ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/185 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
মোটকথাঃ যদি কেউ নামাযে ঐ সমস্ত দু'আ দ্বারা দু'আ করে যা নবীজী সাঃ থেকে নামাযে বর্ণিত,বা কোরআনে কারীমে এসেছে,অথবা হাদীসের কোনো কিতাবে এসেছে,তাহলে উক্ত দু'আ করা বৈধ রয়েছে এবং এমন দু'আর কারণে তার নামায ফাসেদ হবে না। কিন্তু যদি উক্ত দু'আ কোরআন বা হাদীসের কোথাও না আসে।এমতাবস্তায় যদি সে এমন (বাক্যসমূহ দ্বারা) দু'আ করে যা বান্দার কাছে চাওয়া যায়,অসম্ভব নয়, তথা বন্দা সেই হাজত পূর্ণ করার সামর্থ্য রাখে,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত দু'আ করা যাবে না।করলে নামায ফাসেদ হয়ে যাবে। কিন্তু যদি এমন বাক্যাবলী দ্বারা দু'আ করে যা বান্দার কাছে চাওয়া অসম্ভব(যেমন হে আল্লাহ আমার নাতীর হায়াত বাড়িয়ে দাও ইত্যাদি)অর্থীৎ যা বন্দার সামর্থ্যর বাইরে,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত দু'আ (কোরআন হাদীসে বর্ণিত না থাকা সত্বেও) করা যাবে।নামায ফাসিদ হবে না।(ফাতাওয়ায়ে ক্বাযিখান-প্রথম ৬৮)
আরবী ব্যতীত অন্যান্য ভাষায় নামাযে দু'আ করা মাকরুহে তাহরিমী(আহসানুল ফাতাওয়া-৩/৪৩২)
আরো........
★ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম-২/১২৪।
★এদাদাুল ফাতাওয়া-১/১৮৪।
★আহসানুল ফাতাওয়া-৩/৪৪।
★ফাতাওয়া উসমানী-১/২৬৪।
★রদ্দুল মুহতার ১/৪৮৮।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
প্রত্যেক ফরয নামাযে সালাম ফিরানোর আগে (তাশাহুদ,দরুদ,দোয়া মাসুরা পড়ার পর) আরবীতে দু'আ করা যাবে। তবে এ বিধান শুধুমাত্র মুনফারিদ তথা একাকি ফরয নামায আদায়কারীর জন্য।
(২)
জ্বী, যাবে।