আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
606 views
in সাওম (Fasting) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লোহ। আমি ইতিকাফের অনেক ফযিলত শুনেছি আর জেনেছি নারীরা ঘরে শেষ দশ দিনে বা তার চেয়ে কম দিনও ইতিকাফ করতে পারবেন। কিন্তু ইতিকাফ কী, কীভাবে করতে হয়, ভঙ্গের কারণ বা যা করলে ভঙ্গ হবে না এসব কিছু এখনও সঠিকভাবে বুঝতে পারিনি। তা একটু জানালে মুনাসিব হতো। আর আমি যতটুকুই জেনেছি সেই স্বল্প জ্ঞান নিয়েই ইতিকাফে বসেছিলাম দুবার আলহামদুলিল্লাহ। তো আমি একটু সন্দিহান যে আমার ইতিকাফ ভেঙ্গে গেছে কিনা। আমি হাম্মামখানায় ইস্তিঞ্জা করার পর জামাকাপড় পাল্টিয়ে পাশে রেখেছিলাম, আর হাম্মামের পাশেই ছিল বেসিন, ওখানেই আমি ওযু করি। তো ওযু করার পর আমি ঘরের যে দিকে পর্দা টানিয়ে ইতিকাফ করছিলাম ওই দিকের জন্য রওয়ানা দিলাম। তারপর দু কদম যাবার পর আমার জামাকাপড়ের কথা মনে পড়লে আমি আবার ফিরে এসে জামাকাপড় নিয়ে পরে যাই। এতে কি ইতিকাফ ভাঙ্গবে? যেহেতু ইতিকাফে ওযু-ইস্তিঞ্জা-ফরয গোসল ছাড়া বের হওয়া যায় না আর এগুলো সেরে দ্রুত ইতিকাফের স্থানে ঢুকতে হয় কোনোদিকে সময় নষ্ট না করে। আমি না আনলেও তো অন্য কেউ নিয়ে আসতো আমার জামাকাপড় তাই বলছিলাম আর কি।
তাছাড়া আমার ছোট বোন অনেক কাঁদে আমি ইতিকাফে গেলে, তখন ওর দিকে যে তাকাই না ও ডাকলেও, ও ব্যাথা পেলেও যে ওকে আদর করি না তাই। ইতিকাফে বাচ্চাদের সাথে তো আর কথা বলা বা আদর করা বা তাকানো বা যে কোনো মানুষের দিকেই তো অত্যাধিক প্রয়োজন (যা না করলেই নয়) ছাড়া তাকানো যায় না, তাই না? তারপর কেউ দরজা ধাক্কাচ্ছে, সবাই ঘুমে থাকায় তাদের ডাকাডাকি করা যাবে না যেন দরজা খুলতে পারে?

আমি তো খাটের এক সাইডে ইতিকাফ করি। তাই নামাজের জন্য তো বের হতে পারব, তাই না? আর তাহলে কি নামাজের স্থানে নামাজ শেষ করে অন্যান্য কাজ যেমন তাসবিহ পড়া যেগুলো দিনে ১০০ বার পড়তে হয় এগুলো করতে পারব? নাকি নামাজ শেষে দ্রুত ইতিকাফের স্থানে ঢুকা উচিত? আমি নমাজ পড়ব বলে গোসল শেষে সোজা জায়নামাজে দাঁড়িয়ে গেছিলাম ইতিকাফ অবস্থায়। তখন ওখানে ভেজা চুল মুছছিলাম। কয়েক সেকেন্ড পর ইতিকাফের কথা মনে পরলে ইতিকাফের স্থানে গিয়ে চুল মুছে তারপর জায়নামাজে দাঁড়িয়ে হিজাব পড়ে নামাজ শুরু করেছি। এতে কি ইতিকাফ ভেঙেছে?


★রোজা অবস্থায় যখন মেসওয়াক করি, সর্বপ্রথম তো তা ধুতে হয়। তারপর দাঁত মাজলে তো মেসওয়াক থেকে পানিটা নিঃসৃত হয়, সেটা পেটে চলে গেলে কি রোযা ভাঙবে?

