আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
286 views
in সালাত(Prayer) by (65 points)
edited by
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ.

আমার ৩টি প্রশ্ন

১,আমি আর আমার বন্ধু যোহরের নামাজ পড়ছিলাম সেছিল ইমাম।দ্বিতীয় রাকাতে বন্ধুর সুরা শেষ হবার পরেও সে রুকুতে না যেয়ে আমার সুরা শেষ হওয়া অব্দি অপেক্ষা করছিল।আমি একটু গুনগুনিয়ে পড়ি এজন্যে সে আমার পড়া কতখানি হল সে বুঝতে পারছিল।।।

সে যেহেতু ইচ্ছাক্রিত ভাবে নামাজে চুপ থেকেছে আমার জন্য অপেক্ষা করেছে কখন সুরা শেষ হবে,এতে কি তার নামাজ ফাসিদ হবে? সে ইমাম ছিল

২,সুরা ফাতিহা তেলাওয়াতে মাঝে মাঝে অমনোযোগে পড়লে 'ইয়্যাকা নাস্তাঈন' এ তা তে এক আলিফ টান এসে যায়।অনেক সময় নামাজের মাঝে উক্ত রাকাতেই সুরা ফাতিহা শেষ হবার আগেই খেয়াল হয় কিন্তু আয়াত আর রিপিট করিনা
এতে কি নামায ফাসিদ হবে?

৩,ফরজ গোসল করার পর সন্দেহ লাগছিল নাভীর ভেতর পানি দিয়েছি কিনা। আমার নাভী একটু গভীর। যদিও সাধারন ভাবে পানি অনেকটা চলে যায়,কিন্তু একদ গভীরে যায়না।তাই গোসল শেষে গা মুছার পর যখন মনে হল তখন আংগুল যতটুক পারসি ভিজিয়ে ঢুকিয়ে মুছেছি।কিন্তু আমার স্বামী বলছে আংগুল নাকি আরো ঢুকবে,কিন্তু আমিত ঢুকাতে পারছিনা,পরে আমার স্বামী আংগুল ঢুকিয়ে দেখালো যে এভাবে আরো ঢুকে।তারকিছুপর আমি আলাদা করেনাভিতে ভালভাবে পানি দেই।অর্থাৎ গোসল করার প্রায় ৮ ঘন্টা পর। আমার কি তাহলে গোসল আবার করতে হবে না ঠিক আছে?

৪,আমি আর আমারবস্ত্রী একটা আবাসিক হোটেলে উঠি।মেঝে ধুলা ছিল এজন্য বিছানায় নামাজ পড়ি।বিছানাটা সাধারণ,চৌকি টাইপ খাট।সিজদা দিলে নাক,হাত কপাল,শক্ত অনুভব হত কিছুটা।তবে খুব প্রেশাত দিলে হাফ ইঞ্চি বা তারচেয়েও কম ডেবে যেত।এখন নামাজ গুলো কি হয়েছে?

1 Answer

+1 vote
by (573,660 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
নামাযে যেকোনো ভুলের কারণে সেজদা সাহু ওয়াজিব হয়ে যায় না। বরং ভুলে নামাযের কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে কিংবা কোনো ফরয বা ওয়াজিব বিলম্বিত হলে ওয়াজিব হয়। আর যদি ভুলে কোনো ফরয ছুটে যায়, তবে সেজদা সাহু করা যথেষ্ট নয়, বরং পুনরায় নামায আদায় করতে হবে। আর কোনো সুন্নত বা মুস্তাহাব ছুটে গেলে সেজদা সাহু করার বিধান নেই। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حدثنا عبد الله بن يوسف، أخبرنا مالك بن أنس، عن ابن شهاب، عن عبد الرحمن الأعرج، عن عبد الله بن بحينة رضي الله عنه، أنه قال: صلى لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ركعتين من بعض الصلوات، ثم قام فلم يجلس، فقام الناس معه، فلما قضى صلاته ونظرنا تسليمه كبر قبل التسليم، فسجد سجدتين وهو جالس، ثم سلم.

আবদুল্লাহ ইবনে বুহায়না রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক নামায আমাদের দুই রাকাত পড়ান। তারপর না বসে দাঁড়িয়ে যান। মুকতাদীরাও তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে যায়। যখন তিনি নামায পূর্ণ করলেন এবং আমরা তাঁর সালাম ফিরানোর অপেক্ষা করছিলাম তখন সালাম ফিরানোর আগে তাকবীর দিলেন এবং বসা অবস্থায় দুটি সেজদা করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন। 
(সহীহ বুখারী, হাদীস ১২২৪ সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৭০)

★শরীয়তের নামাজের ভিতর এক রুকন সমপরিমাণ চুপ থাকলে সেজদায়ে  সাহু ওয়াজিব হয়।

(এক রুকন= ছহীহ শুদ্ধ ভাবে তিন বার سبحان ربي العظيم  পড়া সমপরিমাণ সময়) 

বিস্তারিত জানুনঃ

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে  উল্লেখিত ছুরতে উক্ত নামাজ ফাসিদ হবেনা,তবে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।      

(০২)
এতে নামাজ ফাসিদ হবেনা।
নামাজ হয়ে যাবে।

(০৩)
আপনার গোসল হয়ে গিয়েছে।
পুনরায় গোসল করতে হবেনা।

(০৪)
শরীয়তের বিধান হলো, যদি সেজদার স্থানটা এতটা তুলতুলে নরম হয় যে, সেজদার সময় চাপ পড়লে কপাল একদম ভিতরে ঢুকে যায়, কপালকে চাপ দিয়ে স্থিরভাবে লাগানো যায় না তাহলে তাতে সেজদা করা বৈধ হবে না। সে ক্ষেত্রে এমন স্থানে সেজদা করতে হবে যেন, নাক ও কপালকে ভালোভাবে স্থির রেখে সেজদা করা যায়,বা চাপ দিয়ে সেজদাহ করতে হবে বা সেজদার স্থানে শক্ত কিছু দিয়ে তার উপর সেজদা করতে হবে।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত নামাজ গুলি শুদ্ধ হয়েছে। 
পুনরায় আদায় করতে হবেনা।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 2,747 views
+1 vote
1 answer 394 views
0 votes
1 answer 241 views
...