আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in পবিত্রতা (Purity) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম

কানে ব্রন হওয়াতে ব্রনের পানি বের হয়ে শুকিয়ে লেগে ছিল। আমার অজানাতেই হয়েছে এটি।পানিতে কোনো গন্ধ ছিল কিনা তাও যানিনা। হাত দিয়ে দেখি যে শুকিয়ে লেগে আছে। আমি আংগুল দিয়ে তুলে ফেলি। কিন্তু পুরোপুরি ভাবে উঠেছে কিনা আমি শিওর নই। অজু তে মাথা মাসেহ করার সময় মনে পরে তখন অজু শেষ করে আমি কান ধুই। ধোয়ার সময় কিছু পানি আমার পায়ে পরে। নামাযের দেরি হয়ে যাওয়াতে তারাহুরো তে পা ধুয়েছি কিনা মনে নেই। এখন অনেক ওয়াসওয়াসাতে ভুগছি।আমি আপনাদের ফতয়াতে দেখিছি ব্রনের পানিতে গন্ধ বা রং পরিবতন না হলে পাক।কিন্তু আমিতো জানি না গন্ধ বা রং কি ছিল।আমার প্রশ্ন হাত দিয়ে তুলে ফেলার পর যদি হালকা থেকে থাকে তাহলে তো কান মাসহে করার সময় তা চলে যাওয়ার কথা।তারপর কান ধোয়া পানি যে পায়ে লেগেছে। সেই পানি কি নাপাক হিসেবে গন্য হবে?
তাহলে মসজিদে যে নামায পরেছি সে যায়গাও কি মুছতে হবে? খুব ওসওয়াসাতে ভুগছি আমি এটি নিয়ে।দয়া করে হেল্প করবেন আমাকে।

1 Answer

0 votes
by (713,840 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/2142 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
و في حاشية ابن عابدين تحت قوله (ولم يخرج)
وفي السراج عن الينابيع: الدم السائل على الجراحة إذا لم يتجاوز. قال بعضهم: هو طاهر حتى لو صلى رجل بجنبه وأصابه منه أكثر من قدر الدرهم جازت صلاته وبهذا أخذ الكرخي وهو الأظهر. وقال بعضهم: نجس، وهو قول محمد اهـ ومقتضاه أنه غير ناقض لأنه بقي طاهرا بعد الإصابة، وإن المعتبر خروجه إلى محل يلحقه حكم التطهير من بدن صاحبه فليتأمل
ইবনে আবেদীন রাহ, আরেকটু পরিস্কার করে লিখেন,যখমে প্রবাহিত রক্ত যখন সেটা তার স্বস্থানকে ত্যাগ করবে না,তখন অজু ভঙ্গ হবে না।কেউ কেউ এই রক্তকে পবিত্র রক্ত বলে থাকেন।এমনকি যদি এমন রক্ত যখমে থাকাবস্থায় উক্ত ব্যক্তির পাশে কেউ নামায পড়ে নেয়,এবং পাশের ব্যক্তির শরীর বা কাপড়ে এক দিরহাম থেকে বেশী উক্ত রক্ত লেগে যায়,তাহলেও উক্ত ব্যক্তির নামায হবে।এটাই ইমাম কারখী রাহ এর মত।এটাই বিশুদ্ধতম অভিমত।তবে কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম বলেন,এই রক্ত অপবিত্র।এটা ইমাম মুহাম্মদের মত।

উপরের আলোচনার সারমর্ম হল, উক্ত রক্ত বের হলে অজু ভঙ্গ হবে না। বের হওয়ার পর স্বস্থান ত্যাগ করে অন্যত্র গড়িয়ে গেলে অজু ভঙ্গ হবে।(শেষ)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ক্ষত স্থান থেকে এই পরিমাণ পানি বা রক্ত বের হলে যা গড়িয়ে পড়ার উপক্রম, এমন হলে অবশ্যই অজু নষ্ট হয়ে যাবে। এবং উক্ত ঐ পানি বা রক্তও নাপাক বলে বিবেচিত হবে। তবে ঐ পরিমাণ বের হলে যা গড়িয়ে  পড়বে না বরং স্ব স্থানে বহাল থাকবে। এমন হলে অজুও ভঙ্গ হবে না, এবং সেই পানিকে নাপাকও বলা যাবে না।(শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ব্রণের পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর আপনি হাত দ্বারা তুলে ফেলেছেন।তারপর কানকে ধৌত করেছেন,সুতরাং ব্রণের উক্ত শুকিয়ে যাওয়া জায়গা পবিত্র বলে গণ্য হবে।অপবিত্রতার সন্দেহ দ্বারা আপনার কাপড় বা শরীর নাপাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...