আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
234 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (16 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ। আপনার কাছে নিচের ঘটনায় সাহায্য চাই। মহিলা ভয়ে থাকে নাজানি তার সংসার বৈধ না থাকে। অজান্তে যাতে ওয়াসওয়াসার কারনে পাপ না হয়ে যায়।  একটি জিনিস নিয়ে ওয়াসওয়াসায় ভোগে সবসময়।  ছোট ছোট ঘটনায় সে ভয় পেয়ে যায়। সেদিন একটি ঘটনা ঘটে।

১।কেউ যদি অন্যমনস্ক হয়ে বলে ফেলে যে "নিজের উপর তা*** বলিনি,, অর্থাত তার খেয়াল না থাকে সে মুখে বলে ফেলছে।সে নিজেকে সান্তনা দেওয়ার জন্য বলে থাকে যদি।  তাহলে সমস্যা হয়ে যায়??


২। সে মনে মনে বলেছিল "" তা*** নিজেকে" এইভাবে তার মনে এই কথাটা প্রায়ই আসে। সে সেদিন কথাটা মনে কয়েকবার বলার পর  সন্দেহে পরে যায় পরে সে মুখে বলে ফেলেছিল কিনা। কারন তার মনে হয়েছিল এমন কিছু তার কানে বেজেছে।  তার মুখ হঠাত নড়েছিল,, কিন্তু তখন  সে নিশ্চিত ছিল সেই মুখ নড়ার মধ্যে কোন শব্দ ছিল না বা এই ধরনের কিছু সে বলেনি। তার কানে যে কথাটা  বেজেছিল  সেটা হয়তো মনে বার বার বলার কারনে বেজেছিল। তার মনে হয় সে মুখে শব্দ করে এই ধরনের কিছু  বলে ফেলেনি৷ তাও তার ওয়াসওয়াসা কাজ করছে যে কথাটা কানে বেজেছে সেটা সে মুখে বলে ফেলেছিল কিনা??

এই অবস্থায় কি তার উপর তা** পতিত হবে??

৩। একদিন মহিলা ওয়াসওয়াসার কারনে বলে "" নিজের উপর তা** বলিনি। "" এই ভাবে সে শব্দ ছাড়া বলে কয়েকবার। তারপর সে শেষবার বলতে গিয়ে "তা***" শব্দটা একটু শব্দ হয়ে যায়। তারপর সে ভয় পেয়ে যায় আর সন্দেহে পরে যায় পুরো বাক্য টা সে শব্দ করে বলে ফেলেছিল কিনা। কিন্তু পুরো বাক্য শব্দ করে বলার মত স্মৃতি তার নেই।   সে ভয়ে আছে সে শব্দ করে বলে ফেলেছিল কিনা বাক্য টা,,কিছুতেই মনে করতে পারছে না। শুধু সন্দেহ হচ্ছে পুরো বাক্য টাতে শব্দ হয়েছিল কিনা।এরকম সন্দেহ থেকে গেলে সেই ঘটনার ফলে   কি তার উপর তা** পতিত হবে?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ওয়াসওয়াসা তো ওয়াসওয়াসাই।ওয়সওয়াসা আসার কারণে তো তালাক পতিত হয় না।
আমরা কয়েকবার পড়েও সক্ষম হইনি যে, আসলে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন??
আপনি আবার প্রশ্নটিকে সংক্ষেপ করে ইডিট করে দিবেন।নতুন করে এ ব্যাপারে আর প্রশ্ন করবেন।না।ইনশা'আল্লাহ আসরা উত্তর দেবো।'


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...