1 Answer

0 votes
by (732,000 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/17520 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ইতিকাফের শর্ত ২ টি। যথা
ক. নিয়ত করা।
খ. মসজিদে অবস্থান করা।

ইতিকাফের শর্ত পূরণের জন্য আবশ্যকীয় হলো,
ক. মুসলমান হওয়া
খ. জ্ঞান থাকা
গ. বড় নাপাকী থেকে পবিত্র থাকা, গোসল ফরয হলে গোসল করে নেয়া।
ঘ. মসজিদে ই‘তিকাফ করা।

ইতিকাফ যে সকল কারণে ভঙ্গ হয়ে যায় তা হলো :
১. স্বেচ্ছায় বিনা প্রয়োজনে মাসজিদ থেকে বের হলে।
২. কোন শিরক বা কুফরী কাজ করলে।
৩. পাগল বা বেঁহুশ হয়ে গেলে।
৪. নারীদের হায়েয-নিফাস শুরু হয়ে গেলে।
৫. স্ত্রীসহবাস বা যে কোন প্রকার যৌনসম্ভোগ করলে।

https://www.ifatwa.info/16972 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
(৩)প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন/ভাই!
(১)হাজত দুই প্রকারঃ- যথাঃ-
(ক)হাজতে শরঈ তথা যে সমস্ত জিনিষকে শরীয়ত কারো উপর ফরয বা ওয়াজিব করেছে সেগুলো হাজতে শরঈ বলে।
(খ)হাজতে তবয়ী:প্রস্রাব পায়খানা।এই দুই প্রকার হাজতকে এ'তেক্বাফকারী পূর্ণ করতে পারবে।স্বাভাবত মানুষের যে সমস্ত প্রয়োজন থাকে সেসব প্রয়োজনের স্বার্থে তিনি এ'তেক্বাফ থেকে বের হতে পারবেন।প্রস্রাব পায়খানা,ওজু ফরয গোসল ইত্যাদির জন্য।তবে শীতিলতা অর্জনের নিমিত্তে উনি গোসলে যেতে পারবেন না।খানা পাকানোর জন্য মহিলা পাকঘরে যেতে পারবেন না।তবে প্রয়োজনে তিনি এ'তেক্বাফ স্থলে খানাকে রান্না করে নিতে পারবেন।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-১০/২৫১)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার প্রশ্ন কয়েকবার পড়েও তেমন বুঝতে পারিনি।অত্যান্ত অস্পষ্ট ও জটিল মনে হচ্ছে।তাই আপনাকে বলবো, আপনি উপরোক্ত লিখা থেকে বুঝে নিবেন।কাপড় আনার জন্য দ্বিতীয়বার বাথরুমে প্রবেশ করার কারণে ইতিকাফ ফাসিদ হবে না। আপনি যদি না বুঝেন, তাহলে মূল বিষয়টাকে অতি সংক্ষেপে কমেন্টে উল্লেখ করবেন। এ ব্যাপারে নতুন কোনো প্রশ্ন করবেন না।

মিসওয়াক করার পর মিসওয়াকের পানি পেঠে চলে গেলে রোযা ভঙ্গ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (732,000 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by
আমি তো খাটের এক সাইডে ইতিকাফ করি। তাই নামাজ তো অন্য জায়গায় পড়ি। সেক্ষেত্রে তো ইতিকাফের স্থান থেকে বের হতে পারব, তাই না?

ইতিকাফ অবস্থায় কি ছোট বাচ্চাদের সাথে কথা বলা যাবে? যেমন ব্যাথা পেলে আদর করা এমন কিছু, যদিও বাসায় অন্যরা আছে এগুলো করার জন্য।
by (732,000 points)
জ্বী,বের হতে পারবেন।

ইদিকাফ স্থলে বসে বাচ্ছাদের সাথে কথা বলতে পারবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...