আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমার কিছু প্রশ্ন ছিলো

১.আমি এতোদিন জানতাম না যে সাদাস্রাব নাপাক। আমি এক অজুতে দুই-তিন ওয়াক্ত সালাতও আদায় করেছি।আর,আগে আমার প্রচুর সাদা স্রাব যেতো।এখন কি আমাকে ওই নামাযগুল আমার কাজা করতে হবে?(আমি সিওর না যে আমার ঠিক কত ওয়াক্ত সালাতে এমনটা হয়েছিল। এখন আমার কি করনীয়?
২.গত পরশু দিন আমি যে পোশাকটা দিয়ে নামায আদায় করেছিলাম ওইটা এমন ভেজা ছিলো যে নিংড়ালে পানি পড়বে না।আর,আমি খালি মেঝেতেই নামায আদায় করেছিলাম যার পানি শোষণের ক্ষমতা নেই।তো তখন নামায আদায় কালীন সময়ে আমার ওই পোশাক টা বার বার মেঝেতে লেগেছিলো এবং ওই মেঝেটা ও কিছুটা ভিজে গিয়েছিল।আর,আমি যেহেতু  আগে পাক -নাপাকের বিষয়টা খুব একটা অবগত ছিলাম না, তাই এখন খুব সন্দেহ হচ্ছে যে মেঝেতে ও নাপাকী লেগেছিলো।এখন,কি আমার ওই নামায আদায় হয় নি?

৩.কাল জায়নামাজ শরিয়াহ মোতাবেক ই ধুয়েছি।কিন্তু, কাপড় খুব মোটা হওয়ায় কিছুক্ষণ পর পর ই পানি পড়ে।আমি এইভাবে দুই-তিনবার নিংড়ে দিয়েছিলাম(,শেষ বার)এবং তখন আর এক ফোটা পানি ও ঝরে নি।কিন্তু, আবার ও কিছুক্ষন পর পানি পড়ে।ওই জায়নামাজ কি পাক হয়েছে? আর,এমনিতেও তো যেকোনো কাপড় ধোয়ার পর শুকাতে দিলে পানি পড়তে থাকে।

1 Answer

0 votes
by (559,350 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদিস শরিফে এসেছে,

عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ تَدَعُ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُ فِيهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتَتَوَضَّأُ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ وَتَصُومُ وَتُصَلِّي

‘আদী ইবনে সাবিত (রহ.) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত আছে, রাসূল (সা.) ইস্তিহাযার রোগিণী সম্পর্কে বলেন, ইতোপূর্বে সে যে কয়দিন ঋতুবতী থাকত ততদিন নামাজ ছেড়ে দেবে; অতঃপর গোসল করবে এবং প্রত্যেক নামাজের ওয়াক্তে নতুন করে অজু করবে এবং রোজা রাখবে ও নামাজ আদায় করবে।’ [সুনানে তিরমিযী, হাদিস: ১২৬]

কাহারো যদি সবসময় স্রাব বের হতেই থাকে, ফরজ নামাজ পড়া যায়- এতটুকু সময় যদি সে না পায়, তাহলে সে শরিয়তের দৃষ্টিতে ইস্তেহাজাগ্রস্ত ও মাজুর। এক্ষেত্রে তার করণীয় হল, সে প্রতি ওয়াক্তের ফরজ নামাজের জন্য অজু করবে এবং কাপড়ের যে অংশে স্রাব লেগেছে তা ধুয়ে নিবে।

ঐ অজু দিয়ে ঐ ওয়াক্তের মাঝে যত ইচ্ছা ফরজ ও নফল নামাজ সে পড়তে পারবে (তবে অজু ভঙ্গের অন্য কোনো কারণ পাওয়া গেলে অজুটি ভেঙ্গে যাবে)। এ সময় স্রাব বের হতে থাকলেও কোনো সমস্যা নেই। ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেলে তার অজু ভেঙ্গে যাবে। পরবর্তী ওয়াক্তের জন্য পুনরায় অজু করে নিতে হবে।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
(০১)
হ্যাঁ সেই নামাজ গুলির কাজা আপনাকে আদায় করতে হবে। 
আপনি প্রবল ধারনার উপর ভিত্তি করে সংখ্যা নির্দিষ্ট করবেন।
৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পাশাপাশি বিতির নামাজেরও কাজা আদায় করবেন।   

(০২)
আপনার সেই নামাজ হয়ে গিয়েছে।
শুধু সন্দেহের ভিত্তিতে মেঝেকে নাপাক বলার সুযোগ নেই।

(০৩)
আপনি যদি ৩ বার ধুয়ে থাকেন,তাহলে প্রশ্নের বিবরণ মতে সেই জায়নামাজ পাক হয়েছে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 104 views
...