বিষয় জানার ছিল

Question

আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

১।যারা মুফতি সাহেব নিশ্চিয় অনেক বেশি জানেন।আর ভেবে চিন্তে উত্তর দেন।ধরেন ২ জন মুফতি সাহেব ২ রকম উত্তর দিল।তহ আমরা কি যে কোন একজনের উত্তর গ্রহন করতে পারব?

২।একজন খুশি হয়ে বরকে মেসেজে বলতেছে এক্কেবারে কাজ এত টুকু বলার পর পরের মেসেজে শেষ বলেছে মানে স্ত্রী বুঝাতে চাচ্ছিল এক্কেবারে কাজ শেষ।তখন মনে মনে তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মেয়েটা মনে মনে না না করতে থাকে।আর খুশি হয়ে অন্য কাজের জন্য বলেছে।এতে কি তালাক হবে?

৩।কোন স্বামী স্ত্রীকে এখনো নামিয়ে নিয়ে যায় নি।ফোনে বা মেসেজে কথা হয়।স্ত্রী কোন কারনে রাগ করে বলব থাকতে পারব না তুমার সাথে সারাজীবন,চলে যাব তুমার জীবন থেকে বা যদি বলে যে আমার বাবা মাকে অসম্মান করে থাকতে পারব না তার সাথে।।স্বামী যদি বলে থাকতে না পারলে চলে যাও বা চলে যাও।আরেকটা করব বিয়ে এবছরই করব।এতে যদি স্বামীর তালাকের নিয়ত না থাকে ধমকের জন্য বলে বা  অস্বীকার করে তাহলে কি তালাক হবে?এটা এমনিতে জানার জন্য।

৪।আমার সবসয়ম মনে হয় যে আমার মত পাপী কেও নেই এই দুনিয়ায়।সবসময় চিন্তায় থাকি।খুব কান্না আসে। কিন্তুু কাদতে পারি না বাসায় সবাই আছে।আর মনে তালাকের ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে।মনে হয়,এরকম ওটা স্বামী বলেছে,আবার মনে হয় বলে নি।সব কথা নিয়ে চিন্তায় থাকি।বেশি কান্না করি যে কোন যেনা হচ্ছে কিনা ভেবে।মানে কিয়ামতের আগে স্বামী ও স্ত্রী যেনা করবে ওইরকম একটা হাদিস শুনতেছিলাম। সেটার পর থেকে বেশি ভয় লাগে।কারন আগে তেমন কিছু জানতাম না আমি।আগে স্বামীর সাথে ঝগড়া হত।এখন আমি টুটালি ঝগড়া করি না।কারন আমি ভয়ে থাকি।আর ভাবি স্বামীর সাথে তহ সারাজীবন থাকব আল্লাহ রাখলে, আগের কোন কথা দ্বারা তালাক হয়েছিল কিনা জানি না মনে নেই।যদি হয়ে থাকে সারাজীবন যেনার গুণাহ হবে এসব ভেবে কান্না করতে করতে ভেন্গে পড়ি। এসব চিন্তা থেকে মুক্তির কোন উপায় আছে? কোন আমল? আর এসব প্রশ্ন করায় আমার বৈববাহিক জীবনে সমস্যা হবে? কারন আমাকে স্বামী তালাকের অধিকার দিছে।

৫।কেউ একজন তাদের স্বামি স্ত্রীর মধ্যে কোনদিন তালাক হয়েছে কিনা জানে না।কেনায়া হয়েছে কিনাও জানে না।তহ সে ভয়ে ইস্তেখারা করে দেখলে কি কোন সমস্যা হবে?

৬।কোন মেয়েকে ধরেন তার স্বামী তালাকের অধিকার দিছে।কিন্তুু সে আর তার স্বামী কেও জানে না মেয়েরা তালাক দিতে পারে।তহ মেয়েটা যদি রাগে বা ঝগড়ার সময় বলে নিজের দিকে তালাকের ইন্গিত না করে বলে আমি চলে যাচ্ছি আর আসব না কোনদিন আর খুজেও পাবে না এরকম বলে।এরকম বললে তালাক হবে?

