আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
356 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (56 points)
ঢাকায় অনেক বাড়িওয়ালা বাড়ি করার  সময় এই অফার দেয় যে,,,তাকে যদি আমি কিছু টাকা দেই,তাহলে সে আমাকে তার বানানো ফ্ল্যাটে কিছু বছর থাকতে দিবে,,,এমন অবস্থায় বাসা ভাড়া দিতে হবে না। অথবা অই টাকা দেওয়ার বিনিময়ে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা দিবে। এই নির্দিষ্ট পরিমান টাকা কি সুদ এর পর্যায়ে পড়বে?

1 Answer

0 votes
by (566,160 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

ইসলামী শরীয়াহ মতে, লেনদেনের ক্ষেত্রে চুক্তির শর্তানুযায়ী শরীয়াহ সম্মত কোনোরুপ বিনিময় ব্যতীত মূলধনের উপর অতিরিক্ত যা কিছু গ্রহণ করা হয় তাকে সুদ বলে।
ঋণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ২ টি বিষয় হলোঃ  
*ঋণ দানের শর্ত হিসেবে মূলধনের অতিরিক্ত কোনো কিছু আদায় করা। 
*অতিরিক্ত যা কিছু আদায় করা হয় তার শরীয়াহ সম্মত কোনো বিনিময় না থাকা।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ১ম ছুরতে যেহেতু ঋনের বিনিময়ে শর্ত করে উক্ত বাড়িতে তাকে থাকতে দিচ্ছে,এটা এমন লাভ,যার বিনিময়ে ঋন দাতার কোনো পরিশ্রম নেই,তাই এটি সূদ হবে।
,
এটি জায়েজ নেই। 

হ্যাঁ যদি ঋনের টাকা  আর শোধ না করে,বরং তাদের মাঝে এই চুক্তি হয় যে এতটাকা আমাকে ঋন দিন,তাহলে এই বাসার এই তলা আপনার মালিকানায় দিয়ে দিবো। 
তাহলে জায়েজ আছে। 
অথবা এই তলাতে আপনি এতো,, বছর থাকতে পারবেন।
কোনো ভাড়া দিতে হবেনা,তাহলে যতবছরের জন্য  হোকনা কেনো,এটি জায়েজ হবে।
,
★★ প্রশ্নে যেই ২য় ছুরত এর বিধানঃ
যদি ঐ ফ্লাটে থাকার কথা না হয়ে শর্ত যদি এমন জয় যে ঐ টাকা দেওয়ার বিনিময়ে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা দিবে। এই নির্দিষ্ট পরিমান টাকা যদি ঋনের টাকা থেকে অতিরিক্ত হয়,তাহলে সূদ হবে।
,
অন্যথায় সূদ হবেনা।
,
উদাহরণঃ ঋন দিয়েছে ১ কোটি টাকা।
এখন প্রতি মাসে যেই টাকা সে দিচ্ছে,,,, সব মিলিয়ে যদি তার ঐ এক কোটি টাকা থেকে অতিরিক্ত হয়,তাহলে অতিরিক্ত টাকা সূদ হবে।
এই টাকা গরিলা মিসকনদের মাঝে  ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া ছদকাহ কতে দিতে হবে।   

আল্লাহ তায়ালা বলেন 

يا ايها الذين امنوا لا تاكلوا الربا اضعافا مضاعفه واتقوا الله لعلكم تفلحون 

 ‘হে মুমিনগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেও না। আল্লাহকে ভয় করো। তাহলে তোমরা সফল হতে পারবে। ’ -সূরা আল ইমরান: ১৩০

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)

فى معارف السنن- من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء (معارف السنن، كتاب الطهارة، باب ما جاء لا تقبل صلاة بغير طهور-1/34، الفتاوى الشامية، باب البيع الفاسد، مطلب فى من ورث مالا حراما-7/301، كتاب الحظر والإباحة، فصل فى البيع-9/554، بذل المجهود، كتاب الطهارة، باب فرض الوضوء- 1/37)

অনুবাদঃ কেহ যদি হারাম সম্পদের মালিক হয়,তাহলে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না হলে গরীব মিসকিনকে ছদকাহ করে দিতে হবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...