আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
118 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)
আসসালামু আলাইকুম
পুরো লেখা পড়ে বিস্তারিত উত্তর দেয়ার অনুরোধ প্রকাশ করছি
জাঝাকাল্ল-হ খইরন

★কুড়িয়ে পাওয়া জিনিস সংক্রান্ত প্রশ্নঃ-
(১) ছোটবেলায় বালেগ হওয়ার আগে বা পরে বুঝার পরও কিছু জিনিস কুড়িয়ে উঠিয়েছি (যেমন ফোনের ভালো বা খারাপ ব্যাটারি)  যা এখনো আমার ঘরে আছে। সেগুলো কি করব এখন?
(২) কোন কুড়িয়ে পাওয়া জিনিস যা কোন মানুষের নাকি প্রাকৃতিক তা বোঝা না যায় এবং তা মুল্যবান কি না তাও বোঝা না যায় (যেমন পাথর, তা মুুল্যবান জিনিস হিসেবে মানুষের ও হতে পারে আবার  প্রাকৃতিক ও হতে পারে) এক্ষেত্রে কি বিধান?
★বান্দার হক সংক্রান্ত প্রশ্নঃ-
(৩) ধরুন আমি আর আমার এক বন্ধু কোথাও গেলাম কোন যানবাহন এ করে এবং ভাড়া হলো ৩০(২×১৫) টাকা। এখন যদি আমার বন্ধু ঐ সময় পুরো ভাড়া দেয় এবং চুক্তি থাকে যে ওইখান থেকে ফেরার সময় আমি ভাড়া দেব। তারপর  ফেরার সময়( একই জায়গা) আমি ভাড়া দিলাম ২০(২×১০)  টাকা।
বিদ্রঃ কোন সময় কেউ ঐ জায়গার ভাড়া ৩০৳ নেয় আবার কোন সময় ২০৳ নেয়। কোন প্রকার জুলুম করা হয় না।
*এখন আমার বন্ধু কে কি ৫ টাকা ফেরত দিতে হবে?
(৪) কারো মালিকানা থেকে যদি তাকে না বলে  এমন কিছু নিই যা মানুষ সাধারনত ব্যবহার করে না (খুবই কম মানুষ ব্যবহার করে) । অনেক সময় তা অনেকের অপকারের কারন হয় আবার যে নিল তার উপকার হয়।[যেমন মিসওয়াক এর জন্য গাছ বা গাছের ডাল,,এগুলো খুব কম মানুষ ই ব্যবহার করে আবার অনেকের কাছে তা আগাছা]
*এমন কিছু না বলে নিলে কি গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/9913/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
কুড়িয়ে পাওয়া সম্পদ সম্পর্কে বলা হয়েছে যে তার মুল মালিকের খোজ করে তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ، أَخْبَرَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنِي سَالِمٌ أَبُو النَّضْرِ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ عَنِ اللُّقَطَةِ فَقَالَ " عَرِّفْهَا سَنَةً فَإِنِ اعْتُرِفَتْ فَأَدِّهَا وَإِلاَّ فَاعْرِفْ وِعَاءَهَا وَعِفَاصَهَا وَوِكَاءَهَا وَعَدَدَهَا ثُمَّ كُلْهَا فَإِذَا جَاءَ صَاحِبُهَا فَأَدِّهَا "

যাইদ ইবনু খালিদ আল-জুহানী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, কোন হারানো জিনিস প্রাপ্তি প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেনঃ এক বছর না হওয়া পর্যন্ত এর ঘোষণা দিতে থাক। যদি সনাক্তকারী কোন লোক পাওয়া যায় তাহলে তাকে তা ফিরত দাও। এর ব্যতিক্রম হলে তুমি এর থলে ও থলের বন্ধনী সঠিকভাবে চিনে রাখ এবং এর মধ্যকার জিনিস গণনা করার পর কাজে ব্যবহার কর। তারপর মালিক এসে গেলে এটা তাকে ফিরিয়ে দিও।
(ইবনে মা-জাহ (২৫০৭),তিরমিজি ১৩৭৩.)

বিস্তারিত জানুনঃ 

যদি বস্তুটির মূল্য ১০ দিরহামের কম হয়, তাহলে কয়েকদিন ঘোষণা দিবে।

পক্ষান্তরে ১০ দিরহাম বা তার বেশি হলে এক বছর ঘোষণা দেবে। 

যদি কুড়ানো বস্তু এমন প্রকৃতির হয় যে, মালিক তা খোঁজ করবে না, যেমন দানা বা ডালিমের খোসা  তাহলে  নেওয়া ফেলে রেখে যাওয়া মুবাহ। 

এমনকি ঘোষণা করা ছাড়াই তা দ্বারা উপকৃত হওয়া বৈধ হবে। এর সপক্ষে হাদিসে এসেছে, আনাস (রা.) বলেন, 'রাসুলুল্লাহ (সা.) পথ দিয়ে যাওয়ার সময় একটি খেজুর দেখতে পেলেন, তিনি বললেন, যদি সদকার খেজুর হওয়ার সম্ভাবনা না থাকত, তবে আমি অবশ্যই তা ভক্ষণ করতাম।' (বোখারি : ২৪৩১)। 

মূল হাদীসটি হলো 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ مَرَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِتَمْرَةٍ فِي الطَّرِيقِ قَالَ " لَوْلاَ أَنِّي أَخَافُ أَنْ تَكُونَ مِنَ الصَّدَقَةِ لأَكَلْتُهَا ". وَقَالَ يَحْيَى حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنِي مَنْصُورٌ وَقَالَ زَائِدَةُ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ طَلْحَةَ حَدَّثَنَا أَنَسٌ.

মুহাম্মদ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাস্তায় পড়ে থাকা খেজুরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি বললেন, আমার যদি আংশকা না হত যে এটি সা’দকার খেজুর তা হলে আমি এটা খেতাম।

আরো জানুনঃ 
,
(০১)
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নষ্ট ব্যাটারি যেহেতু  যেহেতু আসলেই মুল মালিক নিবেনা,সেগুলো সে এমনিতেই ফেলে দিয়েছে, এগুলো গ্রহন করা জায়েজ আছে।
,
তবে ভালো ব্যাটারি নেয়া বৈধ হয়নি।
এক্ষেত্রে মালিক পাওয়া সম্ভব না হলে সমপরিমাণ মূল্য মালিকের ছওয়াবের নিয়তে সদকাহ করতে হবে।

(০২)
সেগুলো কথা থেলে কুড়িয়ে পেয়েছেন,স্থান কাল হিসেবে হুকুম লাগানো হবে।
রাস্তার পাশ দিয়ে পাওয়া গেলে সাধারণত সেগুলো সরকারী হয়,তাহলে সেগুলোও তো মালিকানাধীন। 

তাই মুল্যবান হলে আপনি সতর্কতামূলক সেই পরিমান টাকা সদকাহ করবেন।

তবে প্রাকৃতিক হওয়ার উপর আপনার প্রবল ধারনা হলে সদকাহ করতে হবেনা।  

(০৩)
আপনার সেই বন্ধুকে বিষয়টি বলবেন
সে যদি ৫ টাকা চায়,তাহলে তাকে দিতে হবে।
আর যদি সে না নিতে চায়,তাহলে তাকে আর ফেরত দিতে হবেনা।

(০৪)
মালিকের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা থাকলে নেয়া যাবেনা।
তবে মালিকের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা না থাকলে নেয়া যাবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...