আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
105 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ,

আমি কসম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি ।
১।আল্লাহ্ এর কসম করে বলছি আমি তোমাকে ছাড়া আর কাউকে কখনই বিয়ে করবো না বা আমি তেমাকে ছাড়া আর কাউকে কখনই চাই না ।

আবার, আল্লাহ আমি তোমাকে কথা দিলাম আমি এই মেয়েকেই বিয়ে করবো অন্য কোন মেয়ে কে বিয়ে করবা না আর ।

 ২।আবার বলছি আল্লাহ্ আমি তোমাকে কথা দিলাম আমি এই ifatwa তে আমার বিয়ে আগে  কখনই আসবো না ।
আমি এই কথা  বা আরও এমন কসম মনে হয় বলছিলাম । কিন্তু কসম রাখতে পারি নি ।

প্রশ্ন ০১। কোনো সমস্যা নাই তো অন্য কাউকে বিয়ে করতে ?
২। ifatwa তে যে আসলাম কথা দেওয়ার পরও কোন সমস্যা হবে না তো ?
উপরিউক্ত দুটি কাজের কথা না রাখার জন্য কাফফারা আদায় করতে  হবে ?

1 Answer

0 votes
by (566,790 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


আল্লাহ তায়ালা সুরা বাকারার ২২৫ নং আয়াতে উল্লেখ করেন

لَا یُؤَاخِذُکُمُ اللّٰہُ بِاللَّغۡوِ فِیۡۤ اَیۡمَانِکُمۡ وَ لٰکِنۡ یُّؤَاخِذُکُمۡ بِمَا کَسَبَتۡ قُلُوۡبُکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ غَفُوۡرٌ حَلِیۡمٌ ﴿۲۲۵

আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের অর্থহীন শপথের জন্য পাকড়াও করবেন না। কিন্তু পাকড়াও করবেন যা তোমাদের অন্তরসমূহ অর্জন করেছে। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।

‘ইয়ামীনে লাগব’ বা ‘অনর্থক-কসম’-এর এক অর্থ হচ্ছে, কোন বিষয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে মুখ থেকে শপথ শব্দ বেরিয়ে পড়া। [বুখারী: ৪৬১৩] 

কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে বলা বিষয়টিকে নিজের ধারণা মত সঠিক বলে মনে করেই শপথ করা। উদাহরণতঃ নিজের জ্ঞান ও ধারণা অনুযায়ী কসম করে বসল যে, যায়েদ এসেছে। কিন্তু বাস্তবে সে আসেনি। [কুরতুবী: ৪/১৭] 

এ ধরনের শপথে কোন পাপ হবে না। আর সেজন্যই একে অহেতুক বলা হয়েছে। আখেরাতে এজন্য কোন জবাবদিহি করতে হবে না এবং এ ধরণের কসমের কোন কাফফারাও নেই।

যেসব কসমের জন্য জবাবদিহির কথা বলা হয়েছে, তা হচ্ছে সেসব কসম যা ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা জেনেই করা হয়। একে বলা হয় ‘গামুস’। এতে পাপ হয়। এ আয়াতে দু'রকমের কসম সম্পর্কেই আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও আরও এক প্রকারের কসম আছে, যাকে বলা হয় ‘মুন'আকেদাহ’। এর তাৎপর্য হলো যে, কেউ যদি ‘আমি অমুক কাজটি করব’ কিংবা ‘অমুক বিষয়টি সম্পাদন করব’ বলে কসম খেয়ে তার বিপরীত কাজ করে, তাহলে এক্ষেত্রে তাকে কাফফারা দিতেই হবে। [কুরতুবী ৪/১৯]

বিস্তারিত জানুনঃ   

(০১) 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি সেই মেয়েকে ব্যাতিত অন্য কাউকে বিবাহ করেন,সেক্ষেত্রে আপনার কসম ভেঙ্গে যাবে।
কাফফারা আদায় করতে হবে।


আপনি যদি এভাবে বলে থাকেন ""আল্লাহ আমি তোমাকে কথা দিলাম আমি এই মেয়েকেই বিয়ে করবো অন্য কোন মেয়ে কে বিয়ে করবা না আর"" ।
তাহলে এতে কসম হবেনা।
কেননা এগুলো কসমের বাক্য নয়।
,
বিস্তারিত জানতে উপরের লিংক দ্রষ্টব্য।   

(০২)
★আল্লাহ আমি তোমাকে কথা দিলাম,,,,,
এধরনের বাক্য বলাতে কোনো কসম হবেনা।
,
সুতরাং আপনি যে ifatwa তে আসলেন,এতে কোনো সমস্যা হবেনা।

কেননা আপনি যেই বাক্য বলেছেন,এতে শরীয়তের দৃষ্টিকোন থেকে কসম হয়নি।
তাই এটি ভেঙ্গে গেলে কোনো সমস্যা নেই,কাফফারা নেই।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...