আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
262 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (82 points)
edited by
আসসালামুয়ালাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।নিচের প্রশ্নগুলো আমার না হলেও জানা খুবই প্রয়োজন।

১।ধরেন কোন স্বামী স্ত্রী জানে না কেনায়া তালাকের ব্যপারে। কোনদিন শুনেও নি।ধরেন স্ত্রী তালাক চাওয়ার পর স্বামী কেনায়া বাক্য বলেছে। যেমনঃ যাওগা বা চলে যাও,মা বাবার পছন্দমত বিয়ে কর গা। পরে স্ত্রী কেনায়া তালাকের ব্যপারে জানার পর স্বামীকে জিগ্যেস করেছে।এতে স্বামি যদি  শপথ করে বলে এসব কথা তালাকের নিয়তে বলে নি,তারা জানেও না এতে তালাক হয়।এতে কি তালাক হবে?স্ত্রী ধরেন তালাকের সংখ্যা উল্ল্যেখ করে নি,আর ধরেন স্ত্রী ৩ তালাক চায় কিন্তুু বলে নি স্বামিকে কয় তালাক চায়।হলেও কয় তালাক হবে? স্বামী জানেও না এতে তালাক হয়। হলেও কয় তালাক হবে? জানার জন্য জিগ্গেস করেছি।আমার বিষয় নয়।

২।ধরেন স্ত্রী স্বামীকে ভালবাসে।স্বামীও বাসে খুব।কিন্তুু মাঝে মাঝে স্ত্রী কস্ট পেয়ে বলে মুক্তি দাও তুমার থেকে মানে এসব কস্ট থেকে। ধরেন স্ত্রী আর স্বামী কেউ জানে না এসব কথা দ্বারা তালাক হয়।তহ স্বামী যদি তালাকের নিয়ত ছাড়া বলে এত ক্স্ট হলে থাকিও না /বা কস্ট  হলে থাকিও না চলে যাও/ বা যদি বলে মুক্তি দিলাম তাহলে কি তালাক হবে?তালাকের নিয়ত ছাড়া বললে কি তালাক হয়? আসলে জানার জন্য জিগ্গেস করলাম।আমার বিষয় নয়।

৩।কেনায়া ১তালাকের পর বিয়ে করার আগ পর্যন্ত যদি কেউ স্পষ্ট তালাক,শর্ত যুক্ত তালাক দেয় তা কি পতিত হয়? মানে কেউ ধরেন আজ কেনায়া ১ তালাক দিল পরদিন বা কিছুক্ষণ পর আবার স্পষ্ট তালাক দিলে তা কি পতিত হবে? আবার বিয়ে না করে দিলে?মানে ধরেন কয়েকদিনের ভিতর আবার বিয়ে করবে তাই ইদ্দত পালন করে নি।১ বায়েন তালাক হওয়ার পরদিন আবার তালাক দিলে কি তালাক হবে নতুন করে?

৪। কোন স্বামী যদি বলে তুর কাজ এগুলো দ্বারা সংসার ভান্গবে যে,এইটা কি ধমক নাকি শর্ত যুক্ত তালাক?আর স্ত্রী যদি বলে সারাজীবন তুমার সাথে থাকতে পার না, চলে যাব।স্বামী যদি বলে যাও। এতে যদি স্বামীর তালাকের নিয়ত না থাকে তাহলে কি তালাক হবে?এগুলো জানার জন্য।

৫।কোন স্ত্রী যদি বলে জীবন শেষ হয়ে গেছে তুমাকে বিয়ে করে।বড় ভুল করছি।মা বাবার পছন্দমত করতাম অনেক ভাল হত,এত কস্ট পেতাম।স্বামী যদি বলে তহ সাজাও আবার বা/মা  যাকে দেয় কর গা বা/কস্ট করে থাকিও না যাও গা।এতে যদি স্বামীর  তালাকের নিয়ত না থাকে বা অস্বীকার করে তাহলে কি তালাক হবে?

৭।ধরেন কেনায়া ১ তালাক  হওয়ার  পরদিন  কোন স্ত্রী  স্বামীকে আগের তালাকের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মিথ্যাশিকারোক্তি দিছে মানে আগে  স্পস্ট তালাক দেই নি কিন্তুু  মিথ্যাশিকারোক্তি  দিলে সেটি কি পতিত হবে আর?মানে ধরেন স্ত্রী ইদ্দত পালন করতেছে না কয়েকদিন পর বিয়ে করবে তাই।তহ ১ বায়েন তালাক বা কেনায়া তালাক হওয়ার পরদিন বা পরপর  মিথ্যাশিকারোক্তি দিলে তালাকের তা কি তালাক হবে নতুন করে?

৮।কোন মহিলা স্বামীকে রাগ করে বলে থাক এগুলো নিয়ে গেলাম।স্ত্রীর মনে কি ছিল সে নিজেই জানে না।মনে তালাকের চিন্তা আসলেও সে নিজেকে তালাক দেয় নি বা নিজেকে তালাক দেওয়ার জন্য বলে নি।দিলেও স্বামীকে দিবে এমনটা ভাবত।সে জীবনে শুনেও নি মেয়েরা তালাক দিতে পারে।আইনের মাধ্যমে পারে তা জানত কিন্তুু শরীয়তে পারে সেটা জানত না।স্বামী তালাকের অধিকার দিলে কি তালাক হবে এসব বললে?

