোনো সমস্যা নেই 
তালাক হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...