৭।কোন স্ত্রী যখন স্বামীর সাথে রাগ করে কথা বলে না বা অন্য কিছু করে।তখন স্বামী যদি  ১ ২ ৩ এভাবে গুনে মানে স্বামী বুঝাতে চাচ্ছে যে এতবার গুনব এর মধ্যে কথা না বললে অসুবিধা হবে এমন কিছু। স্ত্রী ও তেমনটা বুঝেছিল তখন কারন তালাকের কথা হয় নি মনে হয় তখন।

পরে  স্ত্রীর মনে সন্দেহ আসতে থাকে কেন বলেছে কেন বলেছে।স্বামীর তেমন মনেও থাকে না কোন কথা।তাই স্ত্রী স্বামীকে জিগ্যেস করে নি আবার আন্দাজে কিছু বলবে মনে করে কারন স্বামীর তেমন মনে থাকে না কথা।কথাগুলো ৭-৮ মাস আগের।কিন্তুু ৪-৫ মাস আগেও স্বামী বলেছে কোনদিন তালাকের নিয়তে স্ত্রীকে কিছু বলে নি।উপরের  ঘটনা দ্বারা কি তালাক হবে? আর স্বামীকে প্রশ্ন করা উচিত হবে?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

(১)

জ্বী, প্রথম যাবে জিজ্ঞেস করবেন, উনি যাই বলবেন, সে কথাকে ফলো করবেন।দ্বিতীয়বার যাচাই বাচাইয়ের জন্য আর কোনো প্রশ্ন করবেন না।

(২)

তালাক হবে না। মেয়ে কখনো তালাক দিতে পারে না।

(৩)

এমনাতেই জানার জন্য?  

এটা কেমন কথা, আপনি আরো অনেকবার এই প্রশ্ন করেছেন।

এই কথা দ্বারা কোনো তালাক হবে না।

(৪)

ওয়াসওয়াসা রোগের চিকিৎসা করতে হবে। বেশী পরিমাণ আল্লাহর কাছে ওয়াসওয়াসা রোগ দূর হওয়ার দু'আ করুন। ওয়াসওয়াসা ওয়াসওয়াসাই।সুতরাং এদ্বারা কোনো কিছুই হয়না।তালাক হয়না। 

(৫)

ইস্তেখারা দ্বারা এভাবে তালাক হয়েছে কি না? সেটা দেখা সম্ভব নয়।

(৬)

না, তালাক হবে না।

(৭)

তালাক হবে না।

Comments

সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

---

উপরের প্রশ্নের আলোকে  নাম্বারিং করেছি।

২। ২  নং এ আপনি বলেছেন মেয়েরা তালাক  দিতে পারে না সেটা ঠিক।কিন্তুু মেয়েটাকে তার স্বামী তালাকের অধিকার  দিয়েছিল তাই ওয়াসওয়াসা আসতেছিল।আর ও না না করতেছিল মনে মনে।এতে কি তালাক হবে?

৩। ৩ নং এ,  হুজুর যেসব প্রশ্ন নিয়ে আমি সন্দেহে থাকি আমার সাথে হয়েছে কিনা সেগুলো এমনিতে জানার জন্য নিজের দিকে ইন্গিত  না করে প্রশ্ন করি।তাই এমনিতে জানার জন্য এ কথাটা লিখি।আর ৩ নাম্বার ওটা,দ্বারা কি এমনিতে তালাক হবে কোন স্বামী বললে ওইরকম?

৫। ৫ নং এ,ইস্তেখারার মাধ্যমে তালাক হয়েছে কিনা বুঝা যায় না বা জানা সম্ভব নই। তবু ভয়ে করেছিল। এতে কি কোন সমস্যা হবে?