আসসালামু আলাইকুম।
১. হজ্জ ফরজ হবার মতো নিসাব সম্পদের মালিক হবার আগেই যদি কারো পক্ষ থেকে হজ্জ করানোর সুযোগ দেওয়া হয় উপহার হিসেবে, আর সেই সুযোগ গ্রহণ কপ্রে হজ্জ করা হলে তারপর কখনো যদি নিসাব সম্পদ এর মালিক হয়ে যায়, তখন কি আবারও ফরজ হিসেবে হজ্জ আদায় করে নিতে হয়? আগের হজ্জ তো ছিলো অন্যের পৃষ্ঠপোষকতায়, নিজের সম্পদ না থাকা সত্তেও নফল হজ্জের মতো। আর পরের বার নিসাব সম্পদ থাকার প্রেক্ষিতে হিসাব করতে হবে। তখন কি আবারো হজ্জ করা ফরজ?
২. যদি মরহুম পিতার সমস্ত সম্পদ ওয়ারিশগণের মধ্যে বণ্টন হবার আগেই মা সেই সম্পদ থেকে সন্তান দেরকে হজ্জ করার জন্য টাকা দেন, অথচ সন্তানরা কেউ ব্যক্তিগতভাবে নিসাব সম্পদের মালিক নয়, কিন্তু হজ্জের পর পৈতৃক সম্পদ বণ্টন হলে তারা নিসাব সম্পদ পাবে। সেক্ষেত্রে হজ্জের হুকুম কী হবে?
৩. যে সম্পদ বণ্টন হয়নি, তার যাকাত কীভাবে আদায় হবে? যদি পিতার মৃত্যুর ৫ বছর পর সম্পদ বণ্টন হয়, তখন কি ওয়ারিশগণ পূর্বের ৫ বছরের যাকাতও আদায় করবে?
৪. ছোট বাচ্চারা খেলার ছলে তাদের খেলনা হাঁড়ি পাতিলে রান্না করে বড়দের খাওয়াতে আসে, তখন যদি খেলার ছলে খাওয়ার ভান করে বলা হয় যে, মাশা আল্লাহ অনেক মজার রান্না করেছো, আবার করো, আমরা খাবো, এ ধরণের কথা বার্তা কি মিথ্যার অন্তর্ভুক্ত হবে? অথবা বড়দের কোন কাজ যদি তারা এলোমেলো করে ফেলার পরেও উৎসাহ দিয়ে বলা হয় যে সুন্দর করে কাজ করেছো, আরো সুন্দর করে করবে, সেটা কি মিথ্যার গুনাহ হবে?
৫. ছোট শিশুর প্রস্রাব অয়েলক্লথে লেগে গেলে যদি শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে নেওয়া হয়, পানিতে না মুছা হয়, তবে কি তা পাক হবে?
৬. হাতে প্রস্রাব লেগে গেলে যদি টিস্যু বা শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলা হয় তবে কি হাত পাক হবে?
৭. ফরজ নামাজের সালাম ফিরানোর সাথে সাথে অথবা একটু আগে মসজিদে আজান শুরু হয়, তখন কি মাসনুন দুয়া আমল গুলা আগে করতে হবে? নাকি আজানের জবাব দিয়ে আজানের দুয়া পড়ে তারপর মাসনুন দুয়ার আমল?
৮. যদি কখনো আজানের জবাব দেওয়া মিস হয়ে যায়, কোন ব্যস্ততা বা অন্যমনস্কতা বা নামাজে থাকার কারণে, অথবা বাথরুমে থাকার কারণে, তবে কি আজান শেষ হবার পর শুধু আজানের দুয়া পড়া সম্ভব হলে সেই দুয়া পড়ার সওয়াব পাওয়া যাবে? অর্থাৎ, আজানের জবাব না দিয়ে শুধু আজানের দুয়া পড়লে সওয়াব হবে কি না।