আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
99 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (8 points)
edited by
গতকালও বেশকিছু প্রশ্ন করেছিলামঃ এখানে একটু দেইখেন https://ifatwa.info/45295/

৬. আবারও আরেক ঘটনা। আমাকে মোবাইল ঠিক কর‍তে দিয়েছে। আমি দেখলাম কি হয়েছে। ইন্টারনেট চলছিল না। কোন সমস্যা না পেয়ে আমি বলেছি নেটওয়ার্কের সমস্যা। পরে মনে মনে তালাকের শর্ত চলে আসলো। আমি আবারো মোবাইল হাতে নিয়ে বললাম মোবাইলে কি হয়েছে আমার জানা নাই। আমার ভয় হচ্ছে যে উচ্চারণ করে বলে ফেললাম কি না?

মোবাইল হাতে নিয়ে যে বলেছি যে কি সমস্যা হয়েছে আমার জানা নাই - আমি যদি এটা না বলতাম তাহলে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যেতো? আমার কাছে মনে হয়েছিল যে এটা বলতে হবে। নয়তো শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যেতে পারে।

৭. আমার প্রশ্রাব করার আগে মনে হয়েছিল আমি দাড়িয়ে প্রশ্রাব করলে হয়তো শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যেতে পারে। উচ্চারণ করেনি। তবুও ভয় হচ্ছে উচ্চারণ করে ফেললাম কি না? এরপর প্রশ্রাব করার সময় আমি বসে প্রশ্রাব করেছি। শেষ মুহুর্তে দাঁড়িয়ে পড়েছি। মানে, প্রশ্রাব চলাকালীন সময়ে দাঁড়িয়ে পড়েছি।
৭.১ঃঃ আমি যদি পরবর্তীতে দাঁড়িয়ে প্রশ্রাব করি তাহলে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে? পাপ হবে এটা জানি। কিন্তু এতে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে?

৭.২ঃঃ কিংবা প্রশ্রাব চলাকালীন দাঁড়িয়ে পড়েছি এতে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে?
৭.৩ঃঃ কিংবা এসব মনে আসার পর আমি যদি দাড়িয়ে প্রশ্রাব করে থাকি তাহলে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে গেছে?
৭.৪ঃঃ এই প্রশ্ন লেখার কারণে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে গেছে?

৭.৫ঃঃ প্রশ্ন করার পরও প্রশ্রাব চলাকালীন দাঁড়িয়ে পড়েছি। এতে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে গেছে কিংবা শর্ত ভেঙে গেছে?

৮. গতকাল ছেড়া টাকা দিয়ে পন্য ক্রয় সংক্রান্ত প্রশ্ন করেছিলাম। আমি দোকান থেকে ছেড়া টাকা ২ টা কলম কিনেছি। আমার মনে চলে আসলো দোকানদার কে না বললে হয়তো শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে। আমি ভয় পেয়ে দোকানদার কে টাকা পরিবর্তন করে দিলাম। পরে আমর মনে হলো ছেড়া টাকা দিয়ে অন্য পন্য কিনলেও শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যেতে পারে। তাই আমি টাকা মসজিদ এ দান করে দিয়েছি। এখন আমার ভয় হচ্ছে উক্ত টাকাগুলো আমি ঘরে রেখেছিলাম এখন আমার বাড়ির সদস্য যদি কিছু টাকা শেখান থেকে নিয়ে থাকে তাহলে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে?

৯. মনের মধ্যে তালাকের চিন্তা চলে আসে কিছুক্ষণ পরেই ভয় ঢুকে যায় যে উচ্চারণ করে ফেললাম কি না? - কিভাবে সিদ্ধান্ত নিবো? এমনকি আপনি কোন পরামর্শ দিলে সেটা না মানলে শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে কি না সেই ভয় ও কাজ করে।

১০. এই প্রশ্নটি আপনার ইনবক্সে করেছি হুজুর।

১১. তালাকের প্রশ্ন লেখার সময় কিংবা আগে কিংবা পড়ে আমি যদি বান্দার হক, আল্লাহর হক নষ্ট করি কিংবা যেকোন পাপ কাজের সাথে লিপ্ত থাকি তাহলে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে? যেমনঃঃ গীবত করা ইত্য্যাদি।

১২. আমার মনে এত প্রশ্ন উদিত হলে কি করবো?

১৩. মনের মধ্যে যে শর্তগুলো উদিত হয় আমি কি সেই অনুযায়ী কাজ করবো নাকি এর বিপরীত করবো? গতকাল থেকে তালাকের ওয়াসওয়াসা আমাকে দুঃশ্চিন্তা গ্রস্থ করে ফেলছে। মনের মধ্যে শর্ত চলে আসে।

