জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ তায়ালা সুরা বাকারার ২২৫ নং আয়াতে উল্লেখ করেন
لَا یُؤَاخِذُکُمُ اللّٰہُ بِاللَّغۡوِ فِیۡۤ اَیۡمَانِکُمۡ وَ لٰکِنۡ یُّؤَاخِذُکُمۡ بِمَا کَسَبَتۡ قُلُوۡبُکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ غَفُوۡرٌ حَلِیۡمٌ ﴿۲۲۵
আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের অর্থহীন শপথের জন্য পাকড়াও করবেন না। কিন্তু পাকড়াও করবেন যা তোমাদের অন্তরসমূহ অর্জন করেছে। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।
‘ইয়ামীনে লাগব’ বা ‘অনর্থক-কসম’-এর এক অর্থ হচ্ছে, কোন বিষয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে মুখ থেকে শপথ শব্দ বেরিয়ে পড়া। [বুখারী: ৪৬১৩]
কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে বলা বিষয়টিকে নিজের ধারণা মত সঠিক বলে মনে করেই শপথ করা। উদাহরণতঃ নিজের জ্ঞান ও ধারণা অনুযায়ী কসম করে বসল যে, যায়েদ এসেছে। কিন্তু বাস্তবে সে আসেনি। [কুরতুবী: ৪/১৭]
এ ধরনের শপথে কোন পাপ হবে না। আর সেজন্যই একে অহেতুক বলা হয়েছে। আখেরাতে এজন্য কোন জবাবদিহি করতে হবে না এবং এ ধরণের কসমের কোন কাফফারাও নেই।
যেসব কসমের জন্য জবাবদিহির কথা বলা হয়েছে, তা হচ্ছে সেসব কসম যা ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা জেনেই করা হয়। একে বলা হয় ‘গামুস’। এতে পাপ হয়। এ আয়াতে দু'রকমের কসম সম্পর্কেই আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও আরও এক প্রকারের কসম আছে, যাকে বলা হয় ‘মুন'আকেদাহ’। এর তাৎপর্য হলো যে, কেউ যদি ‘আমি অমুক কাজটি করব’ কিংবা ‘অমুক বিষয়টি সম্পাদন করব’ বলে কসম খেয়ে তার বিপরীত কাজ করে, তাহলে এক্ষেত্রে তাকে কাফফারা দিতেই হবে। [কুরতুবী ৪/১৯]
বিস্তারিত জানুনঃ
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি সেই মেয়েকে ব্যাতিত অন্য কাউকে বিবাহ করেন,সেক্ষেত্রে আপনার কসম ভেঙ্গে যাবে।
কাফফারা আদায় করতে হবে।
★আপনি যদি এভাবে বলে থাকেন ""আল্লাহ আমি তোমাকে কথা দিলাম আমি এই মেয়েকেই বিয়ে করবো অন্য কোন মেয়ে কে বিয়ে করবা না আর"" ।
তাহলে এতে কসম হবেনা।
কেননা এগুলো কসমের বাক্য নয়।
,
বিস্তারিত জানতে উপরের লিংক দ্রষ্টব্য।
(০২)
★আল্লাহ আমি তোমাকে কথা দিলাম,,,,,
এধরনের বাক্য বলাতে কোনো কসম হবেনা।
,
সুতরাং আপনি যে ifatwa তে আসলেন,এতে কোনো সমস্যা হবেনা।
কেননা আপনি যেই বাক্য বলেছেন,এতে শরীয়তের দৃষ্টিকোন থেকে কসম হয়নি।
তাই এটি ভেঙ্গে গেলে কোনো সমস্যা নেই,কাফফারা নেই।