আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
122 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
আসসালামু আলাইকুম,

আমার মায়ের দিক থেকে খুব নিকট আত্বীয় যারা একসময় আমাদের সাথে খুব অন্যায় করেছিল।

 আমার আম্মার এক বোন আম্মার প্রাপ্ত সম্পদ থেকে তাকে বঞ্চিত করে, তার  প্রাপ্ত সম্পদ জালিয়াতির মাধ্যমে নিজেদের করে নেই। অন্য ভাইবোনরা এটা নিয়ে সমধান করা তো দূরে থাক বরং আম্মা এবং আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ, অপবাদ দিয়ে আমাদেরকে অন্য সব আত্বীয়দের কাছে দোষী করে।
এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে সামান্য বিষয়েও আম্মার সেই বোনের সাথে আম্মার অন্য ভাইবোনরাও আমাদের সাথে দুব্যবহার, মিথ্যা অপবাদ, এমনকি অপমান অপদস্ত করে গেছে প্রতিনিয়ত। পরবর্তিতে এক ঘটনার জের ধরে আমরা তাদের থেকে সরে এসেছি। সম্পর্ক রাখেনি। তারা আবার খুব ধার্মিক তাবলিগওয়ালা।
পরবর্তিতে তাদের ভিতর থেকেই আবার কেউ কেউ আমাদের সাথে যোগাযোগের চেস্টা করে, কিন্তু আমাদের সাথে যে প্রতিনিয়ত অন্যায় হয়েছে, সেটা তারা মানতে নারাজ, এবং আমরাই দোষী এটাই তাদের মত। তারা আমাদের সাথে কোন নমনীয়তা ছাড়াই নিজেদের মতো করে আমাদের সাথে সম্পর্ক রাখতে চায়। তাদের জন্য আমাদের পরিবারে একসময় অবস্থা এমন দাড়িয়েছিল যে বাবা মায়ের সম্পর্কের ভিতর মারাত্বক অবনতি হয়েছিল যার প্রভাব আমরা ভাইবোন রা সাফার করেছি দিনের পর দিন।
বাবা মারা যাওয়ার পর তাদের অনেকেই তাদের পুর্বের মনোভাব বজায় রেখেই আবার আমাদের সাথে যোগাযোগ করছে, আমাদের বাসায় আসতে চায়। কিন্তু পুর্বের তিক্ত অভিজ্ঞতার জেরে আমরা তাদের সাথে সম্পর্ক রাখতে চাই না। আবার আত্বীয়দের সাথে সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে আল্লাহর আদেশ এবং রাসুলের হাদীস আমাকে খুব পেরেশান করে তোলে। একজন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে এই অবস্থার প্রেক্ষিতে আসলে কিভাবে চলা উচিত?

একদিকে আল্লাহ ও তার রাসুলের কথা, আবার অন্যদিকে তাদের খারাবী থেকে বাচতে চাওয়া!!!

আমরা স্বীকার করছি আমাদের ব্যবহার, কথাবার্তায় দোষ বা ভুল ছিল, কিন্তু তাদের সম্পর্কে সারমর্ম হিসেবে যেটুকু বলেছি সত্য বলছি। আল্লাহই জানেন,তিনি আমাদেরকে ক্ষমা করুন।

সম্মানিত মুহতারাম আমাদের করনীয় সম্পর্কে বলবেন প্লিজ। দুনিয়াতে তাদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হই, কিন্তু কেয়ামতের মাঠে যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হই।

জাঝাকুমুল্লাহু খাইরান।

1 Answer

+1 vote
by (713,640 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/1577 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ذَهَبَ فُقَهَاءُ الْحَنَفِيَّةِ وَالشَّافِعِيَّةِ إِلَى أَنَّ دَرَجَاتِ الصِّلَةِ تَتَفَاوَتُ بِالنِّسْبَةِ لِلأَْقَارِبِ، فَهِيَ فِي الْوَالِدَيْنِ أَشَدُّ مِنَ الْمَحَارِمِ، وَفِيهِمْ أَشَدُّ مِنْ غَيْرِهِمْ . وَلَيْسَ الْمُرَادُ بِالصِّلَةِ أَنْ تَصِلَهُمْ إِنْ وَصَلُوكَ؛ لأَِنَّ هَذَا مُكَافَأَةٌ، بَل أَنْ تَصِلَهُمْ وَإِنْ قَطَعُوكَ . فَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ وَغَيْرُهُ لَيْسَ الْوَاصِل بِالْمُكَافِئِ وَلَكِنَّ الْوَاصِل الَّذِي إِذَا قُطِعَتْ رَحِمُهُ وَصَلَهَا
হানাফি ফুকাহায়ে কেরাম,এবং শাফেয়ী ফুকাহায়ে কেরাম মনে করেন,সিলাহ রেহমি আত্মীয়তার স্থরভেদে প্রযোজ্য হবে।মাহরামের তুলনায় মাতা-পিতার জন্য উচ্ছস্থরের সিলাহ রেহমি প্রযোজ্য হবে।আর গায়রে মাহরামের তুলনায় মাহরামের জন্য উচ্ছস্থরের সিলাহ রেহমি প্রযোজ্য হবে।সিলাহ রেহমির অর্থ এটা নয় যে,কেউ আপনার সাথে ভালো ও উত্তম ব্যবহার করল,আর বিনিময়ে আপনিও তার সাথে ভালো ব্যবহার করলেন।কেননা এটার নাম তখন সিলাহ রেহমি না হয়ে  মুকাফা'।বরং আত্মীয় কেউ আপনার সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ককে ছিন্ন করার পরও আপনি তার দিকে উত্তম ব্যবহার নিয়ে অগ্রসর হবেন এটাই হলো মূলত সিলাহ রেহমি।যেমন সহীহ বুখারী সহ বিভিন্ন রেওয়াতে এসেছে,সিলাহ রেহমি এটা নয় যে,আত্মীয় কারো ভালো ব্যবহারের বিনিময়ে আপনিও তার সাথে ভালো ব্যবহার করলেন,বরং সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার পরও তার সাথে ভালো ব্যবহার করার নামই হলো সিলাহ রেহমি।(৩/৮৪)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তারা যদি আপনাদের সাথে যোগাযোগ করতে চায়,এবং তাদের ভুল স্বীকার না করতে চায়, আপনাদের অধিকার ফিরিয়ে না দিতে চায়, তাহলে আপনাদের এ অধিকার রয়েছে যে, আপনারা তাদের থেকে নিজেদেরকে দূরে সরিয়ে রাখবেন। আর সবকিছু ভুলে গিয়ে যদি তাদের সাথে সম্পর্ক উন্নত রাখতে পারেন, তাহলে সেটা কতইনা উত্তম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...