১৪. এই প্রশ্নটি ইনবক্সে করেছি।

১৪.১ঃঃ এই প্রশ্নটি ইনবক্সে করেছি।

১৪.২ঃঃ আমি ইনবক্সে প্রশ্ন না পাঠিয়েই আপনাকে লিখেছি যে প্রশ্ন ইনবক্সে করেছি। এরপর প্রশ্ন পাঠিয়েছি। এতে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে? কারণ, এটা তো একটা মিথ্যা। আগেই লিখে ফেলেছি যে প্রশ্ন ইনবক্সে করেছি। আসলে প্রশ্ন করিনি।
১৫. প্রশ্ন আমি মোবাইলের কিবোর্ড দিয়ে তালাক শব্দটি লিখেছি। আবার এই একই কিবোর্ড দিয়ে আমি গার্লফ্রেন্ড কিংবা মেয়েদের সাথে কথা বলি। তাই, কিবোর্ড দিয়ে তালাক লিখার পর গতকাল থেকে আমি আবার কিবোর্ড ডিলিট করে নতুন করে ইন্সটল করি। তারপর মেয়েদের সাথে ম্যাসেজ এ কথা বলি। আমি যদি এ রকম না করি তাহলে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে? গতকাল অবশ্য প্রশ্ন করার সময় তালাক লেখার পরও এই কিবোর্ড দিয়েই মেয়েদের সাথে কথা বলেছি। পরে মনে মনে এই নিয়ম করেছি যে কিবোর্ড রিমুভ দিয়ে আবার ইন্সটল করে মেয়েদের সাথে কথা বলবো। যেহেতু মনে মনে এই নিয়ম করেছি এবং সেই অনুযায়ী কাজ করে ফেলেছি এতে করে কি কিবোর্ড রিমুভ না করে মেয়েদের সাথে কথা বললে শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে?

১৬. আমি একজন ছেলে বন্ধুকে অপেক্ষায় রেখে বাড়িতে বসে এসব প্রশ্ন করেছি। সে আমার জন্য অপেক্ষা করতাছে। আমি গেলে সে বাড়িতে যাবে। আমজ তাকে অপেক্ষায় রেখে এসব প্রশ্ন করতাছি আমি শুধু খাওয়ার কথা বলে বাড়ি এসেছি। এতে করে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে?

১৭. আজকে একটি কাজ করার সময় মনে মনে ৩ তালাকের চিন্তা আসলো। জিহবা নড়েছে কি না মনে নাই। জিহবা হয়তো নড়েছে। কিন্তু উচ্চারণ করেনি। জিহবা তো এমনিতেও নড়ে। এখন ভয় হচ্ছে উচ্চারণ করে ফেললাম কি না?

১৯. আমি স্টুডেন্টদের বসিয়ে রেখে এই কিছু প্রশ্ন করেছি। এতে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে?
২০. উত্তর পাওয়ার পর আমি কিছু প্রশ্ন কেটে দিবো। এতে করে কি শর্ত যুক্ত তালাক হয়ে যাবে?
২১. প্রশ্ন লেখার সময় আমি যদি মেয়েদের সাথে কথা বলি কিংবা মিথ্যা বলি তাহলে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে?
কিংবা পাপ কাজে লিপ্ত থাকি তাহলে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে? যেমনঃ কাউকে রাগ দেখানো।

২২. এই প্রশ্নগুলো করার সময় যদি কোন কারণে আমার ঈমান গিয়ে থাকে তাহলে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে?

২৩. আমি অনেকদিন ধরে ফরজ নামাজ আদায় করিনি। জুমুয়া ও পড়িনি। রোজা রেখেছিলাম ১ টা। আজকেও পড়িনি৷ নামাজ ছাড়া প্রশ্ন করেছি। এতে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে গেছে?

২৪. প্রশ্ন গুলো লেখার সময় আমার মনে কষ্ট লাগছিল। এতে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে গেছে?

২৫. কিভাবে এসব প্রশ্ন থেকে বেচে থাকবো? কিভাবে বুঝবো যে প্রশ্ন করা উচিত কি না?

২৬. আমি জানি যে মনে মনে তালাক হয় না। তবুও প্রশ্ন করেছি মন কে শান্ত করার জন্য। এতে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে প্রশ্ন করার জন্য? কিংবা এতগুলো প্রশ্ন করার জন্য কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে?

২৭. প্রশ্ন করার সময় কিংবা আগে পড়ে যদি আমি যেকোনো পাপ কাজ করার কথা ভাবি এবং সেই পাপ কাজ করে ফেলি তাহলে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে? যেমনঃ হস্তমিথুন ইত্যাদি।

২৯. মুখে উচ্চারণ করা এবং তালাক দেওয়ার নিয়তে তালাক দেওয়া ছাড়া তালাক হয় না - আমি কি এই বিষয়টা মাথায় রেখে তালাক সংক্রান্ত প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকতে পারি? বিরত না থাকলে কি তালাক হয়ে যাবে?

৩০. প্রশ্ন করার সময় আমার শরীর নাপাক থাকলে কিংবা জুতায় নাপাক থাকলে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে?

৩১. এই প্রশ্নগুলো আমার ফেইক আইডি থেকে করা। এই আইডিতে ইমেইলটাও ফেইক। এতে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (679,480 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।
ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে উল্লেখিত কোনো ছুরতেই তালাক হবেনা।
শর্ত যুক্ত তালাকও হবেনা।
আপনি নিশ্চিত থাকুন।

তালাক সংক্রান্ত এহেন ওয়াসওয়াসা মন থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে।
এহেন চিন্তা মাথাতেই আসতে দেয়া হবেনা।

এই ওয়াসওয়াসা আপনাকে অনেকটা রুগী বানিয়ে ফেলছে।
ওয়াসওয়াসাকে নিয়ে ভাবার দ্বাটা ওয়াসওয়াসা বাড়বে।
কমবেনা।
তাই ভাবা বন্ধ করুন।

আপনাকে তালাক সংক্রান্ত মাসয়ালা জিজ্ঞাসা করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ প্রদান করা হলো।        


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...