৯।আপনাদের এখানে বিভিন্ন tags  আছে।কেউ প্রশ্ন করার সময়   tags এ তালাকের অপশন চাপার সময় মনে তালাকের বিভিন্ন ধরনের  ওয়াসওয়াসা আসলে কি তালাক হবে?মানে চাপার সময় কোন স্ত্রীর দিকে মনে মনে ইন্গিত করে ফেললে কিনা এরকম ওয়াসওয়াসা বা আরো খারাপ ওয়াসওয়াসা আসলে?

জানার জন্য প্রশ্ন করলাম।

1 Answer

0 votes
by (590,070 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1049 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট তিন প্রকারঃ যথাঃ-
وَالْأَحْوَالُ ثَلَاثَةٌ (حَالَةُ) الرِّضَا (وَحَالَةُ) مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ بِأَنْ تَسْأَلَ هِيَ طَلَاقَهَا أَوْ غَيْرُهَا يَسْأَلُ طَلَاقَهَا (وَحَالَةُ) الْغَضَبِ
পরিবেশ ও পরিস্থিতি তিন প্রকার।(১) হালতে রেযা- খুশির হালত(২) তালাকের শব্দাবলী উচ্ছারণের হালত(৩) রাগান্বিত অবস্থা।

فَفِي حَالَةِ الرِّضَا لَا يَقَعُ الطَّلَاقُ فِي الْأَلْفَاظِ كُلِّهَا إلَّا بِالنِّيَّةِ وَالْقَوْلُ قَوْلُ الزَّوْجِ فِي تَرْكِ النِّيَّةِ مَعَ الْيَمِينِ
(১) খশির হালতে নিয়ত ব্যতীত কেনায়া শব্দাবলী দ্বারা তালাক পতিত হবে না।নিয়ত না থাকার বিষয়ে স্বামীর কথাই কসমের সাথে গ্রহণযোগ্য।

وَفِي حَالَةِ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ يَقَعُ الطَّلَاقُ فِي سَائِرِ الْأَقْسَامِ قَضَاءً إلَّا فِيمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَرَدَّا فَإِنَّهُ لَا يُجْعَلُ طَلَاقًا كَذَا فِي الْكَافِي
(২)তালাকের আলোচনার পরিস্থিতিতে সকল প্রকার কেনায়া তালাকে তালাক পতিত হবে।তবে যে শব্দগুলো তালাকের আবেদনের জবাব এবং রদ উভয়টা বুঝাবে,সে শব্দুগুলো দ্বারা তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫) (শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
প্রশ্নের বিবরণমতে এক তালাকে বায়েন পতিত হবে। কেননা তালাকের আলোচনা থাকাবস্থায় নিয়তের কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।

(২)
মাঝে মাঝে স্ত্রী কস্ট পেয়ে বলে মুক্তি দাও তুমার থেকে মানে এসব কস্ট থেকে। ধরেন স্ত্রী আর স্বামী কেউ জানে না এসব কথা দ্বারা তালাক হয়।তহ স্বামী যদি তালাকের নিয়ত ছাড়া বলে এত ক্স্ট হলে থাকিও না /বা কস্ট  হলে থাকিও না চলে যাও/ তাহলে তালাক হবে না।তবে যদি বলে মুক্তি দিলাম, তাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে।

(৩)
কেনায়া ১তালাকের পর বিয়ে করার আগ পর্যন্ত যদি কেউ স্পষ্ট তালাক,শর্ত যুক্ত তালাক দেয়, তাহলে আর কোনো প্রকার তালাকই পতিত হবে না।

(৪)
কোন স্বামী যদি বলে তুর কাজ এগুলো দ্বারা সংসার ভান্গবে যে,এইটা তালাক না বরং ধমক।
আর স্ত্রী যদি বলে সারাজীবন তুমার সাথে থাকতে পার না, চলে যাব।স্বামী যদি বলে যাও। এতে যদি স্বামীর তালাকের নিয়ত না থাকে তাহলে তালাক হবে না।

(৫)
কোন স্ত্রী যদি বলে জীবন শেষ হয়ে গেছে তুমাকে বিয়ে করে।বড় ভুল করছি।মা বাবার পছন্দমত করতাম অনেক ভাল হত,এত কস্ট পেতাম।স্বামী যদি বলে তহ সাজাও আবার বা/মা  যাকে দেয় কর গা বা/কস্ট করে থাকিও না যাও গা।এতে যদি স্বামীর  তালাকের নিয়ত না থাকে বা অস্বীকার করে তাহল তালাক হবে না।

(৬)
না, তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (82 points)
প্রশ্নে ১  নং পয়েন্টার সাথে আমার পুরোপুরি মিল আছে কিনা জানি না।তবে সন্দেহ নিয়ে জানার জন্য প্রশ্ন করেছি তাই আমার বিষয় নই এমনটা লিখেছি।আমাকে স্বামী তালাকের অধিকার দিছে।উত্তরে ও হ্যা মানে তালাক হবে এমনটা লিখেছেন মানে প্রশ্ন ওটার উত্তর।আমি সন্দেহ নিয়ে এমন প্রশ্ন করায় কি আমার বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে?
by (590,070 points)
তালাক হবে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...