আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
264 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (55 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।  তা*** এর অধিকার বিষয়ে কিছু জিনিস জানতে চাই।

১। কোন মহিলার স্বামী যদি তাকে বলে যে,"" তা*** তুমি দিলেও হবে আমি দিলেও হবে, তুমি পেপার সিগ্নেচার করে পাঠিয়ে দিও। আমিও সিগ্নেচার করে দিব নে।"" এইভাবে বলার ফলে ওই স্ত্রী কয় তা** দেওয়ার অধিকার পাবে?? যদি স্বামীর মনে কোন সংখ্যা না থেকে থাকে।

২। এই ঘটনায় স্বামীর নাকি অধিকার দেওয়ার নিয়ত ছিল না। সে মন থেকে অধিকার না দিলেও কি স্ত্রি অধিকার পাবে??

৩। এক হুজুরকে এই ঘটনা  নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন এই কথার মাধ্যমে স্ত্রী নাকি তা** দেওয়ার অধিকার পেয়ে যাবে। আর সেই অধিকার ফিরিয়ে নেওয়া যাবে না। এইটা শুনে স্বামী অনেকটা মন খারাপ করে আর বলে,, হুজুর বলেছে তুমি অধিকার পেয়ে যাইবা। কি আর করার এখন,, সাবধানে থাকতে বলেছে হুজুর।
স্বামী এইভাবে হুজুরের কথায় মন খারাপ করে যে বললো হুজুর বলেছে স্ত্রী অধিকার পেয়ে গেছে আর ফিরানো যাবে না। এতে কি স্ত্রী সত্যি অধিকার পেয়ে যাবে যদি আগে স্বামীর নিয়ত না ও থেকে থাকে অধিকার দেওয়ার??

৪। বর্তমানে স্ত্রী তার স্বামীকে আগের দেওয়া অধিকার নিয়ে প্রশ্ন করলে সে বলে যে ঊনার তো অধিকার দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল না বা মনে কোন সংখ্যা ও ছিল না তাহলে হুজুরের কথায় কি আসে যায়??এখন স্ত্রী কি ধরে নিব স্বামীর কথাই ঠীক? আপনাদের কাছে সমাধান চাই।
৫। ১ম প্রশ্নের ঘটনার পর  আরেকদিন স্বামী বলে, " অধিকার তো দিয়েই দিয়েছি,  ভালো না লাগলে চলে যেও। এইখানে সে বলে থাকতে পারে সে মন থেকে বা সত্যি সত্যি অধিকার দিয়েছে।" এইখানে সে তা** শব্দটি উচ্চারণ করেনি,,তাহলে  এই কথার মাধ্যমে স্ত্রী আবার তা++ এর অধিকার পাবে??

৬। স্বামী বলছে আগের ঘটনার অধিকারের কথা মনে করে সে ২য় দিন বলেছে অধিকার দিয়েই দিয়েছে,,, এতে কি স্ত্রী ২ বারঈ অধিকার পাবে নাকি একবার??

৭। স্বামী বর্তমানে বলছে যে  ২য় দিনেও  তার অধিকার দেওয়ার নিয়ত ছিল না। থাকলে নাকি সে মুখেই বলে দিত।  এখন স্ত্রী কি অধিকার পাবে? নাকি স্বামীর বক্তব্য অনুযায়ী ধরে নিবে সে অধিকার পায়নি??

৬ । ১ নাম্বার  ও ২ নাম্বার  ঘটনা মিলিয়ে স্ত্রি কি    টোটাল ২ তা** এর অধিকার পাবে??নাকি টোটাল ১ তা** এর অধিকার পাবে??

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/36539/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে স্ত্রী নিজেকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা পাবে।

এতে মহিলা নিজের নফসের উপর তালাক গ্রহন করতে পারবে।
নিজেকে নিজে তালাক দিতে পারবে।

(০২)
হ্যাঁ পাবে।

(০৩)
হ্যাঁ স্ত্রী অধিকার পাবে।  

(০৪)
স্বামীর কথা ঠিক নয়।
এটি ধরে নিতে হবে।

(০৫)
আবার আরেক তালাকের অধিকার পাবেনা।
এখানে স্ত্রী শুধু এক তালাকেরই অধিকার পাবে। 

(০৬)
একবার।

(০৭)
উল্লেখিত ছুরতে স্ত্রী এক তালাকের অধিকার পাবে। 

(০৮)
টোটাল এক তালাকের অধিকার স্ত্রী পাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...