বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী বিতির নামাজ ৩ রাকাত পড়া ওয়াজিব।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতর নামায তিন রাকাত পড়তেন তা নীচের হাদীসসমূহ দ্বারা প্রমাণিত।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن أبي سلمة بن عبد الرحمن أنه سأل عائشة رضي الله عنها كيف كان صلاة رسول الله صلى الله عليه وسلم في رمضان؟ قالت ما كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يزيد في رمضان ولا في غيره على إحدى عشرة ركعة، يصلي أربعا فلا تسأل عن حسنهن وطولهن، ثم يصلي أربعا فلا تسأل عن حسنهن وطولهن ثم يصلي ثلاثا.
আবু সালামা ইবনে আবদুর রহমান উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. কে জিজ্ঞাসা করেন, ‘রমযানুল মুবারকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নামায কীরূপ হত?’ উম্মুল মুমিনীন বলেন, ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানে ও রমযানের বাইরে এগারো রাকাতের বেশি পড়তেন না। প্রথমে চার রাকাত পড়তেন-এত সুন্দর ও দীর্ঘ সে নামায, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। অতঃপর চার রাকাত পড়তেন-এরও দীর্ঘতা ও সৌন্দর্য সম্পর্কে জানতে চেয়ো না। এরপর তিন রাকাত পড়তেন।’
(সহীহ বুখারী ১/১৫৪; সহীহ মুসলিম ১/২৫৪; সুনানে নাসায়ী ১/২৪৮; সুনানে আবু দাউদ ১/১৮৯; মুসনাদে আহমদ ৬/৩৬)
عن سعد بن هشام أن عائشة حدثته أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان لا يسلم في ركعتي الوتر.
সা’দ ইবনে হিশাম বলেন, (উম্মুল মুমিনীন) আয়েশা রা. বলেছেন, ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের দুই রাকাতে সালাম ফেরাতেন না।’
(সুনানে নাসায়ী ১/২৪৮; মুয়াত্তা ইমাম মুহাম্মাদ পৃ. ১৫১)
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
হানাফি মাযহাব অনুসারীদের বিতির নামাজ তিন রাকাতই পড়তে হবে।
কেহ যদি হানাফি মাযহাব অনুসারী হয়েও বিতির নামাজ এক রাকাত আদায় করে,তাহলে তার নামাজ হবেনা।
তাই আপনার জন্য অবশ্যই বিতির ৩ রাকাত আদায় করা ওয়াজিব।
তবে এক্ষেত্রে অন্যান্য কিছু ইসলামী স্কলারদের মত বিরোধ থাকায় শুধু তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।
(০২)
এতে নামাজের সমস্যা হবেনা।
পা মোজা পড়তে হবেনা।
(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে আপনার পর্দা হবে।
(০৪)
হ্যাঁ এগুলো গিবতের পর্যায়ে পরে।
যখন কোনো মজলিসে এহেন বিষয় আলোচনা হবে,আপনার জন্য করনীয় হলো সেই আলোচনা বন্ধ করার আদেশ করা।
নতুবা সেই মজলিস ত্যাগ করা।