আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
150 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (42 points)
আসসালামু আলাইকুম।
প্রথমে বলি আমার শিরক,কুফর, মুরতাদ নিয়ে অনেক বেশি ওয়াসওয়াসা হয় বিশেষ করে আম্মু আব্বুকে নিয়ে। কারন তারা ইসলামের  অনেক কিছুই জানে না বুঝে না, মানে যা জানে বুঝে সেগুলা ভুল যা আগের মানুষ দ্বারা প্রচলিত।আজকের দুইটা ঘটনা,,

১) আমি আমার বোনকে বাইরে যাওয়ার সময় কিছু জিনিস আনতে বলি আর বলি ১০ টা টাকা যেন দান বাক্সে দিয়ে আসে।মাঝখানে উনি বলতেসে ওরে দে ১০ টাকা অ ১০ টাকা পাওয়ার যোগ্য মসজিদে কেন দিবি সব কমিটির মানুষরা খায় অইদিকে ২,৫ টাকা দিবি একটু চিল্লাচিল্লি করে বল্ল।

২)আবার উনি আজ রোযা রাখতেসে শাওয়াল এর, এখন কাল উনি সজাগ পাই নি,আজান থেকে নিয়ে আজান এর পরে খাইসে ৪ঃঃঃ ১৫ এর পরেও উনি যা বলল।

আব্বু বলসে যে এই রোজা হবে না তোমার, সকালে আইসা ও আমাকে বলতসে যে এই রোজা কি হবে? আমি বলসি না বিলে থাক আমি রাখি আল্লাহর কাছে মাফ চায়া নিব।আব্বু বলসে মাফ চাইবা কিন্তু রোজা ত হবে না।আব্বু আর ও বুঝিয়ে বলসে যে সুবহি সাদিকের পর খেলে রোজা হিবে না।আম্মু বলে কি আগে দেখসি মানুষ ফর্সা হওয়ার পর ও খাইসে আমার নানিরে দেখসি ইত্যাদি ইত্যাদি বলতেসে।

আবার সন্ধ্যায় ও আব্বু বলসে যে সারাদিন উপোস করলা এই রোজা হবে না। আবার ও সেই এক ই কথা আগের মানুষরা এমন করসে। এখন আমার মাথায় শুধু আস্তেসে যে সে বিষয় টাকে অস্বীকার করল কিনা সুবহি সাদিকের।
উপরের দুই ঘটনা থেকে কি তার কি ধরনের গুনাহ হয়েছে? উনি বার বার রেফারেন্স এ আগের মানুষদের সাথে তুলনা করতেসে।

নোট ঃঃঃউনি রামাদানেও সুই দিয়ে পিরিয়ড বন্ধ করে আশসে যেটা ৩ মাস পর্যন্ত হবে না,এখন উনার ব্লাড যাচ্ছে একটু একটু তাই সে নামাজ পরে না কিন্তু আবার রোজা করতেসে। উনি বলতেসে এইটা ইস্তেয়াজা কিন্তু উনি শিওর ও না। এইটাকে এখন উনি কি ধরবে? আগে এইরকম ইস্তেয়াজা ছিল না।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
মসজিদে টাকা দিবেনা, কমিটির লোকজন টাকা মেরে খায়, একথা দ্বারা কুফরি হবে না।তবে এমন কু-ধারণা পোষণ করা জায়েয হবে না।সমস্ত মসজিদ সম্পর্কে এই প্রকারের ধারণা রাখা অবশ্যই গোনাহ। হ্যা বিচ্ছিন্নন কোনো ঘটনা এই প্রকারের থাকতেই পারে।

(২)
সেহরির ওয়াক্তের পর সেহরি খেলে রোযা হবে না।আল্লাহ আপনার আম্মুকে দ্বীনের সঠিক জ্ঞান দান করুক।আমীন।

অাপনি আপনার আম্মুকে হেকমতের সাথে দাওয়াত দিবেন।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন-
{ ﻳَﺎﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﺮَّﺳُﻮﻝُ ﺑَﻠِّﻎْ ﻣَﺂ ﺃُﻧﺰِﻝَ ﺇِﻟَﻴْﻚَ ﻣِﻦ ﺭَّﺑِّﻚَ ﻭَﺇِﻥ ﻟَّﻢْ ﺗَﻔْﻌَﻞْ ﻓَﻤَﺎ ﺑَﻠَّﻐْﺖَ ﺭِﺳَﺎﻟَﺘَﻪُ [ ﺍﻟﻤﺎﺋﺪﺓ 67: ]
হে রাসূল! আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তা আপনি প্রচার করুন। যদি আপনি তা না করেন তাহলে আপনি আল্লাহর বার্তা প্রচার করলেন না। (সূরা মায়েদা : ৬৭)

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আরোও বলেন:
ﺍﺩْﻉُ ﺇِﻟِﻰ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺭَﺑِّﻚَ ﺑِﺎﻟْﺤِﻜْﻤَﺔِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻮْﻋِﻈَﺔِ ﺍﻟْﺤَﺴَﻨَﺔِ ﻭَﺟَﺎﺩِﻟْﻬُﻢ ﺑِﺎﻟَّﺘِﻲ ﻫِﻲَ ﺃَﺣْﺴَﻦُ ( ﺍﻟﻨﺤﻞ : ١٢٥ (
আপনি আপনার প্রতিপালকের দিকে আহবান করুন হিকমত বা প্রজ্ঞা দ্বারা এবং সুন্দর ওয়াজ-উপদেশ দ্বারা এবং তাদের সাথে উৎকৃষ্টতর পদ্ধতিতে আলোচনা-বিতর্ক করুন। (সূরা নাহল: ১২৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...