আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
94 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (82 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা। শায়েখ একটা প্রশ্ন এটা ঠিক আমার সাথে হয়েছে কিনা জানি না।আমি এমনিতে জানার জন্য প্রশ্ন করতেছি।এই ধরনের কথা নিয়ে খুব টেনশনে আছি। জানি না শায়েখ ঠিকভাবে বুঝিয়ে বলতে পারি কিনা।

ধরেন স্বামী স্ত্রী কেউ জানে না ১৮ নং কলামের ব্যপারে।স্বামী যখন জিগ্যেস করেছে কাজিকে তহ কাজী বলেছে এটা এক্সট্রা যুক্ত করতে হয় মানে তালাকের অধিকার স্ত্রীকে দিবে কি দিবে না সেটা।যখন স্বামী স্ত্রীর কাবিন আর আকদ হয় তখন সেই ঘরটা খালি রাখে।আর স্বামীকে নাকি বলেছে ওটা যুক্ত করতে চাইলে করতে পারে। কিন্তুু কাবিন আকদ হওয়ার পর ১৮ নং কলাম ওটা কাজী এ হ্যা লিখে দিছে ।আর বলেছে বনিবনা না হলে দিতে পারবে।কিন্তুু এই ব্যপারে স্বামী স্ত্রী কেউ কিছুই জানে না।এর পর বিয়ের স্ত্রী তালাক চাইলে স্বামী মুখে বলেছে তুমার ইচ্ছে হলে তুমি দাও।মানে মুখে তালাকের অধিকার দিছে।কিন্তুু কাগজে দিছে কিনা সেটা স্বামী আর স্ত্রীর কেও জানে না।মাঝে মাঝে ঝগড়া হলে স্বামী বলত আমি আরেকটা কলাম ওটা এড করে দিব কাবিন  নামায়।মানে কাবিননামায় স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দিবে সেটা বলত। স্বামী যদি বলত"আমি কাবিননামায়  কলাম ওটা এডড করব যাতে তুমি তালাক দিলে তালাক হয়"।কিন্তুু আগে থেকে এডড আছে সেটা জানে না কেও,এমনিতে মুখে দিলেও তারা জানত না মেয়েরা শরীয়ত মোতাবেক তালাক দিতে পারে।তহ এরপর স্ত্রী স্বামিকে তালাক দিলে কি তালাক হবে?আর স্বামীর কথা ওটা কি  শর্ত যুক্ত তালাক হবে নাকি তালাকের ওয়াদা বুঝাবে যে? আর এরপর স্ত্রী স্বামীকে তালাক দিলেও কি তালাক হবে নিজে না নিয়ে?ইনভারটেড কমার ভিতর স্বামীর কথাটার কথা বলতেছি আমি।কথা ওটা দ্বারা কি শর্ত যুক্ত তালাক বুঝাবে নাকি ওয়াদা বুঝাবে যে? এরপর স্ত্রী তালাক দিলে স্বামীকে তা কি তালাক হবে?স্বামী স্ত্রী কাবিননামার এ বিষয়ে কিছু জানত না।বিয়ে হয়েছে একবছর ৫ মাস।৫ মাস আগে জানতে পারে কাবিননামার এ বিষয় সম্পর্কে।তখন এর পর থেকে মানে জানার পর থেকে স্ত্রী কোনদিন তালাক ও চায় নি দেয়ও নি স্বামীকে।

জানিনা শায়েখ ঠিকভাবে বুঝাতে পেরেছি কিনা।কিন্তুু এটা নিয়ে চিন্তায় আছি।আমার স্বামি ঠিক এরকম টা বলেছিল কিনাও মনে নেয়।তাও আমি জানার জন্য প্রশ্নটা করেছি।মানসিক শান্তির জন্য।

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/36539/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নিকাহ নামার ১৮ নং ধারা অনুপাতে স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাবেনা।
তবে প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছেঃ
""স্ত্রী তালাক চাইলে স্বামী মুখে বলেছে তুমার ইচ্ছে হলে তুমি দাও।মানে মুখে তালাকের অধিকার দিছে""

সুতরাং এখানে উক্ত কথা বলায় স্ত্রী তালাকের ক্ষমত৷ পেয়ে যাবে।
এখন স্ত্রী নিজেকে নিকে তালাক দিতে পারবে।

উল্লেখ্য যে স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাওয়ার পরেও যদি সে নিজেকে তালাক না দিয়ে স্বামীকে তালাক দেয়,তাহলে তালাক হবেনা।
কেননা স্বামীকে তালাক দেয়া যায়না।       

স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (82 points)
edited by
মানে শায়েখ ইনভারটেড কমার ভিতর কথাটা বলার পর ও স্ত্রী নিজেকে তালাক না দিয়ে স্বামীকে দিলে তালাক হবে না তাই তহ? মানে এটা শর্ত যুক্ত তালাক হবে না তাই তহ? আর ইনভারটেড কমার ভিতরের কথাটা দ্বারা যদি স্বামী বুঝায় যে মানে স্বামী ওই কলামটা এডড করে দিবে যাতে স্ত্রী স্বামীকে তালাক দিলে তালাক হয়।কিন্তু ু কলামটা কাজী আগে  এডড করেছে যে স্বামী জানে না এমনিতে স্ত্রীকে ভয়ে রাখার জন্য বলত বললেও।তহ এরপর স্ত্রী নিজেকে না দিয়ে স্বামীকে দিলে কি তালাক হবে?  কথাটা বলার পর?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...